বালিয়াকান্দির ইউএনও’র নির্দেশে পরীক্ষার সুযোগ পেলো ৩১ শিক্ষার্থী

প্রকাশিত: ৯:৩৯ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৯, ২০১৮

অনিক সিকদার, বালিয়াকান্দি (রাজবাড়ী): ইংরেজি প্রাইভেট না পড়ার কারণে এসএসসির টেস্ট পরীক্ষায় ইচ্ছাকৃতভাবে ফেল করানো হয়েছে ৩১ শিক্ষার্থীকে।

পরীক্ষা ফেল করায় এসবে আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য বোর্ড পরীক্ষার ফরম পূরণ করতে পারছিলো না। ফাইনাল পরীক্ষায় অংশ করতে না পারার আশঙ্কায় পড়ে এসব শিক্ষার্থী।

ইচ্ছাকৃতভাবে ফেল করানোর অভিযোগে বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকরা। সংশ্লিষ্ট শিক্ষকের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার বিশেষ পদক্ষেপ নেন রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী অফিসার।

ইউনএনও মোঃ মাসুম রেজার নির্দেশে অবশেষে পুনরায় পরীক্ষার সুযোগ পায় শালমারা নিশ্চিন্তপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৩১ শিক্ষার্থী।

সোমবার সকালে ইংরেজি ১ম পত্র ও বিকালে ইংরেজি ২য় পত্র পরীক্ষা বিদ্যালয়ে ক্যাম্পাসেই অনুষ্ঠিত হয়।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাসুম রেজা জানান, স্কুলটি থেকে এ বছর এসএসসির টেস্ট পরীক্ষায় মোট ৮১ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে।

এদের মধ্যে ৫০ জন পাস করে। স্কুল কর্তৃপক্ষ অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের ফরম পূরণ করতে দেবে না বলে তাদের জানিয়ে দেয়।

পরে অকৃতকার্য শিক্ষার্থী ও এলাকার অভিভাবকরা খাতা দেখায় স্বজনপ্রীতির অভিযোগ তুলে বিদ্যালয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে।

আমি খবর পেয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে বিদ্যালয় থেকে খাতা এনে পুনরায় মূল্যায়ন করার নির্দেশ দেই।

তারই প্রেক্ষিতে পুনরায় মূল্যায়ন করলে খাতা দেখায় ব্যাপক অনিয়মের বিষয়টি ধরা পড়ে। তাই ৩১ শিক্ষার্থীকে পুনরায় পরীক্ষা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কাজী এজাজ কায়সার জানান, স্কুলটির ইংরেজি শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রাইভেট না পড়ার কারণে শিক্ষার্থীদেরকে ফেল করানো হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ করেন ফেল করা শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।

তারই প্রেক্ষিতে ইউএনও মহোদয়ের নির্দেশে খাতা পুনরায় মূল্যয়ন করা হয়। এতে খাতা দেখায় অনিয়মের বিষয়টি ধরা পড়ার কারণে পুনরায় পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে।

এই পরীক্ষায় পাস করলে সকল শিক্ষার্থীকেই ফরম পূরণ করার সুযোগ দেওয়া হবে এবং সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উল্লেখ্য এর আগেও স্কুলের ইংরেজি শিক্ষক রাশেদুলের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ে ক্লাস চলাকালীন সময়ে কোচিং ব্যবসার অভিযোগ উঠলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাসুম রেজার নির্দেশে একটি তদন্ত কমিটি গঠন হয়।

তদন্ত কমিটির কাছে শিক্ষার্থীরা কোচিংয়ের কথা স্বিকার করলে তাদের উপড় ক্ষিপ্ত হয় বিদ্যালয়ের প্রধান
শিক্ষক রনজিৎ কুমার পাল।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ তার নির্দেশেই শিক্ষার্থীদেরকে টেষ্ট পরিক্ষার খাতা দেখায় এই অনিয়মের ঘটনা ঘটে।

/আরএ

Comments