আজ বাঘারপাড়া মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার ঘুষ গ্রহণের তদন্ত জেলা অফিসে

প্রকাশিত: ১১:১৭ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৯

শান্ত দেবনাথ, বাঘারপাড়া (যশোর) প্রতিনিধিঃ অবশেষে যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নূর মোহাম্মদ তেজারতের ঘুষ গ্রহনের অভিযোগে তথ্য বহুল সংবাদ প্রকাশের পর এবার আমলে নিয়েছেন উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। গত বৃহস্পতিবার জেলা শিক্ষা অফিসারের কার্যালয় থেকে ৩৭.০২.৪১০০.০০১.৩১.০০১.১৮/৮২৩ স্মারকে সহকারী জেলা শিক্ষা অফিসার আব্বাস উদ্দিনের স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে তদন্তের ব্যাপারে জানানো হয়েছে। দুর্নীতিবাজ এই কর্মকর্তার বিষয়ে আজ (বৃহস্পতিবার) সকাল সাড়ে ১১টায় জেলা শিক্ষা অফিসারের কার্যালয়ে তদন্ত কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানা গেছে।

অভিযোগ প্রাপ্ত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের এস এস সি পরীক্ষার্থীদের নির্বাচনী পরীক্ষার পর উপজেলার ইন্দ্রা মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিদর্শনে যান এই শিক্ষা কর্মকর্তা। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেয়ে খুঁটিনাটি অনিয়ম খুঁজে প্রধান শিক্ষককে জিম্মি করে তার নিকট ১ লাখ টাকা উৎকোচ দাবী করেন। প্রধান শিক্ষক জমি বিক্রয় করে ৩০ হাজার টাকা ঐ কর্মকর্তার হাতে তুলে দেন। বাকি ৭০ হাজার টাকা না দেওয়ায় প্রধান শিক্ষককে বিভাগীয় মামলার ভয় দেখান। নিরুপায় হয়ে প্রধান শিক্ষক গত ২৩ জুলাই উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট ঘুষের টাকা ফেরত চেয়ে আবেদন করেন। যার সংবাদ গত ৩০ জুলাই থেকে ধরাবাহিকভাবে বিভিন্ন অনলাইন, প্রিন্ট পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। তার পরেও থেমে নেই সেই ঘুষ বানিজ্য। গত ৫ সেপ্টেম্বর এই কর্মকর্তার ঘুষ বানিজ্যের অডিও ফাঁসের সংবাদও বিভিন্ন অনলাইন পোর্টালসহ প্রিন্ট মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়। সংবাদ প্রকাশের মূহুর্তের মধ্যে তা ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন মহলে। আর এ সকল অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তাকে তদন্তের নির্দেশ দেন।

তদন্তের ব্যাপারে জেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা আব্বাস উদ্দিনের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নূর মোহাম্মদ তেজারতের ঘুষ গ্রহণের ব্যাপারে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা তাকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। ইতিমধ্যে এ সংক্রান্ত চিঠি সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি অভিযুক্ত ও অভিযোগকারীদের চিঠির মাধ্যমে জানানো হয়েছে। আজ (বৃহস্পতিবার) সকাল সাড়ে ১১টায় জেলা শিক্ষা অফিসারের কার্যালয়ে তদন্ত শুরু হবে। ঘটনার সত্যতা পেলে শিক্ষা কর্মকর্তার ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান।

Comments