ভারতে অস্ত্রের মুখে ৫ নারীকে ধর্ষণ

প্রকাশিত: ১০:৩৫ অপরাহ্ণ, জুন ২২, ২০১৮

ভারতের ঝাড়খন্ড রাজ্যে একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠানের পাঁচ নারী কর্মীকে বন্দুকের মুখে ধর্ষণ করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার পুলিশ জানায়, চলতি সপ্তাহে এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।

পুলিশের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, খ্রিস্টান মিশনারিদের সহযোগিতায় পরিচালিত প্রতিষ্ঠানটির ১১ সদস্যের একটি দল ঝাড়খন্ডের খুনতি অঞ্চলের কোচাংয়ে গিয়েছিল। তাদের উদ্দেশ্য ছিল, রাস্তায় নাটক বা অভিনয়ের মাধ্যমে ওই অঞ্চলের মানব পাচারের বিষয়ে মানুষকে সচেতন করে তোলা। এই জায়গাটি রাজ্যের রাজধানী রাঁচি থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরের একটি উপজাতীয় এলাকা।

অনুষ্ঠান যখন চলছিল, তখন মোটরসাইকেলে করে কয়েকজন সশস্ত্র লোক ওইখানে আসে। ১১ সদস্যের ওই দলে থাকা পুরুষদের মারধর করে ওই পাঁচ নারীকে গাড়িতে করে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে ধর্ষণের তিন ঘণ্টা পরে তাদের একটা জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়।

রাঁচি অঞ্চলের পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) এভি হোমকার বলেন, ‘ওই নারীদের গাড়িতে বসতে বাধ্য করা হয়। এরপর একটা নির্জন জায়গায় নিয়ে তাদের ধর্ষণ করা হয়েছে। পরে আসামিরা তাদের তিন ঘণ্টা পরে ছেড়ে দেয়।’
পুলিশ জানায়, ঘটনার একটি ভিডিও ধারণ করেছে ধর্ষকরা। আর এই ভিডিও দেখিয়ে তাদের হুমকি দেয়, যাতে তারা অভিযোগ না করে।

স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তা আশ্বিনী কুমার সিনহা জানান, এই হুমকির কারণেই ওই নারীরা প্রশাসনকে কিছুই জানাননি। তবে পুলিশের সূত্রের মাধ্যমে পুলিশ এ খবর পায়।

পুলিশ কর্মকর্তা জানান, এ ঘটনায় এ পর্যন্ত নয়জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। এ ছাড়া ধর্ষণের ঘটনা পরীক্ষায় একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। পরীক্ষায় ধর্ষণের প্রমাণ পাওয়া গেছে বলেও তাঁরা জানান।
তাই ঘটনার তদন্ত ও জড়িতদের গ্রেপ্তারে তিনটি দল গঠন করা হয়েছে বলেও পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান।

প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, জড়িতরা ওই অঞ্চলের পাঠালগাড়ি নিয়মের সমর্থক। পাঠালগাড়ি হলো উপজাতীয়দের একটা নিয়ম, যার মাধ্যমে উপজাতি লোকজন নিজেদের আইনকানুন, নিয়ম অনুযায়ী পরিচালনা করে। সেখানে কেন্দ্রের কোনো ক্ষমতা কাজ করে না। তারা দাবি করে আসছেন যে সংবিধান তাদের এই নিয়ম পালনের অধিকার দিয়েছে।

এমনকি পুলিশ, সরকারি লোকজনসহ বাইরের কেউ অনুমতি ছাড়া এই অঞ্চলের গ্রামগুলোতে ঢুকতে পারে না।

#এএইচ

Comments