একুশ ডেস্ক: ৭ তারিখের পর আর সংলাপ চালানো সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শনিবার জেল হত্যা দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, ৮ তারিখ পর্যন্ত যেতে পারছি না, ৭ তারিখে শেষ করব। ৭ তারিখের পরে আর কোনো আলোচনা নয়।

শুক্রবার বিকল্প ধারা নেতৃত্বাধীন যুক্তফ্রন্টের সঙ্গে সংলাপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর জাতীয় পার্টি, বাম গণতান্ত্রিক জোটকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে গণভবনে।

মোট ৮৫টির মতো দল আলোচনায় বসার সুযোগ চেয়েছে জানিয়ে কাদের বলেন, সব মিলিয়ে ৮৫টার মতো রাজনৈতিক দল সংলাপ চেয়েছে। তবে সংলাপ দীর্ঘ সময় চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়, কারণ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা এর মধ্যে হয়ে যাবে।

গত বৃহস্পতিবার সংলাপ শুরুর দিনই রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করেছে সিইসিসহ নির্বাচন কমিশনাররা। সিইসি কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, ৪ নভেম্বর রোববার ইসির বৈঠকে তফসিল ঘোষণার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন তারা।

এদিকে গতকালকের যুক্তফ্রন্টের সংলাপের ব্যাপারে তিনি বলেন, তাদের কিছু কিছু দাবি আমাদের নেত্রী মেনে নেওয়ার কথা বলেছেন। যেগুলো সংবিধানের বাহিরে যাবে না, সেগুলো।

বিকল্পধারার দাবি অনুযায়ী কিছু কিছু বিষয়ে ইলেকশন কমিশনকে বলার জন্য মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অনুরোধ করবে বলেও তিনি জানান।

কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন করতে চায় এবং নিবন্ধিত সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণও প্রত্যাশা করছে। কেউ সহিংসতার পথ বেছে নিলে সমুচিৎ জবাব দেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

কাদের বলেন, আমরা সতর্ক আছি; কারণ কারো মনে যদি কোনো মতলব থাকে, কেউ যদি সংলাপে লোক দেখানো অংশ নিয়ে ভেতরে ভেতরে নাশকতার ছক আঁকে, যদি সহিংসতার দিকে পা বাড়ায়, সেই দিকেও আমরা সতর্ক আছি।

আমরা সংলাপও করছি, নির্বাচনের প্রস্ততিও নিচ্ছি। সঙ্গে সঙ্গে কেউ যদি নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করে সেটার সমুচিত জবাবের প্রস্তুতিও আমরা নিচ্ছি।

/আরএ

Comments