শুধু ট্রেনই চলবে নির্বাচনের দিন

প্রকাশিত: ১১:৫৬ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৮, ২০১৮

একুশ নিউজ: ভোটের দিন সারাদেশে গাড়ি চলাচল বন্ধের নির্দেশ থাকলেও বন্ধ থাকছে না ট্রেন। তাই ঐ দিন ট্রেনই একমাত্র ভরসা। ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন সরকারি বন্ধ থাকলেও জরুরি প্রয়োজনে যাত্রীরা ট্রেনের মাধ্যমে যাতায়াতের সুযোগ পাবেন।

তবে ট্রেন চলাচলে কোন ধরণের নাশকতা বা অনিয়ম যেন না হয় সে জন্য পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চলের রেলওয়ে প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে।

তাছাড়া গত ২১ ডিসেম্বর হবিগঞ্জে নাশকতার ঘটনার পর রেলওয়ে ও যাত্রী সাধারণের নিরাপত্তার স্বার্থে দেশের ৭টি গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় বিশেষ সতর্কতায় থাকতে নির্দেশনা জারি করা হয়েছে বলে জানান রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান বাণিজ্য কর্মকর্তা (সিসিএম) সরদার শাহাদাত আলী।

তিনি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, জাতীয় নির্বাচন দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় রেলওয়ে ট্রেন চলাচলে সতর্কতা অবলম্বন করছে। নির্দিষ্ট কিছু জেলার ঝুঁকিপূর্ণ সেকশনগুলোতে অ্যাডভান্স পেট্রোলিং এর মাধ্যমে যাত্রীবাহী ট্রেন চালানোর জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। নির্বাচনকালীন সময়ে যেকোন ধরনের পরিস্থিতি মেকাবেলায় রেলওয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারিরা প্রস্তুত রয়েছে বলেও জানান তিনি।

রেলওয়ে সূত্রে জানায়, আসন্ন নির্বাচন উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ রেলওয়ে ট্রেন চলাচলে বিশেষ সতর্ক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। বিগত নির্বাচনে সারাদেশে অবরোধজনিত কারণে রেলওয়ের উপর নাশকতা হয়েছিল। এসব কারণে এবারের একাদশ নির্বাচনেও নির্দিষ্ট কিছু জেলার গুরুত্বপূর্ণ সেকশনগুলোকে বিশেষ নজরে রাখতে নির্দেশনা জারি করেছে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল কর্তৃপক্ষ। মৌলভীবাজার, নেত্রকোনা, সিলেট, নরসিংদী, ময়মনসিংহ, জামালপুর ও হবিগঞ্জ জেলাকে অধিক ঝূঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করা হয়েছে।

রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, নাশকতার উদ্দেশ্যে রেলপথের ক্ষতি করা ছাড়াও আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের উদ্দেশ্যে বিভাগীয় প্রকৌশলী-১ (ঢাকা) ও বিভাগীয় প্রকৌশলী-২ (ঢাকা) কে পূর্বাঞ্চল রেলওয়ে সদরদফতর থেকে বিশেষ সতর্কতা জারির অনুরোধ জানানো হয়।

এজন্য ঢাকা, লালমনিরহাট, পাকশী, সিলেট, চট্টগ্রাম ছাড়াও রেলের গুরুত্বপূর্ণ সেকশন ও জেলাগুলোতে বিশেষ পেট্রোলিং ট্রেন বা ইমার্জেন্সি শাটল মজুদ রাখা হয়েছে।

রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনকালীন সময়ে রেলের প্রতিটি কেন্দ্রীয় কন্ট্রোলরুমে একজন করে প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা (পরিবহন বিভাগ) শিফটিং ভিত্তিতে কাজ করবেন। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রাখা ও রেলপথে নাশকতার ঘটনা এড়াতে গত ২১ ডিসেম্বর রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে রেলওয়ের বিভিন্ন বিভিন্ন বিভাগে এই নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।

এর ফলে ঢাকা, চট্টগ্রাম, লালমনিরহাট, পাকশী, পাহাড়তলী ছাড়াও সবগুলো কেন্দ্রীয় কন্ট্রোলরুম ২৪ ঘণ্টাই ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তার তদারকিতে রাখা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত এই বিশেষ সতর্কতা থাকবে।

গৌরিপুর-শ্যামগঞ্জ-জারিয়াজানজাইন, শ্যামগঞ্জ-ঠাকুরাকোনা, জামালপুর-তারাকান্দি, গৌরিপুর-আঠারবাড়ি, টঙ্গী-নরসিংদী, মুকুন্দপুর-হরষপুর, মনতলা-নোয়াপাড়া, নোয়াপাড়া-শাহাজীবাজার, রশিদপুর-শ্রীমঙ্গল, শ্রীমঙ্গল-বরমচাল সেকশনগুলোকে বিশেষ সতর্কতায় রাখা হয়েছে।

/সিএইচ

Comments