বেফাক বোর্ডে চরমোনাই পীরের মহিলা মাদরাসার ঈর্ষণীয় ফলাফল একুশ নিউজ ২৪ ডটকম একুশ নিউজ ২৪ ডটকম প্রকাশিত: ১২:৪৫ অপরাহ্ণ, জুন ২, ২০১৯ মুহাম্মদ নাহিদ হাসান, বিশেষ প্রতিবেদক: ১৯৯২ সালে চরমোনাইয়ের মরহুম পীর সৈয়দ মুহাম্মদ ফজলুুল করীম কিছু খলীফাকে নিয়ে প্রতিষ্ঠা করেন রামপুরা জাতীয় মহিলা মাদরাসা। প্রতিষ্ঠাকালীন শায়েখের চিন্তা ছিল বাংলাদেশে তো বড় কোন মহিলা মাদরাসা নেই, যদি মহিলা মাদরাসা ঢাকায় প্রতিষ্ঠা করতে পারি তাহলে ঢাকার কিছু মা বোনও আল্লাহ ওয়ালা হতে পারবে। শুধু ইলমি যোগ্যতাই নয় প্রতিটি ছাত্রীকে আল্লাহওয়ালা করে তোলাই প্রতিষ্ঠানটির লক্ষ। ঠিক এ উদ্দেশ্য সামনে রেখেই এগুচ্ছে মাদরাসাটি এবং প্রতিবছর মেধার স্বাক্ষর রেখে যাচ্ছে। গত ১ জুন বাংলাদেশ কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড (বেফাক) এর ৪২তম কেন্দ্রীয় পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। এতে মহিলা বিভাগে ঈর্ষণীয় ফলাফল করে শীর্ষ তালিকায় রয়েছে ঢাকার রামপুরা জাতীয় মহিলা মাদরাসা। সবমিলিয়ে মাদরাসার শিক্ষার্থীদের মধ্যে ১৩ জন স্ট্যান্ড (মেধা তালিকা) এবং ২১ জন মুমতাজ (A+) পেয়েছে। এর আগেও এ মাদরাসা থেকে সেরা ১০ এ স্থান পেয়েছে অনেক শিক্ষার্থী। মাদরাসার ধারাবাহিক সাফল্যের কারণ সম্পর্কে প্রতিষ্ঠানটির মুহাদ্দিস ও শিক্ষা সচিব মুফতি হোসাইন আহমদ বলেন, “আল্লাহ তায়ালার অশেষ মেহেরবানী! আমাদের মাদরাসা ধারাবাহিকভাবে সফলতা অর্জন করে আসছে। আমি মনে করি, পীর সাহেব চরমোনাই রহ.সহ আল্লাহওয়ালাদের নেক নজর প্রতিষ্ঠানটির সফলতার পেছনে প্রভাব রাখে। এছাড়া মাদরাসার সুযোগ্য মুহতামিম সৈয়দ মুহাম্মদ মুমতাজুল করীম মুশতাক সাহেবের সার্বিক তত্ত্বাবধান ও পরিচালনা এ মাদরাসাকে এগিয়ে নিয়েছে। এর সঙ্গে আছে মাদরাসার সকল শিক্ষক-শিক্ষিকার অক্লান্ত পরিশ্রম।” প্রতিষ্ঠানটি প্রিন্সিপাল সৈয়দ মুহাম্মদ মুমতাজুল করীম মুশতাক বলেন, “সফলতা আল্লাহ পাকের রহমত ও বরকতেই সম্ভব। এছাড়া শিক্ষক শিক্ষিকাদের অক্লান্ত মেহনত ও ছাত্রীদের প্রচেষ্টা তো রয়েছেই। আমরা এ উদ্দেশ্য সামনে রেখে ছাত্রীদের পেছনে মেহনত করি যেন এখানকার প্রত্যেক ছাত্রী ভালো শিক্ষিকা ও আল্লাহওয়ালা মা হতে পারে। কারও যেন ইলম ও আমলে দূর্বলতা না থাকে।” প্রসঙ্গত, সৈয়দ ফজলুুল করীম পীর সাহেব চরমোনাই রহ. মাদরাসা প্রতিষ্ঠা পর মাদরাসার মূল দায়িত্ব ছিল শায়খের হুজুরের হাতেই। তিনিই ছিলেন এর প্রথম মুহতামিম। পরবর্তীতে বার্ধক্যজনিত কারণে অবসরে গেলে দায়িত্ব দেয়া হয় সোনার গাঁও‘র মাওলানা সানাউল্লাহ রহ. এর নিকট। তিনি কয়েক বছর পর্যন্ত এর দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ১৯৯৮ সাল থেকে সৈয়দ ফজলুুল করীম পীর সাহে চরমোনাই রহ. এর অত্যন্ত স্নেহভাজন মাওলানা সৈয়দ ইসহাক মুহাম্মদ আবুল খায়ের মাদরাসা পরিচালনার দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে ২০০৯ সালে থেকে সৈয়দ ফজলুুল করীম পীর সাহে চরমোনাই রহ বড় সাহেবজাদা সৈয়দ মুমতাজুল করীম মুশতাক আজ অবধি মুহতামিমের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। ২০০২ সালে এসে মাওলানা সৈয়দ ইসহাক মুহাম্মদ আবুল খায়ের সর্বপ্রথম মাদরাসাকে বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের সাথে যুক্ত করে বেফাকের সিলেবাস অনুযায়ী তালিমের ধারা চালু করেন। ১৯৯৫ দাওরায়ে হাদিসের দরস চালু হয়। প্রথম শায়খুল হাদিস হিসেবে ছিলেন সোনারগাঁ‘র মাওলানা সানাউল্লাহ রহ. এবং বর্তমান শায়খুল হাদিস হিসেবে আছেন জামিয়া শারইয়্যাহ মালিবাগের শায়খুল হাদিস আল্লামা জাফর আহমদ। এমএম/ Comments SHARES ফিচার বিষয়: রামপুরা জাতীয় মহিলা মাদরাসা