পায়ের নিচে নথি রেখে ঘুমান তহসিলদার!

প্রকাশিত: ১১:২৫ অপরাহ্ণ, মে ৩০, ২০১৯

মুহাম্মদ নোমান ছিদ্দীকী,লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুর জেলার কমলনগর উপজেলার 6 নং পাটারি হাট ইউনিয়নের তহসিলদারের অফিসে ঘুমিয়ে যাওয়ার এই চিত্র। যা ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়েছে। অফিস চলাকালীন সময়ে আজ বৃহস্পতিবার অফিসের টেবিলের উপরে লেজার বই পায়ের নিচে দিয়ে এই আয়েসি ঘুম দিয়েছেন তহসিলদার আব্দুস সাত্তার।

বিভিন্ন মাধ্যম থেকে জানা যায় তহসিলদার আব্দুস সাত্তার সেবা প্রার্থীদের পাত্তা না দিয়ে তিনি এভাবেই প্রতিনিয়ত ঘুমিয়ে যান অফিসে। যদিও দু’চারটা কাজ করেন তাতে বিপুল পরিমাণ উপঢৌকন গ্রহণ করেন। বিগত দিনে তার বিরুদ্ধে পাটারি হাট ইউনিয়নে অর্থের বিনিময়ে সরকারি জমি বন্দোবস্ত দেয়াসহ নথি খুলে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে এই তহসিলদারের বিরুদ্ধে। বিভিন্ন গণমাধ্যমে এই নিয়ে কয়েকবার খবর প্রকাশিত হলেও তিনি বহাল তবিয়তে রয়েছেন বলে জানা গেছে।

অদৃশ্য কারণে তার বদলি হচ্ছে না বলেও জানান একাধিক ভুক্তভোগী। ওই ইউনিয়নের এক রিকশাচালকের মেয়ের সাথেও ছিল তার অনৈতিক সম্পর্ক। এই নিয়ে স্থানীয়দের রোষানলে পড়লে তিনি ওখান থেকে অফিস সরিয়ে হাজির হাট নিয়ে আসেন। তথাপিও তার বদলি হয়নি।

আব্দুস সাত্তার দুলাল বিভিন্ন অফিস মেনটেন করে বহাল তবিয়তে থেকে অর্থ বাণিজ্য, বন্দোবস্ত বাণিজ্য, নথি বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন। জানা গেছে তিনি অর্থের বিনিময়ে সরকারি জমি নথি করে দেন, বন্দোবস্ত দিয়ে দেন, এমনকি মনগড়া বক্তব্য দেন গণমাধ্যমের কাছে। তার অফিসে সাধারণ সেবাপ্রার্থীরা হয়রাণীর শিকার হন। জানা গেছে তিনি টাকা ছাড়া কোনো কথাই বলেন না, এমনকি কাগজপত্র ঠেকিয়ে অর্থ আদায় করেন এ তহশিলদার।

মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও আবদুস সাত্তারের কোন মতামত নেয়া যায়নি। হয়তো তিনি মোবাইল ফোন সাইলেন্ট করে ঘুমিয়ে আছেন অফিসেই। তবে কি আব্দুস সাত্তার ঘুষ অনিয়ম, আর অর্থ বাণিজ্যের কারণে সাধারন মানুষের বদদোয়ায় পারিবারিক জীবনে অসুখী? নয়তো কেন অফিসের ফাইল নথি মূল্যবান বই পায়ের তলায় মাথার তলায় দিয়ে এভাবেই টেবিলের উপর ঘুমিয়ে যান প্রতিনিয়ত!

এমএম/

Comments