চবিতে নতুন শহীদ মিনারের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন

প্রকাশিত: ৬:১০ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৯

আরিফ হোসেন সবুজ, চবি: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) নতুন ডিজাইনে শহীদ মিনারের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২ টায় এ ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হয়। এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন চবির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার, প্রক্টর অধ্যাপক আলী আজগর চৌধুরী, বিভিন্ন অনুষদের ডিনবৃন্দ ও প্রভোস্টগণ।এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকসহ শতাধিক শিক্ষার্থীবৃন্দ।

ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনের সময় চবি উপাচার্য বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের আদলেই হবে এটির নকশা। আর স্থান হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে বর্তমান শহীদ মিনারের পূর্ব পাশের খালি জায়গাটি। এজন্য বর্তমান শহীদ মিনারের পূর্ব পাশের সড়কটি বন্ধ করে দেওয়া হবে। পাশাপাশি পুরনো শহীদ মিনারের নকশা ও স্থান সংকুচিত করে বিজয় স্তম্ভ নাম করণ করা হবে। আর বর্তমানে শহীদ মিনারের চূড়ায় থাকা আনারস আকৃতির পরিবর্তে কংক্রিটের কাঠামোতে জাতীয় পতাকা বসানো হবে।

উপাচার্য আরো বলেন, এখন শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে দাবি এসেছে তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের আদলে একটা শহীদ মিনার চায়।

উপাচার্য আরো বলেন, আজ ভাষার মাসের শেষ দিনে নতুন শহীদ মিনারের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হলো। এই শহীদ মিনারটি নির্মিত হবে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের ভিত্তিতে। নতুন শহীদ মিনারের নকশা প্রণয়ন করতে ঢাবির শহীদ মিনারটি পর্যবেক্ষণের জন্য প্রকৌশলীদের একটি দলকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আমরা আশা করছি শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষার প্রেক্ষিতে আমরা একটি সত্যিকারের মুক্তিযুদ্ধেরর চেতনা ভিত্তিক শহীদ মিনার তৈরি করতে পারবো।

উল্লেখ্য, ১৯৬৬ খ্রিষ্টাব্দের চারটি ইটের স্তম্ভে নির্মিত হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার। ১৯৯১ খ্রিষ্টাব্দের ২৯ এপ্রিল ঘূর্ণিঝড়ে তা ক্ষতিগ্রস্থ হয়। পরে ১৯৯৩ খ্রিষ্টাব্দের ১৭ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন বিএনপি সরকারের আমলে বর্তমান শহীদ মিনারটি নির্মাণ করা হয়। সে নকশার সাথে অনেকাংশেই মিল রয়েছে পাকিস্তানের লাহোরের ইকবাল পার্কে অবস্থিত ‘মিনার-ই-পাকিস্তান’ এর। পাশাপাশি এর চূড়ায় আনারস সদৃশ একটি প্রতীকও রয়েছে। যা নিয়ে বিভিন্ন সময়ে নানা সমালোচনা ও বিতর্ক হয়।

/আরএ

Comments