তন্নী ধর্ষণ হত্যাকাণ্ডে প্রেমিক রানুর মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশিত: ৪:৩২ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৭, ২০১৯

সিলেট প্রতিনিধি: হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় কলেজছাত্রী তন্নী রায়কে ধর্ষণের পর গলাটিপে হত্যা মামলার আসামি প্রেমিক রানু রায়কে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

সোমবার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ সিলেটের বিচারক রেজাউল করিমের আদালতে এ রায় দেন। বিভাগীয় স্পেশাল পিপি কিশোর কুমার কর আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তির বিষয়ে আইনগত যুক্তি উপস্থাপন করেন।

আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডের এক বছর সাত মাস পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জন-নিরাপত্তা বিভাগ কর্তৃক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে হবিগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালত থেকে সিলেট দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে মামলাটি স্থানান্তর করা হয়। এরপর ২০ জনের স্বাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত।

তন্নী রায়ের বাবা বিমল রায় জানান, আমার মেয়ে তন্নীকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। আসামি মৃত্যুদণ্ড দেওয়ায় আমরা সন্তুষ্ট। তবে রায় দ্রুত কার্যকর করার জোর দাবি জানান তিনি। যাতে করে তার এমন শাস্তি দেখে দেশে খুন, ধর্ষণ ও নানা অপরাধমূক কর্মকাণ্ড কমে।

উল্লেখ্য, গত ২০১৬ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর বেলা দেড়টার দিকে তন্নী রায় নবীগঞ্জ শহরতলীর বাংলাটাউনে ইউকে আইসিটি কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টারে যাওয়ার কথা বলে বাসা থেকে বেড় হয়ে আর বাসায় ফিরে আসেনি। এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরী করেন তন্নী রায়ের বাবা।

ডায়েরী করার ৩ দিনের মাথায় কলেজছাত্রী তন্নী রায়ের বস্তাবন্দি লাশ নদী থেকে উদ্ধার করে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ। তন্নীর লাশ উদ্ধার এবং মামলা দায়েরের পর থেকেই পুলিশ ঘটনাস্থল এবং তন্নী তথাকথিত প্রেমিক রানু রায়ের বাড়িসহ আশপাশের সম্ভাব্য ঘরবাড়িতে তল্লাশী চালায়।

নবীগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে মামলার অগ্রগতি না আসলে মামলাটি হবিগঞ্জ ডিবি পুলিশের কাছে প্রেরণ করা হয়। তন্নী রায় হত্যাকাণ্ডের ২০ দিনের মাথায় ডিবি পুলিশের ওসি মো. আজমিরুজ্জামানের নেতৃত্বে একদল সাদা পোশাকে ডিবি পুলিশ বিকাল বেলা বাহ্মণবাড়িয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে।

পরে শনিবার দুপুরে হবিগঞ্জের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিশাত সুলতানার আদালতে ঘাতক রানু ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করে, এবং তন্নী হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করে।

/সিএইচ

Comments