বিশ্বকাপে টাইগারদের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড

প্রকাশিত: ৭:৪৪ অপরাহ্ণ, জুন ২, ২০১৯

ডেস্ক: বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ওভালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৬ উইকেটে ৩৩০ রানের বড় স্কোর গড়েছে বাংলাদেশ। যা বিশ্বকাপে টাইগারদের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড।

এর আগে ২০১৫ বিশ্বকাপে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ৩১৮ রান তাড়া করতে নেমে ৩২২ রান করে ম্যাচ জিতেছিল বাংলাদেশ।

ইনিংসের শুরু থেকে সৌম্য সরকার একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকালেও অন্য প্রান্ত আগলে রেখে ব্যাট করেন তামিম। প্রোটিয়া বোলারদের চার্জ করে ৩০ বলে ৪২ রানের টর্নেডো ইনিংস খেলেন সৌম্য।

সাকিবের ব্যাট থেকে আসে ৭৫ রান। ৭৮ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন মুশফিক। শেষদিকে মোসাদ্দেক-মাহমুদউল্লাহর ব্যাটে ক্যামিও। আর তাতেই নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ স্কোরবোর্ডে জমা করেছে ৩৩০ রান।

লন্ডনের কেনিংটন ওভালে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে সতর্ক শুরু করে বাংলাদেশ। লুঙ্গি এনগিডি এবং কাগিসো রাবাদা দুজনকেই বেদম প্রহারের শিকার হতে হয়েছে। বাউন্ডারি হাঁকিয়ে রানের খাতা খোলেন সৌম্য সরকার। এরপর দ্রুতই রানের চাকা সচল করেন এই তরুণ ওপেনার। বিধ্বংসী সৌম্যর সঙ্গে তামিমের সাবলীল ব্যাটিংয়ে ৭ ওভারে টাইগারদের স্কোর ৫০ স্পর্শ করে।

আন্দিলে ফেলুকায়ো এসেই তুলে নেন তামিম ইকবালকে। সৌম্য সরকারের সঙ্গে তার ওপেনিং জুটি হয়েছিল ৬০ রানের। ফেলুকায়োর বল তামিমের ব্যাট ছুঁয়ে উইকেটকিপার কুইন্টন ডি ককের গ্লাভসে জমা নিলে তামিমের ২৯ বলে ২ চারে ১৬ রানের ইনিংস শেষ হয়।

সৌম্যর সঙ্গী হন বিশ্বসেরা অল-রাউন্ডার সাকিব আল হাসান। ক্রিস মরিসের বলে মিস টাইমিং করে উইকেটকিপার কুইন্টন ডি ককের গ্লাভসে ক্যাচ দেন ৩০ বলে ৯ বাউন্ডারিতে ৪২ রান করা সৌম্য। ১৫ রানের ব্যবধানে ফেরেন দুই ওপেনার। দলীয় ৭৫ রানে দুই ওপেনারের বিদায়ের পর দলের হাল ধরেন দুই অভিজ্ঞ তারকা সাকিব আল হাসান এবং মুশফিকুর রহিম।

তৃতীয় উইকেটে শতরানের জুটি গড়েন সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম। তৃতীয় উইকেটে তাড়া ১৪২ রানের জুটি গড়েন। তাদের অনবদ্য জুটিতে চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ার পুঁজি পায় বাংলাদেশ। মাত্র ৩২ ওভারে ২০০ ছাড়িয়ে গেছে বাংলাদেশের স্কোর।

ক্যারিয়ারের ৪৩তম ওডিআইট ফিফটি গড়ার পর সেঞ্চুরি পথেই ছিলেন সাকিব। কিন্তু ইমরান তাহিরের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন সাকিব। তার আগে ৮৪ বলে ৮টি চার ও এক ছক্কায় ৭৫ রান করেন বিশ্বসেরা এ অলরাউন্ডার।

সাকিব ফিরে গেলে মুশফিককে সঙ্গ দিতে এসে ঝড়ো শুরু করেন মোহাম্মদ মিঠুনও। ২ চার ও ১ ছয়ে ২১ বলে ২১ করা মিঠুনকেও প্যাভিলিয়নে ফেরান ইমরান তাহির।

সাকিব আল হাসানের পর সেঞ্চুরি মিস করেছেন মুশফিকুর রহিম। সাকিব ৭৫ রানে আউট হয়েছেন আর মুশি আউট হলেন ৭৮ রানে। মি. ডিপেন্ডেবলের ৮০ বলে ৮ বাউন্ডারিতে ৭৮ রানের ইনিংসটি থামে ফেলুকায়োর বলে ভেন ডার ডাসেনের তালুবন্দি হয়ে।

শেষদিকে প্রোটিয়া বোলারদের উপর স্টিম রোলার চালান মোসাদ্দেক হোসেন ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ক্রিস মরিসের করা ইনিংসের ৪৭ তম ওভারে ৩ বাউন্ডারিতে আসে ১৫ রান। ৪৮ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৩০২।

ক্রিস মরিস, রাবাদাদের উপর রীতিমতো ঝড় বইয়ে দেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ৩৩ বলে ৪৬ রানের ইনিংসে অপরাজিত থাকেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। আর তাতেই ৩৩০ রানের বড় সংগ্রহ পেয়েছে বাংলাদেশ দল।

এমএম/

Comments