‘একদিনের স্বৈরশাসক’ হয়ে কী করতে চান ট্রাম্প?

প্রকাশিত: ১:৫৬ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৭, ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, একুশ নিউজ : একদিকে ট্রাম্প ফিরলে মার্কিন গণতন্ত্র হুমকি মুখে পড়ার শঙ্কা অন্যদিকে গণতন্ত্র অব্যহত রাখার জোর প্রচেষ্টা। ট্রাম্পের দল রিপালিকান শীর্ষ নেতারাও যেখানে শঙ্কা প্রকাশ করছেন সেখানে ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেই স্বৈরশাসক হয়ে উঠবেন বলে প্রকাশ্যে ঘোষণা দিলেন। যদিও তা একদিনের জন্য।

কিন্তু ওই একদিনের স্বৈরশাসনও মার্কিন রাজনীতিতে ব্যাপক পরিবর্তন নিয়ে আসবে। জটিল করে তুলবে আঞ্চলিক রাজনীতি ও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক।

এরই মধ্যে জো বাইডেন ঘোষণা দিয়েছেন ট্রাম্প নির্বাচনে আসলে তিনিও আসবেন। কিন্তু ট্রাম্প না ফিরলে তার (বাইডেন) সম্ভাবনা কম। মঙ্গলবার ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের রাজধানী বোস্টনে ২০২৪ সালের নির্বাচনী তহবিল সংগ্রহ প্রচারণায় অংশ নিয়ে বাইডেন এ ঘোষণা দেন।

অন্যদিকে একইদিনে ডোনাল্ড ট্রাম্প এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, ‘আমি পুননির্বাচিত হলে একনায়ক হয়ে উঠব না, কেবল প্রথম দিনটি ছাড়া’।

ক্ষমতায় ফেরার প্রথম দিন ‘স্বৈরশাসক’ হয়ে কী করবেন?এমন প্রশ্নে ট্রাম্প বলেন, তিনি প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা ব্যবহার করে দক্ষিণাঞ্চলীয় মেক্সিকো সীমান্ত বন্ধ করে দেবেন এবং তেল উত্তোলন বাড়াবেন।

বলাই বাহুল্য মেক্সিকো সীমান্তে সত্যি সত্যি দেয়াল তুলে দিলে তা দেশটির যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক হুমকির মুখে ফেলবে।

সম্প্রতি আশঙ্কা প্রকাশ করে ট্রাম্পের দল রিপাবলিকান পার্টির নেতা লিজ চেনি বলেছেন, দু’বারের অভিশংসিত সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প পুনরায় প্রেসিডেন্ট হিসেবে ফিরে আসলে যুক্তরাষ্ট্র ধীরে ধীরে স্বৈরতন্ত্রের দিকে ধাবিত হবে।
উল্লেখ্য, উন্নত জীবনের আশায় মেক্সিকো সীমান্ত পেরিয়ে বহু মানুষ অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেন। ২০১৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েই ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছিলেন, অনুপ্রবেশ আটকাতে মেক্সিকো সীমান্তে প্রাচীর তোলা হবে।

২০১৯ সালে সেই লক্ষ্যে তিনি শুরু করেছিলেন শরণার্থী হটাও অভিযান। তবে ২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর ট্রাম্পের সেই নীতি বাতিল করেন জো বাইডেন।

এদিকে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ক্যাপিটাল হিলের হামলা, বিগত নির্বাচনে কারচুপির চেষ্টা, দুর্নীতি ও নারী কেলেঙ্কারির একাধিক মামলা চলমান। এসব মামলায় দণ্ডিত হলে ট্রাম্প নির্বাচন করতে পারবেন কি না, তা এখনো নিশ্চিত নয়।

অন্যদিকে করোনা মহামারি, রাশিয়া-ইউক্রেন এবং ইসরাইল-হামাস যুদ্ধসহ নানা কারণে মার্কিন অর্থনীতিতে বিপর্যয় দেখা দেয়ায় জনপ্রিয়তা অনেকটাই কমেছে ৮১ বছর বয়সী বাইডেনের। এছাড়াও বাইডেনের বয়স নিয়ে ভোটারদের মধ্যে উদ্বেগ রয়েছে। এছাড়া সম্প্রতি ফিলিস্তিন ইস্যুতে মার্কিনিদের এ প্রেক্ষিতে কোনো কোনো ডেমোক্রেট নতুন প্রার্থীর জন্যে বাইডেনকে সরে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।

/একুশনিউজ/ইএসএস/

Comments