ধর্ষণ মামলায় ব্যবসায়ীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

প্রকাশিত: ১১:২৭ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ১১, ২০২৩

বরিশাল সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় এক খামারি ব্যবসায়ীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বুধবার (১১ অক্টোবর) বিকেলে বরিশালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বিচারক ইয়ারব হোসেন এই দণ্ডাদেশ দেন।

বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী মো. হুমায়ুন কবির তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।

দণ্ডিত আসামি আব্দুল্লাহ আল মামুন ঝালকাঠি সদর উপজেলার বালিঘোনা এলাকার আব্দুস ছত্তারের ছেলে। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। একই মামলায় দণ্ডিত মামুনের বাবা আব্দুস ছত্তার ও মা আলসু বেগম আসামি হলেও উচ্চ আদালতের নির্দেশে তাদের বিচার কার্যস্থগিত রয়েছে।

বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী মো. হুমায়ুন কবির জানান, রায় ঘোষণার পর দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আবদুল্লাহ আল মামুনকে প্রিজন ভ্যানে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।

মামলার বারাত দিয়ে বেঞ্চ সহকারী জানান, ‘ভিকটিম বরিশাল সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজের অর্থনীতি বিভাগের ছাত্রী ছিলেন। আসামি আব্দুল্লাহ আল মামুন ও তাদের উভয়ের বাড়ি ঝালকাঠির একই এলাকায়। সেই সুবাধে তাদের মধ্যে পরিচয়ের সূত্র ধরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর ‘২০১৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০১৫ সালের ২১ জুন পর্যন্ত নগরীর নথুল্লাবাদ লুৎফর রহমান সড়কের ‘হাসিব ভিলায়’ নিজের স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে বসবাস করেন মামুন ও কলেজ ছাত্রী। সেখানে তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে উঠলেও পরবর্তীতে মামুন তাকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায়।

এ ঘটনায় ২০১৫ সালের ৯ জুলাই কলেজছাত্রী বাদী হয়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের এয়ারপোর্ট থানায় আব্দুল্লাহ আল মামুন, তার বাবা আব্দুস সত্তার ও মা আলসু বেগমকে অভিযুক্ত করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।

পরবর্তীতে একই বছরের ৭ অক্টোবর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এয়ারপোর্ট থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক আব্দুর রহমান তিনজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। এরপর বিচারক সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বুধবার বিকেলে অভিযুক্ত আব্দুল্লাহ আল মামুনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন।

Comments