নির্দেশ ছিলো খাশোগিকে হত্যা করে পালিয়ে যাও: এরদোগান

প্রকাশিত: ১২:০২ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৩, ২০১৮

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যার ঘটনায় প্রথমবারের মত সরাসরি সৌদি সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান ।

যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকার একটি নিবন্ধে লিখেছেন, আমরা জেনেছি-খাশোগিকে হত্যা করার নির্দেশ সৌদি সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে এসেছে।

তবে সেখানে তুরস্কের সাথে সৌদি আরবের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের বিষয়টিতে গুরুত্ব আরোপ করে তিনি এমনটাও বলেছেন যে এই ঘটনায় বাদশাহ সালমানের সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে তিনি বিশ্বাস করেন না।

তুরস্কের তদন্তকারীদের ধারণা তুরস্কের একজন নাগরিকের সাথে বিয়ে করার উদ্দেশ্যে সৌদি দূতাবাসে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিতে গেলে  স্বেচ্ছা নির্বাসিত সাংবাদিক খাশোগিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। তাঁর মৃতদেহ এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি।

প্রেসিডেন্ট এরদোগানের দলের একজন শীর্ষ নেতা বলেছেন যে তাঁর ধারণা খাশোগির মৃতদেহ টুকরো টুকরো করে এসিডে গলিয়ে ফেলা হয়েছে।

শুরুতে এই হত্যার কথা স্বীকার না করায় সৌদি আরবের সাথে তাদের মিত্র দেশগুলোর কূটনৈতিক সম্পর্কে চিড় ধরতে শুরু করে।

পরবর্তীতে এই ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে সন্দেহভাজন ১৮ জনকে আটক করে সৌদি আরব কর্তৃপক্ষ।

তুরস্ক চায় এই ১৮জনকে যেন তাদের হাতে প্রত্যর্পণ করা হয়। ওয়াশিংটন পোস্টে এরদোগান লিখেছেন, সৌদি আরবে আটক হওয়া ১৮ জনের মধ্যেই হত্যাকারীরা রয়েছে বলে আমরা নিশ্চিত।

আমরা এও জানি যে তারা শুধু একটি নির্দেশ পালন করছিলো। নির্দেশ ছিলো, খাশোগিকে হত্যা করে পালিয়ে যাও। এবং খাশোগিকে হত্যা করার এই নির্দেশটি যে সৌদি সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে এসেছে সে বিষয়েও আমরা নিশ্চিত।

হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে এরদোগান লিখেন, আর কখনো নেটো জোটভুক্ত কোনো দেশের মাটিতে এই ধরণের অপরাধ সংঘটিত করার সাহস যেন কেউ না পায়। কেউ যদি এ ধরণের কাজ করে থাকে, তাহলে তাদের পরিণতি হবে ভয়াবহ।

উল্লেখ্য, গত ২ অক্টোবর জামাল খাশোগি ব্যক্তিগত কিছু কাগজপত্র তোলার জন্য ইস্তাম্বুলের সৌদি দূতাবাসে গেলে তাকে হত্যা করা হয়।

/আরএ

Comments