রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ফিলিস্তিন সংহতি সমাবেশ

প্রকাশিত: ৪:০১ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৯, ২০২৩
ঢাবি শিক্ষার্থীদের ব্যানারে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ফিলিস্তিন সংহতি সমাবেশ।

ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে চলমান সংঘর্ষে ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানিয়ে সংহতি সমাবেশ এবং মিছিল করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী।

সোমবার (৯ অক্টোবর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এ সংহতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সংহতি সামবেশে বক্তব্য দেন সংগঠক ঢাবি শিক্ষার্থী জামালুদ্দীন মুহাম্মাদ খালিদ বলেন, আজ ফিলিস্তিনি ভাইয়েরা দেখিয়ে দিয়েছে- কীভাবে ভূমিদস্যু দখলদারদের তাড়াতে হয়। এই মুহূর্তে যারা প্রশ্ন তুলছে যে, কে আগে আক্রমণ করেছে? আমরা তাদের উদ্দেশ্য করে বলবো- তারা পৃথিবীর সব দখলদার-স্বৈরাচারদের সপক্ষীয়। যেখানে প্রতিনিয়ত আমার মসজিদ কিংবা বাসস্থানে হামলা করছে, নারী-শিশুকে গুলি করে হত্যা করছে, বাড়িঘর দখল করছে- সেখানে আমি আগে হামলা করব নাকি করব না সেটা তো জানা কথা।

সংহতি সমাবেশে নারী শিক্ষার্থীরাও ব্যাপকভাবে অংশগ্রহণ করে।

খালিদ বলেন, যারা জুলুমের শিকার হবে, তারাই প্রতিরোধ করবে, আক্রমণ করবে, এটাই স্বাভাবিক। আমরা ফিলিস্তিনের সংগ্রামী প্রতিরোধের সাথে সংহতি প্রকাশ করছি। আমরা ফিলিস্তিনিদের মুক্তি চাই, স্বাধীনতা চাই এবং ইসরায়েলের ধ্বংস চাই।

আইন বিভাগের শিক্ষার্থী শাখাওয়াত জাকারিয়া বলেন, ১৯৪৮ সাল থেকেই এ পর্যন্ত দখলদার ইসরায়েল ফিলিস্তিনি ভাইবোনদের ওপর হামলা করছে এবং তাদের বাস্তুভিটা থেকে প্রতিনিয়ত উৎখাত করছে। সেক্ষেত্রে, আমাদের দেশের কিছু ইম্পোর্টেড শায়খ গাজা আক্রান্ত হওয়ার জন্য হামাসকে দোষারোপ করছে। আমরা আমাদের এই সমাবেশ থেকে তাদের দাবিকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করে ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ যোদ্ধাদের প্রতিরোধের প্রতি সংহতি প্রকাশ করছি।

আমেরিকার পথে পথে ফিলিস্তিনের পতাকা

পাশাপাশি আমরা বাংলাদেশ সরকারের কাছে এই দাবি জানাচ্ছি যে, আবারও আমাদের দেশের পাসপোর্টে ‘এক্সেপ্ট ইসরায়েল’ লেখাটি যুক্ত করতে হবে। আর আমরা বলতে চাই, ইসরায়েল বাংলাদেশের মুসলমানদের শত্রু ছিল, এখনো আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে।

Comments