’মায়া ও বদির সংসদ সদস্যপদ অবৈধ নয় কেন’ প্রশ্ন রিজভীর

প্রকাশিত: ৫:০৪ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৪, ২০১৮

একুশ নিউজ: বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া এবং কক্সবাজারের এমপি আবদুর রহমান বদির সংসদ সদস্যপদ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

দণ্ড পাওয়া ব্যক্তিদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ বিষয়ে হাইকোর্টের রায় এবং অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমের বক্তব্য বিষয়ে তিনি এমন প্রশ্ন তুলেন।

মঙ্গলবার (৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে রিজভী মন্তব্য করে বলেন, সরকার প্রধানকে খুশি করার জন্য অ্যাটর্নি জেনারেল নিজের মনের মাধুরী মিশিয়ে সংবিধান ও আইনের ব্যাখ্যা দিয়েছেন

বিএনপির এ নেতা বলেন, হাইকোর্টে ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন ও আমানউল্লাহ আমানসহ বিএনপির পাঁচ নেতার আবেদন নাকচ হওয়ার দিনে অ্যাটর্নি জেনারেল এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, কারো দণ্ড হলে আপিল বিচারাধীন থাকলেই চলবে না, এমনকি আপিলে মুক্তি পেলেও নিস্তার নেই।

কারণ সংবিধান অনুযায়ী দণ্ডিত ব্যক্তিকে মুক্তিলাভের পর পাঁচ বছর অপেক্ষা করতে হবে। এরপর তিনি সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে যোগ্য হবেন।

সুতরাং এখন আমাদের প্রশ্ন, অ্যাটর্নি জেনারেলের এই ব্যাখ্যা যদি বিবেচনায় নেয়া হয়, তাহলে মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া এবং কক্সবাজারের সাংসদ আবদুর রহমান বদির সংসদ সদস্যপদ কি অবৈধ নয় কেন?

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিরোধী দল বিএনপির ক্ষেত্রে আইনের ভিন্ন প্রয়োগ হচ্ছে বলেও তিনি সমালোচনা করেন।

রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগের স্বার্থে আইন এক ধরনের ও বিএনপির ক্ষেত্রে আইন আরেক ধরনের।

রিজভী বলেন, মঈনুদ্দিন, ফখরুদ্দীনের আমলে ২০০৭-০৮ সালে ক্যাঙ্গারু কোর্টে বিএনপির যে নেতারা দণ্ডিত হয়েছিলেন, তাদের আপিল বিচারাধীন থাকলেও তাদের সবার মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে।

অথচ ওই ক্যাঙ্গারু কোর্টে দণ্ডিত ও সাজা স্থগিত না থাকা অবস্থায় দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন মহীউদ্দীন খান আলমগীর।

তিনি আরো বলেন, ১৩ বছরের সাজা নিয়ে শুধু আপিল করে এখনও এমপি হিসেবে বহাল আছেন হাজি মোহাম্মদ সেলিম। তার মনোনয়নপত্রও বৈধ বলে বিবেচিত হয়েছে।

/সিএইচ

Comments