লন্ডনে ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়ের ‍উপর বিএনপি কর্মীদের হামলা

প্রকাশিত: ১২:০৪ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৯, ২০১৮

লন্ডনে ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয় ওপর হামলা চালিয়েছে যুক্তরাজ্য বিএনপির নেতাকর্মীরা। বুধবার স্থানীয় সময় বিকেলে ওয়েস্টমিনস্টারের দ্বিতীয় কুইন এলিজাবেথ কনফারেন্স সেন্টারের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, কমনওয়েলথ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বর্তমানে লন্ডনে অবস্থান করছেন। তার এই সফরের বিরুদ্ধে প্রতিদিন বিক্ষোভ করছেন যুক্তরাজ্য বিএনপির নেতাকর্মীরা।

বুধবার স্থানীয় সময় বেলা সাড়ে তিনটা থেকে দ্বিতীয় কুইন এলিজাবেথ কনফারেন্স সেন্টারে সরকারপ্রধানদের বৈঠকে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কনফারেন্স সেন্টারের বাইরে বিক্ষোভ করছিলেন যুক্তরাজ্য বিএনপির নেতা-কর্মীরা। পাশেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরকে স্বাগত জানিয়ে স্লোগান দিচ্ছিলেন যুক্তরাজ্য শাখা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, উপমন্ত্রী আরিফ খান জয় বিএনপির বিক্ষোভের পাশ দিয়ে হেঁটে সম্মেলন স্থলের দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় বিএনপির বিক্ষোভ থেকে তার উদ্দেশে কটুক্তিমূলক মন্তব্য করা হয়। একপর্যায়ে উপমন্ত্রীকে শারীরিকভাবে হেনস্তাও করেন কয়েকজন।

এ সময় আরিফ খান দৌড়ে গিয়ে পাশের বারক্লেস ব্যাংকের সামনে গিয়ে আশ্রয় খোঁজেন। হামলাকারীরাও তার পিছু নেন। পরে অবশ্য বিএনপির কিছু নেতাকর্মীরাই তাকে রক্ষা করেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিও চিত্রে দেখা যায়, বারক্লেস ব্যাংকের সামনে উপমন্ত্রীকে ঘিরে রেখে হামলা থেকে রক্ষার চেষ্টা করছেন বিএনপির কিছু নেতা-কর্মী। তারা হামলাকারীদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। তবে হামলাকারীরা উপমন্ত্রীকে উদ্দেশে করে কটুক্তি করেন। একজন দূর থেকে তার দিকে পানি ছুড়ে মারেন। এর মধ্যে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

এ ব্যাপারে যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালেক বলেন, ‘আমরা বিক্ষোভ করার সময় আওয়ামী লীগের লোকজন সাধারণত আমাদের কাছে আসেন না। তিনি (আরিফ খান জয়) কেন আসলেন, আমরা বুঝলাম না। উত্তেজিত নেতাকর্মীরা আশঙ্কা থেকে এ ঘটনা ঘটিয়েছে’।

এম এ মালেক বলেন, তারা উপমন্ত্রীকে রক্ষা না করলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতো। এ ঘটনায় মারুফ ও বাপ্পি নামে দুজনকে পুলিশ আটক করেছে বলে জানান তিনি।

তবে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক বলেন, ‘বিদেশের মাটিতে বিএনপি কর্মীরা যে ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে, তার নিন্দা জানানোর ভাষা খুঁজে পাওয়া কঠিন।

তারা আবারো প্রমাণ করলো, প্রচলিত রাজনীতির সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই। তারা কেবলই সন্ত্রাসী সংগঠন। এই সমস্ত সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদী রাজনীতির সঙ্গে বাংলাদেশের গণমানুষের কোনো সম্পর্ক নেই। অবশ্যই এদের শাস্তি হবে বলেও মন্তব্য করেন সৈয়দ সাজিদ।

/এমএম

Comments