অসহ্য বিদ্যুৎ যন্ত্রণায় গোবিন্দগঞ্জবাসী

প্রকাশিত: ৫:৩৪ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৬, ২০১৯

রেজুয়ান খান রিকন, গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি: গ্রীষ্মের তাপদাহে এমনিতেই ত্রাহি অবস্থা গাইবান্ধাবাসীর। তার মধ্যে গোবিন্দগঞ্জে অসহ্য বিদ্যুতের ভেলকিবাজি লোড শেডিং এ দুর্ভোগ এখন চরমে। প্রচন্ড খরতাপ আর বিদ্যুৎ যন্ত্রণায় নাকাল এখন নাগরিক জীবন।

‘অফিস-আদালত থেকে ক্ষেত-খামার’ সর্বত্রই ব্যাহত স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। চরম বিপাকে নিম্ন আয়ের শ্রমজীবি মানুষ। দিনে এবং রাতে এই বিদ্যুৎ বিভ্রাট অব্যাহত থাকছে। কিছু সময় আকাশে মেঘ জমলে এবং সামান্য বৃষ্টি বা বাতাসেই গাইবান্ধায় বন্ধ হয়ে যায় বিদ্যুৎ সরবরাহ।

এখন ঝড় বৃষ্টি ছাড়াও প্রচন্ড তাপদাহে সে বিদ্যুত কমপক্ষে দুই থেকে তিন ঘন্টা অনেক সময় ৪/৫ ঘন্টা পর আসে। আর রাতে এ সমস্যা দেখা দিলে বিদ্যুৎ ফিরে আসে পরদিন সকালে। গত দু’সপ্তাহ ধরে জেলাজুড়ে এমন অবস্থা বিরাজ করলেও উন্নতির লক্ষণ নেই বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থায়।

এটা কি ‘সিস্টেম লস্ট, লোডশেডিং না বিদ্যুৎ বিভ্রাট’ এ বিষয়টি সম্পর্কেও অন্ধকারে সাধারণ মানুষ। গরমে নাভিশ্বাস গোবিন্দগঞ্জের মানুষ। এ অবস্থায় সর্বত্র একই জিজ্ঞাসা কি ঘটেছে গাইবান্ধা ও গোবিন্দগঞ্জের নেসকো’তে? লক্ষ্য করা গেছে, গত দু’সপ্তাহ ধরে চরম হযবরল অবস্থা বিরাজ করছে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থায়। ঘন ঘন ঘটছে বিদ্যুতের ভেলকিবাজী। এতে করে বিনষ্ট হচ্ছে মূল্যবান ইলেক্ট্রনিক্স সামগ্রী।

কখনো কখনো টানা ৮ থেকে ১০ ঘন্টা পর্যন্ত বন্ধ থাকছে বিদ্যুৎ সরবরাহ। যে কারণে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন সর্বস্তরের মানুষ। বিশেষ করে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।

ভয়াবহ বিদ্যুৎ যন্ত্রণার বিষয়ে কৈফিয়ত চাইলে নেসকো থেকে বরাবরই শোনানো হয় ৩৩ হাজার কেভি লাইন ফল্টের পুরনো সেই গল্প। কিন্তু বার বার একই গল্প বিশ্বাস করতে চান না সাধারণ মানুষ। তাদের ধারণা, হয়তো ভিন্ন কোন গল্প রয়েছে নেসকো’র অভ্যন্তরে।

গাইবান্ধা ও গোবিন্দগঞ্জ নেসকো সূত্রে জানা গেছে, জেলায় বিদ্যুতের চাহিদা ৩৩ মেগাওয়াট হলেও সেখানে পলাশবাড়ির গ্রিড লাইন থেকে দিনে ২৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে। ফলে লোডশেডিং করে বিদ্যুৎ সরবরাহ অব্যাহত রাখা হয়েছে।

বিদ্যুৎ বিভ্রাটের এই কারণ সম্পর্কে নেসকো সূত্রে বলা হয়, বগুড়ায় গ্রিডলাইনে মেরামত কাজ অব্যাহত থাকায় আগামী ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত গাইবান্ধায় চাহিদা মোতাবেক বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যাচ্ছে না। মেরামত কাজ সম্পন্ন হলে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের উন্নতি হবে বলে সূত্রটি আশা প্রকাশ করেছে।

বিষয়টি ইতোমধ্যে এলাকায় এলাকায় মাইকিং করেও জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে গোবিন্দগঞ্জ বিদ্যুৎ সরবরাহ কেন্দ্রের প্রকৌশলী কাছে ফোন করলে তিনি ফোন রিসিভ করে নি।

/আরএ

Comments