নিয়মিত কিডনি পরীক্ষা কেন জরুরি?

প্রকাশিত: ১২:২০ অপরাহ্ণ, জুলাই ১১, ২০১৯

ডা. মো. অহিদুজ্জামান : কিডনি মানবদেহের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। কিডনি বিকলে মৃত্যু নিশ্চিত। মানবদেহে কোমরের দুপাশে দুটি কিডনি থাকে। নানা কারণে আমাদের কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে। লক্ষণের দুর্বোধ্যতার জন্য ক্রনিক কিডনি রোগে ভুগছেন, এমন অনেকেই জানেন না যে, তার এ রোগটি আছে। ক্রনিক কিডনি রোগ অনেক বছর পরে কিডনি ফেইলিউর সৃষ্টি করে।

ক্রনিক কিডনি রোগ আছে, এমন অনেকেরই সারা জীবনে কিডনি ফেইলিউর হয় না। স্টেজ ৩ ঈকউ আছে এমন ৮০ শতাংশ লোকের কিডনি অকেজো হয় না। কিডনি রোগকে বলা হয় নীরব ঘাতক। কারণ ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ কিডনি নষ্ট হওয়ার আগে অনেক সময় কোনো উপসর্গ দেখা যায় না।

অথচ সামান্য রক্ত ও প্রস্রাব পরীক্ষা করেই এ রোগ সুপ্ত অবস্থায় দেহে আছে কিনা, তা নির্ণয় করা যায়। কাজেই যাদের মধ্যে কিডনি রোগের ঝুঁকি বেশি, যেমন- যাদের ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ আছে, যাদের মুখ ও শরীর ফুলে গেছে, যাদের কিডনিতে পাথর আছে, যাদের প্রস্রাবে বাঁধাজনিত রোগ আছে, প্রস্রাবে যাদের ইনফেকশনের ইতিহাস আছে, যাদের বংশে কিডনি রোগের ইতিহাস আছে, যাদের বয়স ৪০ বছরের ওপরে, তাদের বছরে দুবার কিডনি পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া উচিত।

স্বাস্থ্য একটি অমূল্য সম্পদ। এই সম্পদ সংরক্ষণের জন্য কিছু পরামর্শ যদি জীবনের শুরু থেকেই মেনে চলা যায়, তা হলে শুধু কিডনি নয়, সব অসংক্রামক ব্যাধি থেকে নিজেকে রক্ষা করা সম্ভব।

আসুন, সবাই নিয়মগুলো মেনে চলার চেষ্টা করি। তাতে যে উপকার হবে, তা অমূল্য। লেখক : কনসালট্যান্ট ইউরোলজি বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় চেম্বার : সেন্ট্রাল হসপিটাল, গ্রিনরোড, ধানম-ি, ঢাকা ০১৭১১০৬৩০৯৩, ০১৯১১৭৬৫১৫০

 

Comments