জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি বৈষম্যের প্রতিবাদে ছাত্র আন্দোলনের মানববন্ধন

প্রকাশিত: ৭:২৯ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২০, ২০১৮

রুম্মান আজিজ, নিজস্ব প্রতিবেদক: ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি শেখ ফজলুল করীম মারুফ বলেছেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে মেধার অবমূল্যায়ন করে মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষার্থীদের সাথে বৈষম্য মূলক আচরণ করা হচ্ছে। এই আচরণ হিংসাত্মক, সাম্প্রদায়িক ও অসংবিধানিক।

দেশের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মাদরাসার শিক্ষার্থীরা বৃটিশ বিরোধী আন্দোলন ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অগ্রণী ভূমিকা পলন করেছিলো। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় মেধা ও যোগ্যতার প্রশ্নে উত্তীর্ণ হবার পরেও মাদরাসা শিক্ষার্থীরা বর্নবাদী, সাম্প্রদায়িক, পশ্চাৎপদতা ও জুলুমের শিকার হচ্ছে।

শনিবার ২০ অক্টোবর’ বিকেল ৩টায় জাতীয় প্রেসক্লাব চত্বরে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন আয়োজিত মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষার্থীদের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি বৈষম্যের প্রতিবাদে আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।

মানববন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি শেখ মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম, সেক্রেটারি জেনারেল এম. হাছিবুল ইসলাম প্রমুখ।

এসময় শেখ মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম বলেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় জনগণের টাকায় পরিচালিত হয়। মাদরাসা শিক্ষার্থীরা এই দেশ ও মাটির সন্তান। তাদের প্রতি কোন ধরনের বৈষম্য সহ্য করা হবে না। মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড ২০১৩-২০১৪ শিক্ষাবর্ষে দাখিল ও ২০১৫-২০১৬ শিক্ষাবর্ষের আলিম পর্যায়ে সাধারণ শিক্ষর্থী ও মাদরাসা শিক্ষর্থীদের সিলেবাস এক ও অভিন্ন করে। তাহলে কেন এই বৈষম্য প্রশ্ন রেখে বৈষম্যের কারণে দেশের উন্নতি ও অগ্রগতি ব্যাহত হবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

এম. হাছিবুল ইসলাম বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে কলা ও মানবিক অনুষদে ভর্তির ক্ষেত্রে ৩৩৭টি আসনের মধ্যে ১৩টি আসন মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষার্থীর জন্য নির্ধারিত করা হয়েছে, যার মধ্যে আবার মাত্র ২টি আসন ছাত্রীদের জন্য বরাদ্ধ। যা স্পষ্টই নারীদের উচ্চ শিক্ষার অন্তরায়।

তিনি আরো বলেন, মাদরাসা শিক্ষার্থীরা হাইকোর্টে রিট করার পরে আদালত জবিকে বৈষম্য বিলোপের একটি নির্দেশ দেন। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সে নোটিশটি আজও কার্যকর করেনি। যা আদালত অবমাননার শামিল। সাংবিধানের উর্ধ্বে উঠে ভিন্ন কোন আইন ও বৈষম্য সৃষ্টি করার অধিকার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নেই। অনতিবিলম্বে ভর্তি বৈষম্য বাতিল করতে হবে। মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষার্থীদের ভর্তির ব্যাপারে সমান সুযোগ না দিলে প্রতিনিধিত্বকারী ছাত্র সমাজকে নিয়ে অধিকার বাস্তবায়নে কঠিন আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি আদায়ে জাবি কর্তৃপক্ষকে বাধ্য করা হবে।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন-এর তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক শেখ মুহাম্মাদ আল আমিন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় সম্পাদক মুহাম্মাদ জিয়াউল হক জিয়া, প্রকাশনা সম্পাদক একেএম আব্দুজ্জাহের আরেফী, কলেজ সম্পাদক জি এম বায়েজীদ, স্কুল সম্পাদক এম এম শোয়াইব, কওমি মাদরাসা সম্পাদক ইউসুফ আহমাদ মানসুর, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রিয়াদ প্রমুখ প্রচার সম্পাদক মুহাম্মাদ শরীফুল ইসলাম।

/আরএ

Comments