পার্লামেন্টে ফিলিস্তিনের পক্ষে মালয়েশিয়ার সরকারি ও বিরোধী দল

প্রকাশিত: ৪:২৭ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ১০, ২০২৩
মালয়েশিয়ার

রাজনীতিতে মতবিরোধ ও দ্বন্দ্ব থাকলেও এবার নিপীড়িত ফিলিস্তিনির পক্ষে এক হয়েছে মালয়েশিয়ার সরকার ও বিরোধীদল।

ফিলিস্তিনিদের অধিকার ও সার্বভৌমত্বের দাবিতে ইসরায়েলে হামাসের আক্রমণ ও ফিলিস্তিনি জনগণের সংগ্রামের সমর্থনে মালয়েশিয়ার পার্লামেন্টে উভয় দলের সংসদ সদস্যরা (এমপি) ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন।

সোমবার (৯ অক্টোবর) দেওয়ান রাকিয়াতে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত নিয়ে বিতর্কের সময় তারা যৌথ অঙ্গীকার করেন।

দাতুক সেরি সাইফুদ্দিন আবদুল্লাহ (পিএন-ইন্দেরা মাহকোটা) বলেছেন, ফিলিস্তিনি জনগণের আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে এবং পুরো বিশ্বের উচিত এই সত্যটি মেনে নেওয়া। সবার উচিত ইসরায়েলের পেছনে থাকা পরাশক্তির তির্যক দৃষ্টিভঙ্গি প্রত্যাখ্যান করে ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়ানো।

আমি একমত, অবিলম্বে সমস্যার সমাধান হওয়া উচিত এবং যুদ্ধ বন্ধ করা উচিত। তবে যুদ্ধবিরতি হলে পরিস্থিতি স্থিতাবস্থায় চলে যাবে, সেটা উচিত নয়।

ইসরায়েলের অবৈধ দখলদারিত্ব ও বর্ণবাদ নীতি বন্ধ করার শর্তেই গ্রহণযোগ্য সমাধান হতে পারে। আমাদের অবশ্যই ইসরায়েল যে একটি বর্ণবাদী সত্তা তা সবাইকে বোঝাতে হবে।

এর আগে, উপপ্রধানমন্ত্রী দাতুক সেরি ড. আহমদ জাহিদ হামিদি গাজা উপত্যকায় চলমান সহিংসতা ও সশস্ত্র সংঘাত বন্ধ করার জন্য জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে অবিলম্বে পদক্ষেপ নিতে এবং সব পক্ষকে আহ্বান জানিয়ে মালয়েশিয়ার অবস্থান তুলে ধরেন।

আহমাদ জাহিদ বলেন, ফিলিস্তিনি জনগণকে ইসরায়েলের অবৈধ দখলদারিত্ব থেকে মুক্তির নিরঙ্কুশ অধিকার, ইসরায়েলের দখলকৃত জমি ফেরত দেওয়ার অধিকার এবং পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনের অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে।

সৈয়দ ইব্রাহিম সৈয়দ নোহ (পিএইচ-লেদাং) তার বিতর্কে বলেন, চলমান সংঘর্ষকে হামাসের সহিংস কাজ বলে আমি মনে করি না, বরং ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ইহুদিবাদী শাসকদের নিপীড়ন এবং নিষ্ঠুর কর্মকাণ্ড থেকে আত্মরক্ষা মনে করি।

ফিলিস্তিনের জন্য মালয়েশিয়ার পার্লামেন্ট ককাসের প্রধান সৈয়দ ইব্রাহিমও ইসরাইল ও সৌদি আরবের মধ্যে স্বাভাবিকীকরণের প্রচেষ্টার বিষয়ে সরকারকে তার অবস্থান জানানোর আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘যদি এটি (ইসরায়েল-সৌদি আরব স্বাভাবিকীকরণ) হয়, তবে এটি মালয়েশিয়াসহ সৌদি আরবের সাথে সম্পর্কযুক্ত দেশগুলোর জন্য একটি খুব জটিল পরিস্থিতি তৈরি করবে।’

Comments