চবি ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ‘র‍্যাগ ডে’ অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত: ৮:১৭ অপরাহ্ণ, মার্চ ৬, ২০১৯

আরিফ হোসেন সবুজ, চবি: দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ, উচ্চ শিক্ষার প্রাণকেন্দ্র পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। এখান থেকে দেশের সর্বোচ্চ ডিগ্রিও প্রদান করা হয়। আর এই ডিগ্রি অর্জনের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘটে বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগ ডে উদযাপনের মধ্য দিয়ে। তেমননিভাবে শিক্ষা সমাপনী সংক্রান্ত অনুষ্ঠান র্যাগ ডে উদযাপিত হয়ে গেল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে।

র‍্যাগ ডে প্রতিটি বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য আনন্দের দিন। কারণ এই দিনে সবাই রঙ খেলায় মেতে ওঠে। বন্ধু,সিনিয়র ও জুনিয়র একে অন্যকে রাঙিয়ে দেয় রঙ দিয়ে। তার সাথে নাচ-গান আর আনন্দ-উল্লাস তো আছেই।

৬ মার্চ (মঙ্গলবার) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থীরাও মেতে ওঠে রঙের খেলায়। বিভাগের ৪০ তম ব্যাচের র‍্যাগ ডে উপলক্ষ্যে ছিল এই আয়োজন।

শিক্ষা সমাপনী অনুষ্ঠান ঘিরে ছিল নানা আয়োজন। দুপুর ১ টায় কেক কেটে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়। এর পর শুরু হয় রঙ নিয়ে খেলা। আর সাদা টি-শার্টে মজার বাক্য লেখা তো আছেই। পরে লাইব্রেরীর সামনে থেকে একটি র‍্যালি বের করে বিভাগের শিক্ষার্থীরা। র‍্যালিটি চবি স্টেশন থেকে ঘুরে আবার কলা অনুষদে ফিরে আসে। পরে বিকাল ৩ টায় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

র‍্যাগ ডে সম্পর্কে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক শাহ আলম বলেন, বাংলাদেশে আমি র‍্যাগ ডে এর পক্ষে। কিন্তু র‍্যাগিং এর উদ্দেশ্য যেন কাউকে লাঞ্চিত করা না হয়। র‍্যাগিং এর মাধ্যমে ভাল কিছু সৃষ্টি করতে হবে। শিক্ষার্থীদের ভালোর জন্য সমাজের ভালোর জন্য কাজ করতে হবে। কারণ আমরা অনেক সূক্ষ্ম সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি। র‍্যাগ ডে যেন শিক্ষার্থীদের সাহায্য করার জন্য হয়।

সারাদিনের আনন্দ উল্লাস শেষে বাজে বিদায়ের ঘণ্টা। অনেক শিক্ষার্থীই হয়ে পড়েন আবেগ তাড়িত। বিদায়ের সুর অনুরণন তোলে তাদের মনে আর এর বহিঃপ্রকাশ ছিল তাদের কথায়, তাদের অভিব্যক্তিতে।

র‍্যাগ ডে এর রয়েছে একটি দারুণ ইতিহাস। র‍্যাগ ডে এসেছে র‍্যাগিং থেকে। র‍্যাগিং বলতে আমরা বুঝি কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সিনিয়র কর্তৃক জুনিয়রের লাঞ্চিত হওয়া। অতীতে ইউরোপে একটা দল পথচারীদের র‍্যাগিং করত। কিন্তু এই র‍্যাগিং এর উদ্দেশ্য ছিল একদমই আলাদা। তাদের উদ্দেশ্য ছিল একটা চ্যারিটির জন্য অর্থ সংগ্রহ করা। তাদের উদ্দেশ্য ছিল সেই অর্থ দ্বারা অসহায় মানুষের সেবা করা।

২০১১ সালে যুক্তরাজ্য ও আয়ারল্যান্ডে নাফসা(NAFSA) নামক একটি চ্যারিটি খোলা হয়। যেটা মানবতার জন্য কাজ করত। পরে সেটি সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে।

বিআইজে/

Comments