মোহাম্মদপুরে নানক-সাদেক গ্রুপের সংঘর্ষ; গাড়ি চাপায় দুই কিশোরের মৃত্যু

প্রকাশিত: ২:০২ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১০, ২০১৮

একুশ নিউজ: মোহাম্মদপুর আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের মধ্যে গাড়িচাপায় দুই কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। খবর বিডি নিউজ।

শনিবার সকালে নবোদয় হাউজিংয় এলাকায় সড়কে স্থানীয় সংসদ সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক ও এবার মনোনয়ন প্রত্যাশী সাদেক খানের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে।

এসময় গাড়ির চাপায় পড়ে দুই কিশোরের মৃৃত্যু ঘটে। নিহতরা হলেন, আরিফ (১৫) ও সুজন (১৭)।

ওই এলাকার মোহাম্মদিয়া হোমসের দারোয়ান আব্দুল জব্বার গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, একটি পিকআপে করে আসা বেশ কিছু তরুণ লোহার গেটের কাছে এলে বিপরীত দিক থেকে সেই পিকআপ লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়। এর পর সবাই ছোটাছুটি করে।

ওই সময় পিকআপভ্যানটি দ্রুত ঘোরাতে গেলে তার নিচে চাপা পড়েন আরিফ ও সুজন। আরিফকে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

আরিফের ভাই আলাউদ্দিন বলেন, যুবলীগের একটি অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলো আমার ভাই। তাদের গাড়িতে হামলা হলে সে নেমে পালানোর সময় ওই গাড়িতেই পিষ্ট হয়। আরিফ রাজমিস্ত্রির সহকারী হিসেবে কাজ করতেন বলে তার ভাই জানান।

অন্যদিকে সুজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে সেখানে তার মৃত্যু ঘটে।

নবোদয়ের পাশাপাশি আদাবরের ১০ ও ১৬ নম্বর সড়ক, শম্পা মার্কেট এলাকা এবং উত্তর আদাবরের সুনিবিড় হাউজিংয়েও একই সময়ে সংঘর্ষ বাঁধে। তাতে আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, স্থানীয় সংসদ সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক ও এবার মনোনয়ন প্রত্যাশী সাদেক খানের সমর্থকদের মধ্যে এই সংঘর্ষ বাঁধে।

তবে নিহত আরিফের বাবা ফারুক বলেন, সাদেক খান সমর্থকদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে এই সংঘর্ষ ঘটে, যাতে তার ছেলে প্রাণ হারান।

আদাবর থানার ওসি কাওসার আহমেদ সকাল পৌনে ১১টায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আওয়ামী লীগের দুই পক্ষে সংঘর্ষ বেঁধেছিল। এখন পরিস্থিতি শান্ত আছে। আমরা সতর্কভাবে পরিস্থিতির উপর নজরদারি চালাচ্ছি।

দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নানক এবারও এই আসনে নৌকার মনোনয়নপ্রত্যাশী। অন্যদিকে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খানও মনোনয়ন চাইছেন এবার।

সংঘর্ষের বিষয়ে সাদেক খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, যুবলীগের তুহিনের নেতৃত্বে আমার সমর্থকদের উপর হামলা হয়।

আদাবর থানা যুবলীগের আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম তুহিন সাবেক প্রতিমন্ত্রী নানকের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।

অভিযোগ অস্বীকার করে তুহিন বলেন, বর্তমান সাংসদের লোকজনের উপর কারা হামলা চালাতে পারে, এটা পরিষ্কার। তারা জামাত-শিবির-বিএনপির লোক। তারা আওয়ামী লীগের লেবাস পরে পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করতে মাঠে নেমেছে।

একাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু হয়েছে। মনোনয়নপ্রত্যাশীরা সদলবলে গিয়ে ফরম তুলছেন ধানমণ্ডির আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে। এর মধ্যে আদাবরের সংঘর্ষ হলো।

/আরএ

Comments