‘আমরা শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ চাই’ মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে হলে আমাদের দেশকে সাম্প্রদায়িক শক্তির হাত থেকে রক্ষা করতে হবে। তরুণ প্রজন্মকে মাদকের হাত থেকে রক্ষ করতে হবে।

বুধবার (০৬ মার্চ) রাজধানীর মতিঝিল ‘সাউথ পয়েন্ট নগর ব্যায়ামাগার’ উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।

আমাদের তরুণ প্রজন্মকে মাদকের হাত থেকে রক্ষা করতে হবে উল্লেখ করে ঢাকা-৮ আসনের এই এমপি বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে সফল হতে এই ব্যায়ামগারগুলো একটি গুরত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করবে। ব্যায়াম করলে শারিরীক ও মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকে। ফলে মাদক কখনোই তাদেরকে আসক্ত করতে পারে না। তিনি বলেন, মাদকমুক্ত বাংলাদেশ গড়া প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ় অঙ্গীকার।

নাছিম আরও বলেন, আমাদের দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে মাদকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে হবে। মাদক নির্মূল করা গেলে আমাদের তরুণ প্রজন্ম সুস্থভাবে বেড়ে উঠবে।

বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, আমরা গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতাকে এগিয়ে নিয়ে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ, জাগ্রত বাংলাদেশ এবং বীরের জাতি হিসেবে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলবো। যে সোনার বাংলাদেশ হবে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ, সে সোনার বাংলাদেশ হবে ধনী-গরিবের বৈষম্যহীন একটি বাংলাদেশ। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একটি আধুনিক আত্মমর্যাদাশীল এবং সুন্দর শান্তিময় বাংলাদেশ আমরা প্রতিষ্ঠা করবো, এই হলো আমাদের লক্ষ্য।

সন্ত্রাস, চাঁদাবাজের হাত থেকে বাংলাদেশ মুক্তি পাবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অন্যতম লক্ষ্য হলো সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও মাদকমুক্ত বাংলাদেশ গড়া।

তিনি বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে অভিযান পরিচালিত হচ্ছে তা অব্যাহত থাকবে। এর পাশাপাশি আমাদেরকেও মাদকের বিরুদ্ধে তৈরি থাকতে হবে।

তিনি বলেন, এক সময় সুঠাম দেহের অধিকারী বডি বিল্ডারদের প্রাণকেন্দ্র ছিলো ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পুরান ঢাকা। ঢাকাকে সেই পুরনো ধারায় সারা বাংলাদেশের মানুষের কাছে তুলে ধরার জন্য ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন উদ্যোগ নিয়েছে। তারা আগামী দিনে এমন আরও ব্যায়ামগার নির্মাণ করে ঢাকা শহরকে মাদকমুক্ত করতে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখবে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফিসহ স্থানীয় কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ।

Comments