আন্দোলনের মুখে বদলি করা হলো জাবি’র ডেপুটি রেজিস্ট্রারকে

প্রকাশিত: ৭:৫৪ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৯, ২০২৩

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাদের আন্দোলনের মুখে ডেপুটি রেজিস্ট্রার (প্রশাসন-২) বি এম কামরুজ্জামানকে উচ্চশিক্ষা ও বৃত্তি শাখায় বদলি করা হয়েছে। একই সঙ্গে এ বি এম আজিজুর রহমানকে কর্মী প্রশাসন (প্রশাসন-২) শাখায় বদলি করা হয়েছে।

আজ রোববার (৯ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের চুক্তিভিত্তিক রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

অফিস আদেশে বলা হয়েছে, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কাজের সুবিধার্থে আজিজুর রহমানকে কর্মী প্রশাসন (প্রশাসন-২) শাখায় এবং বি এম কামরুজ্জামানকে উচ্চশিক্ষা ও বৃত্তি শাখায় বদলি করা হলো। এ বদলির কারণে তাঁদের বেতন বা সিনিয়রিটির (জ্যেষ্ঠতা) কোনো তারতম্য হবে না। এ ছাড়া কাউন্সিল শাখা আপাতত রেজিস্ট্রারের তত্ত্বাবধানে থাকবে।

বদলির বিষয়ে বি এম কামরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমাকে বদলি করা হয়েছে। এ ছাড়া দীর্ঘদিন ধরে একই শাখায় আছি। এখানে আসলে সবার মন জোগায় চলা সম্ভব হয় না। তাই আমি নিজেও বদলি হতে চাচ্ছিলাম। আর পদোন্নতি নীতিমালা পরিবর্তন নিয়ে কর্মকর্তাদের মধ্যে কিছু ব্যক্তি ঈর্ষান্বিত হয়ে আমার বদলির বিষয়ে আন্দোলন করেন। কিন্তু এই নীতিমালা পরিবর্তনে আমার বিন্দুমাত্র অপরাধ ছিল না।’

এর আগে গত ২৮ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসার সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ আজীম উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক মো. রবিউল্লাহ স্বাক্ষরিত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে চার দফা দাবি জানানো হয়। কর্মকর্তাদের দাবিগুলো ছিল—৯ মার্চ অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় অনুমোদিত কর্মকর্তা নিয়োগ ও পদোন্নতি নীতিমালা বাতিল করে ২০১৯ সালের নীতিমালা অনুযায়ী পদোন্নতি বাস্তবায়ন করা; কর্মকর্তা নিয়োগ ও পদোন্নতির বর্তমান রিভিউ কমিটি পুনর্গঠন করে কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে অন্তর্ভুক্ত করা; ডেপুটি রেজিস্ট্রার (প্রশাসন-২) এ বি এম কামরুজ্জামানকে রেজিস্ট্রারের কার্যালয় থেকে অন্যত্র বদলি করা; যেসব কার্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আছেন, তাঁদের স্থায়ী করা ও সব অফিসে ‘কার্যালয় প্রধান’ হিসেবে কর্মকর্তাদের পদায়ন করা।

ওই চিঠিতে বলা হয়েছিল, ৩০ মার্চের মধ্যে দাবি আদায় না হলে ২ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবন ঘেরাও করবেন কর্মকর্তারা। পরে ২ এপ্রিল সকাল আটটায় ওই চার দফা দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি ও অবস্থান ধর্মঘট পালন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তারা। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলমকে আগামী সিন্ডিকেট সভা পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়ে তাঁরা আন্দোলন স্থগিত করেন।

এ বিষয়ে জানতে উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলমের কাছে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি সাড়া দেননি। তবে এর আগে ২ এপ্রিল উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলম মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেছিলেন, ‘তাঁদের চার দফা দাবি সংবলিত একটি চিঠি আমি পেয়েছি। তাঁদের দেওয়া চারটি দাবি সম্পর্কে আমি বলেছি, পরবর্তী সিন্ডিকেটে দাবিগুলো তুলে সিদ্ধান্ত নেব। আর ডেপুটি রেজিস্ট্রার কামরুজ্জামানকে অপসারণের দাবির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে তাঁদের কাছে আমি একটু সময় নিয়েছি।’

/এইচআর/একুশনিউজ/

Comments