ভারতের নজরে এবার আজাদ-কাশ্মীর

প্রকাশিত: ৬:০৭ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১৮, ২০১৯

নিউজ ডেস্ক

কাশ্মীর সঙ্কটের শুরু থেকেই পাকিস্তান সম্পর্কে ভারত কঠোর অবস্থানে, সেই অবস্থানকে আরও কঠিন করে তুলতে দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরকে টেনে আনলেন তার মন্তব্যে। তিনি বলেন, জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে এখন আর কোনো দ্বিপাক্ষিক আলোচনা হবে না, আলোচনা হলে হতে পারে পাক-অধিকৃত কাশ্মীর নিয়ে।

আগামী অক্টোবরেই দেশটির হরিয়ানা রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন, সেখানেই একটি জনসভায় রাজনাথ সিং বলেন, ‘যদি পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনা হয়, তাহলে এখন সেটা হবে পাক অধিকৃত কাশ্মীর নিয়ে’। রাজনাথ সিং ভারতের অবস্থান তুলে ধরে বলেন, আলোচনা শুরুর আগে সন্ত্রাসবাদে মদদ দেয়া বন্ধ করতে হবে ইসলামাবাদকে। একদিন আগেই তিনি পরমাণু অস্ত্রের ব্যবহার নিয়ে মন্তব্য করেন, যা নিয়ে ইতোমধ্যেই মোদী সরকারকে বেকায়দায় পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। সেই মন্তব্যে তিনি পরমাণু অস্ত্র প্রথমেই নয়, ভারত কয়েকদশক ধরে এই নীতি বজায় রাখছে বলে জানান।

রবিবার (১৮ আগস্ট) দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী উল্লেখ করেন, ‘আমাদের প্রতিবেশী, আন্তর্জাতিক মহলে দরবার করছে, তারা বলছে ভারত ভুল করেছে’। পাকিস্তানের সবসময়ের বন্ধু রাষ্ট্র চীনের তরফে আবেদনের পরেই জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে আলোচনায় রাজি হয় জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ, এমন দাবিই ভারতীয় গণমাধ্যমের।

যদিও পাঁচটি স্থায়ী এবং ১০টি অস্থায়ী সদস্যের সেই বৈঠক কোনো প্রস্তাবনা ছাড়াই শেষ হয়। বেশিরভাগ দেশই সহমত পোষণ করে যে, জম্মু ও কাশ্মীর থেকে বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা প্রত্যাহার করা এবং রাজ্যটিকে ভেঙে দিয়ে দুটো কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করা নয়াদিল্লি ও ইসলামাবাদের দ্বিপাক্ষিক বিষয়। তাদের তরফে আরও বলা হয়, আলোচনার পর, কোনো ফলাফল বা বিবৃতি দেওয়া হবে না এবং তাদের তরফে চিন এবং পাকিস্তানকে তাদের নিজেদের ক্ষমতায় বিবৃতি দেওয়ানো হয়।

রবিবার রাজনাথ বলেন, সরকারের কাশ্মীর পদক্ষেপ কোনো নির্বাচনকে সামনে রেখে করা হয়নি। ভারতের বার্তা সংস্থা এএনআইয়ের তরফে রাজনাথ সিংকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, ‘মানুষ বলেন, ৩৭০ ধারা নিয়ে কোনো পদক্ষেপ দেশকে ভাগ করবে। আমাদের বলা হয়েছিল, তারপরে আর ক্ষমতায় ফিরবে না বিজেপি। আমি আপনাদের বলতে চাই, ভোটব্যাংকের রাজনীতিতে বিশ্বাসী নয় বিজেপি। জাতীয় অখণ্ডতার সঙ্গে যুক্ত রাজনীতির ওপরে আমরা জোর দিতে চাই।

Comments