খুলনার ছয়টি আসনে ৯ প্রার্থীর মনোনয়ন প্রত্যাহার; লড়বে ৩৫ জন

প্রকাশিত: ১১:৩১ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ১০, ২০১৮

শেখ নাসির উদ্দিন, খুলনা প্রতিনিধি: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খুলনার ছয়টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন ৩৫ জন প্রার্থী।

রোববার (৯ ডিসেম্বর) শেষ দিনে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন ৯ জন প্রার্থী এবং জব্দ করা হয়েছে চারজনের। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন খুলনা জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ হেলাল হোসেন।

তিনি জানান, খুলনার ছয়টি আসনে ৫১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। এর মধ্যে প্রাথমিকভাবে চারজনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।

তবে আপীলে খুলনা-৬ আসনে বিএনপি’র প্রার্থী এস এম শফিকুল আলম মনার মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করায় ৪৮ জন প্রার্থী বৈধ ছিলো।

গতকাল ৯ জন প্রত্যাহার ও ৪ জনের জব্দ হওয়ায় বর্তমানে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থী রয়েছেন ৩৫ জন। নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুযায়ী আজ প্রতীক বরাদ্দ ও ৩০ ডিসেম্বর ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

খুলনার ছয়টি সংসদীয় আসনে বিএনপি, আওয়ামী লীগ, মুসলীম লীগ, জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন দলের ৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন।

এরা হলেন খুলনা-১ (বটিয়াঘাটা-দাকোপ) আসনে আ’লীগ নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য ননী গোপাল মন্ডল (স্বতন্ত্র প্রার্থী), গৌরাঙ্গ প্রসাদ রায় (ওয়ার্কার্স পার্টি), খুলনা-২ (সদর-সোনাডাঙ্গা) আসনে এস এম ইসলাম আলী (মুসলিম লীগ), খুলনা-৩ (দৌলতপুর-খালিশপুর-খানজাহান আলী) আসনে আ ফ ম মহসীন (জেএসডি), এস এম আরিফুর রহমান মিঠু (বিএনপি), খুলনা-৪ (দিঘলিয়া-রূপসা-তেরখাদা) আসনে শরীফ শাহ কামাল তাজ (বিএনপি), এসএম সাখাওয়াত হোসাইন (খেলাফত মজলিস), মল্লিক হাদিউজ্জামান (জাতীয় পার্টি) ও খুলনা-৬ (কয়রা-পাইকগাছা) আসনে মোঃ আইয়ুব আলী (জেএসডি)।

এছাড়া বাতিল হয়েছে চারজন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র। তারা হলেন খুলনা-৫ আসনের বিএনপি’র প্রার্থী ড. মামুন রহমান ও গাজী আব্দুল হক এবং খুলনা-৬ আসনের বিএনপি’র প্রার্থী এস এম শফিকুল আলম মনা ও জাতীয় পার্টির মোস্তফা কামাল।

নির্বাচনে লড়বেন ৫ প্রার্থী। আ’লীগের পঞ্চানন বিশ্বাস, বিএনপি’র আমীর এজাজ খান, জাতীয় পার্টির সুনীল শুভ রায়, ইসলামী আন্দোলনের মাওলানা মোঃ আবু সাইদ ও কমিউনিস্ট পার্টির অশোক কুমার সরকার।

খুলনা-২ আসনের আ’লীগের শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল, বিএনপি’র নজরুল ইসলাম মঞ্জু, ইসলামী আন্দোলনের অধ্যক্ষ মোঃ আব্দুল আউয়াল, গণফ্রন্ট’র মনিরা বেগম, জাকের পার্টির কেএম ইদ্রিস আলী বিল্টু, কমিউনিস্ট পার্টির এইচ এম শাহাদাৎ ও বিএনএফ’র এস এম সোহাগ।

খুলনা-৩ আসনের আ’লীগের বেগম মন্নুজান সুফিয়ান, বিএনপি’র রকিবুল ইসলাম বকুল, ইসলামী আন্দোলনের অধ্যক্ষ মাওলানা মুজ্জাম্মিল হক, জাকের পার্টির এস এম সাব্বির হোসেন ও বাসদের জনার্দন দত্ত।

খুলনা-৪ আসনের আ’লীগের আব্দুস সালাম মুর্শেদী, বিএনপি’র আজিজুল বারী হেলাল, ইসলামী আন্দোলনের ইউনুস আহমেদ শেখ, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির কেএম আলী দাদ, বিএনএফের মেজর (অবঃ) শেখ হাবিবুর রহমান ও জাকের পার্টির আনসার আলী।

খুলনা-৫ আসনের আ’লীগের নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, জামায়াত নেতা অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, ইসলামী আন্দোলনের শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় পার্টির মোঃ শহীদ আলম ও কমিউনিস্ট পার্টির চিত্ত রঞ্জন গোলদার।

খুলনা-৬ আসনের আ’লীগের আখতারুজ্জামান বাবু, জামায়াত নেতা মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, জাতীয় পার্টির শফিকুল ইসলাম মধু, ইসলামী আন্দোলনের গাজী নূর আহমেদ, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের মির্জা গোলাম আজম, জাকের পার্টির শেখ মর্তুজা আল মামুন ও কমিউনিস্ট পার্টির সুবাস চন্দ্র সানা।

রিটানিং কর্মকর্তার দপ্তর সূত্র জানায়, খুলনার ছয়টি আসনে ৬০ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন। গত ২৮ নভেম্বর মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে আ’লীগ, বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মোট ৫১ জন প্রার্থী।

৬টি আসনে মনোনয়ন দাখিলকারী ৫১ জন প্রার্থীর মধ্যে ৪ জনের মনোনয়ন বাতিল হয়ে ৪৭ জন প্রার্থী ছিল। পরে আপীলে একজনের প্রার্থীতা ফিরে পেলে সংখ্যা দাঁড়ায় ৪৮। রবিবার ৯জন প্রত্যাহার ও ৪ জনের মনোনয়ন বাতিলের মধ্য দিয়ে এখন প্রার্থীর সংখ্যা ৩৫ জন।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খুলনার ৬টি আসনে মোট ভোটার ১৮ লাখ ৯৮৯ জন। নারী ভোটার ৮ লাখ ৯৮ হাজার ৩৯ জন ও পুরুষ ভোটার ৯ লাখ ২ হাজার ৯৫০ জন। মোট ভোট কেন্দ্র ৭৮৬টি ও ভোট গ্রহণ কক্ষ ৩ হাজার ৭৮৯টি।

/আরএ

Comments