যশোরে রিপন খুনের নেপথ্যে ছাত্রাবাস দখল!

প্রকাশিত: ৬:০৬ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৮, ২০২৩

বিল্লাল হোসেন, যশোর : যশোরে শহরে প্রকাশ্যে রিপন হোসেন খুনে জড়িত দুর্বৃত্তরা আটক হয়নি। তাদের আটকে পুলিশের একাধিক টিম অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। এদিকে, খুনের ঘটনায় এখনো মামলা দায়ের করেননি রিপনের পরিবার।

পুলিশ বলছে, দু’টি দ্বন্দ্বের জেরে সন্ত্রাসী হাসিব ও তার ক্যাডারদের ছুরিকাঘাতে রিপন খুন হতে পারে। কারণ দুটি হলো খড়কির মুন্সীবাড়ি ছাত্রাবাস দখল ও এম এম কলেজ এলাকায় পোস্টারের ওপর পোস্টার মারা। সন্ত্রাসী হাসিব একজন প্রভাবশালী পৌর কাউন্সিলরের শেল্টারে বেপরোয়া জীবন যাপন করছিলো।

পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, খড়কি এলাকার মুন্সীবাড়ি ছাত্রাবাসে এম এম কলেজের শিক্ষার্থীরা বসবাস করেন। ছাত্রাবাসটির দখল নিতে মরিয়া হয়ে ওঠে খড়কির আলোচিত সন্ত্রাসী ভুট্টোর শ্যালক মোস্তাক, একই এলাকার একজন ট্রাক শ্রমিক নেতা ও গাড়িখানা রোডের হাসিব। ওই ছাত্রাবাসের দখল নিতে তিন গ্রুপের মধ্যে শক্তির খেলা চলছিলো। বিগত দিনে এক পক্ষ আরেক পক্ষের ওপর হামলাও করেছে।

কয়েকদিন আগে মোস্তাককে দেখে দেয়ার হুমকি দেয় হাসিব। সোমবার রাতে হাসিব গং জানতে পারে মুজিব সড়ক দিয়ে মোস্তাকসহ তার কয়েকজন অনুসারী রিকশায় করে যাচ্ছে। বিষয়টি জানতে পেরে হাসিব গং তাদের ওপর হামলা চালায়। সন্ত্রাসীদের এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাতে খুন হন রিপন। এসময় মোস্তাক ও বিপুল আহত হন। মোস্তাকের প্রধান শক্তি ছিলো রিপন।

সূত্রটি আরো জানায়, কিছু দিন আগে পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী ভুট্টোর এক সমর্থক লিপ্টন এম এম কলেজ এলাকায় নিজের ছবি সম্বলিত পোস্টার মারে। ওই পোস্টারে ওপর হাসিব তার পোস্টার সেটে দেয়। যা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিলো। নিহত রিপন হোসেন সন্ত্রাসী ভুট্টোর অনুসারী। ভুট্টো পক্ষকে দুর্বল করতে হাসিব গং রিপনকে খুন করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ইনসপেক্টর (তদন্ত) এ কে এম সফিকুল আলম চৌধুরী জানান, সিসিটিভির ভিডিও ফটেজ দেখে কারা রিপন খুনের সাথে জড়িত তা প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তাদের আটকে পুলিশের কয়েকটি টিম বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। রিপন খুনের ঘটনায় মামলা না হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।

Comments