যশোরে ‘ছেলেধরা’ সন্দেহে তিন রোহিঙ্গাসহ ৪ জনকে গণপিটুনি

প্রকাশিত: ২:০২ অপরাহ্ণ, মে ১২, ২০১৯

বিল্লাল হোসেন,যশোর প্রতিনিধি: যশোরে পৃথক স্থানে ছেলেধরা সন্দেহে তিন রোহিঙ্গাসহ ৪ জন গণপিটুনির শিকার হয়েছে। আহতরা হলেন, মায়ানমারের জিতেন চৌধুরীর ছেলে রেনে চৌধুরী (৩২), হামিমের ছেলে জুয়েল (৩৫), সাহেব আলীর ছেলে শহিদ (৩০) ও ভারতের বারাসাতের পুশ্নের স্ত্রী স্বপ্না (৪৮)।

আহতদের মধ্যে গুরুতর দুই জন যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

চাঁচড়া পুলিশ ফাঁড়ির এসআই হারুন জানান, শনিবার রাত ৯টার দিকে রেনে চৌধুরী যশোর শহরতলী চাঁচড়া মধ্যপাড়ায় সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরি করছিলেন। এসময় এলাকার লোকজন ‘ছেলে ধরা’ সন্দেহে তাকে গণপিটুনি দেয়। খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে রাত ১০টা ৫ মিনিটে হাসপাতালে আনা হয়।

যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই আমির জানান, রাত ১০টার দিকে সদর উপেজলার রামনগর রাজারহাটে ‘ছেলে ধরা’ সন্দেহে জুয়েল ও শহিদ গণপিটুনির শিকার হয়। তাদের উদ্ধার করে রাত ১০টা ৫০ মিনিটে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসক কাজল মল্লিক জানান, শনিবার রাতে দুটি স্থানে গণপিটুনিতে আহত ৩ জনের মধ্যে জুয়েল ও শহিদের অবস্থা গুরুতর। তারা দুইজনকে ভর্তি করে চিকিৎসার জন্য ওয়ার্ডে পাঠানো হয়। অপরজন রেনে চৌধুরীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

অপরদিকে, এস আই আসাদ জানিয়েছেন, ‘ছেলে ধরা’ সন্দেহে স্বপ্নাকে সতিঘাটা এলাকা থেকে আটক করে এলাকার লোকজন। পরে তার অসংলগ্ন কথাবার্তার কারণে তিনি গণপিটুনির শিকার হন।

খবর পেয়ে জখম অবস্থায় তাকে উদ্ধারের পর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। স্বপ্না ভারতীয় নাগরিক বলে জানা গেছে। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসক আহমেদ তারেক শামস জানান, আহত স্বপ্নার প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে।

এসকে/

Comments