প্রধানমন্ত্রী তরুণদের আত্মকর্মসংস্থানকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছেন: জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত: ৮:৩৫ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৪, ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক: ‘বর্তমান সরকারের অন্যতম নির্বাচনী ইশতেহার তারুণ্যের শক্তি-বাংলাদেশের সমৃদ্ধি। এজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তরুণদের আত্মকর্মসংস্থানকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন,
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন আজ সকালে খুলনা সার্কিট হাউস সম্মেলনকক্ষে শিক্ষিত তরুণ-তরুণী ও যুবকদের আত্মকর্মসংস্থানের লক্ষ্যে ক্যাপাসিটি বিল্ডিং শীর্ষক প্রকল্পের উপকারভোগীদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন। খুলনা জেলা প্রশাসন নিজস্ব অর্থায়নে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর লক্ষ্যছিল এদেশকে স্বাধীন করা এবং এদেশের মানুষকে একটা উন্নত জীবন দেওয়া। তাঁর সেই স্বপ্নকে ধারণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশ এখন নিম্ন আয়ের দেশ থেকে বের হয়ে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে। ২০৪১ সালের মধ্যে এদেশকে উন্নত দেশের কাতারে নিতে বিভিন্ন আয়বর্ধক প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে।

বাংলাদেশের জনসংখ্যা প্রচুর কিন্তু দক্ষ মানুষের সংখ্যা কম উল্লেখ করে প্রধান অতিথি বলেন, বর্তমানে আমাদের দেশে ১৫ থেকে ৩৫ বছর বয়সী মানুষের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। এরাই সবচেয়ে কর্মক্ষম। এই বিপুল সংখ্যক জনগোষ্ঠীর চাকরীর সুযোগ একা সরকারে পক্ষে করা সম্ভব নয়। প্রতিবছর এদেেশ কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যা বাড়ছে প্রায় ২১ লাখ। এর মধ্যে ১০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হচ্ছে। বাকি ১১ লাখ বেকার মানুষকে যদি আমরা এ ধরণের ক্যাপাসিটি বিল্ডিং প্রশিক্ষণ দিয়ে আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে পারি তাহলে এদেশে আর কোন দারিদ্র থাকবে না। আমরা উন্নত দেশের কাতারে পৌঁছে যাবো।

ফরহাদ হোসেন আরও বলেন, খুলনা জেলা প্রশাসনের উদ্যেগে গৃহীত এই ক্যাপাসিটি বিল্ডিং প্রকল্প সারাদেশের জন্য একটি রোল মডেল হতে পারে। এসময় তিনি খুলনাতে ফ্রিল্যান্সারদের জন্য ফ্রি কম্পিউটার ল্যাব স্থাপন এবং প্রশিক্ষণ প্রাপ্তদের জন্য প্রয়োজনীয় ঋণের ব্যবস্থা করার আশ্বাস প্রদান করেন।

মতবিনিময় অনুষ্ঠানে জানানো হয় ৩১ আগস্ট ২০১৮ থেকে ৩০ জুন ২০২১ পর্যন্ত চলমান এই প্রকল্পের আওতায় ডিজিটাল মার্কেটিং আউটসোর্সিং, সেলাই, গ্রাফিকস ডিজাইনসহ বিভিন্ন ট্রেডে খুলনার প্রায় দুই হাজার শিক্ষিত বেকার তরুণ-তরুণীকে আত্মকর্মসংস্থানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনার বিভাগীয় কমিশনার লোকমান হোসেন মিয়া, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শহীদুর রহমান খান, পুলিশ সুপার এসএম শফিউল্লাহ, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষার উপপরিচালক নিভা রাণী পাঠক, খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এসএম হাবিব। সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন।

বিআইজে/

Comments