তিনশো আসনে বিএনপির চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা

প্রকাশিত: ৭:৩০ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৯, ২০১৮

একুশ নিউজ: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে বিএনপির দলীয় মনোনয়নের পর জোট-ফ্রন্টের মনোনয়ন চূড়ান্ত করেছে দলটি। ৩০০ আসনে মনোনয়ন চূড়ান্ত রোববার প্রতিক বরাদ্ধের জন্য ইসি কার্যালয়ে তালিকা জমা দিয়েছে বিএনপি।

ইসিতে দেয়া তালিকা অনুযায়ী বিএনপি দলীয় প্রার্থী দিয়েছে ২৪২ আসনে। জোট-ফ্রন্টের মধ্যে সর্বোচ্চ জামায়াত পেয়েছে ২১টি এবং ঐক্যফ্রন্ট পেয়েছে ১৯টি আসন। অন্যান্য ১৮টি।

উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশনে দেওয়া বিএনপির প্রার্থী তালিকায় নীলফামারী-২ আসনে জেলা নায়েবে আমীর মনিরুজ্জামান মন্টুকে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে দেখানো হয়। সেজন্য হিসেবে একজন গড়মিল হবে।

সেক্ষেত্রে জামায়াতের প্রার্থী ২২ জন ধরলে বিএনপির ২৪১ অন্যদিকে বিএনপির ২৪২ ধরলে জামায়াতের ২১ জন হবে।

৩০০ আসনের মধ্যে বিএনপি জোটের এলডিপি চেয়ারম্যান চট্টগ্রাম- ১৪ আসনে নিজস্ব প্রতিকে নির্বাচন করবেন। এছাড়া কক্সবাজার-২ আসনে জামায়াত নেতা হামিদুর রহমান আযাদ স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভিন্ন প্রতিকে নির্বাচন করবে। অর্থাৎ ধানের শীষ প্রতিক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিবে ২৯৮ প্রার্থী।

এর আগে শুক্রবার বিএনপি দলীয় ২০৬ আসনের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেন মির্জা ফখরুল। এরপর শনিবার জোট-ফ্রন্টের ৬১ আসনের প্রার্থীদের নামের তালিকা প্রকাশ করেন। সেখানেও আসে শেষ সময়ে রদবল।

শনিবার আরো ১৪ জনকে বিএনপির মনোনয়ন দেয়া হয়। তারা হলেন- চট্টগ্রাম -৮ আসনে এম মোরশেদ খান, সিলেট-১ আসনে খন্দকার আবদুল মুক্তাদির, সিলেট-৬ আসনে ফয়সাল আহমেদ চৌধুরী, বরগুনা-২ খন্দকার মাহবুব হোসেন, গাইবান্ধা-২ আসনে আবদুর রশীদ সরকার, পটুয়াখালী-২ আসনে শহীদুল আলম তালুকদার, নারায়ণগঞ্জ-১ কাজী মুনীর, ময়মনসিংহ-১ আলী আজগর, কুমিল্লা-৬ হাজী আমিন উর রশীদ ইয়াসিন, জামালপুর-১ রশীদুজ্জামান মিল্লাত, নেত্রকোনা-৫ আবু তাহের তালুকদার, চাঁদপুর-৩ শেখ ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, টাইঙ্গাইল-৩ লুৎফর রহমান খান আজাদ ও সাতক্ষীরা-৩ ডাক্তার শহিদুল আলম।

এরমধ্যে আজ রোববার দুটি আসনে মনোনয়ন পরিবর্তন করে বিএনপি। চট্টগ্রাম-৮ আসনে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এম মোরশেদ খানকে বাদ দিয়ে চট্টগ্রাম জেলা বিএনপির সভাপতি আবু সুফিয়ানকে চূড়ান্ত মনোনয়ন দেওয়া হয়।

অন্যদিকে শেরপুর-২ আসনে এ কে এম মোখলেছুর রহমান রিপনের বদলে মনোনয়ন দেওয়া হয় সাবেক হুইপ প্রয়াত জাহিদ আলী চৌধুরীর ছেলে ফাহিম চৌধুরীকে।

রংপুর-৫ আসনে মোফাখখারুল ইসলাম নবাবের পরিবর্তে গোলাম রাব্বানী, সিরাজগঞ্জ-৬ আসনে মো. কামরুদ্দীন এহিয়া খান মজলিশের পরিবর্তে এম এ. মুহিত, নওগাঁ-১ আসনে মো. মোস্তাফিজুর রহমানের পরিবর্তে মো. ছালেক চৌধুরী, গোপালগঞ্জ-৩ আসনে এস এম আফজাল হোসেনের পরিবর্তে এস এম জিলানীকে।

নাটোর-১ আসনে কামরুন নাহারের পরিবর্তে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের মনজুরুল ইসলাম, চট্টগ্রাম-৭ আসনে কুতুবুদ্দিন বাহারের পরিবর্তে এলডিপির মো. নুরুল আলমকে ধানের শীষের প্রার্থী হিসেবে চূড়ান্ত করা হয়েছে।

এছাড়াও রোববার নতুন করে মনোনয়ন দেওয়া হয় ঢাকা-১ আসনে আবু আশফাক খন্দকার, ঢাকা-৫ আসনে নবীউল্লাহ নবী, ঢাকা-১৪ এ বি সিদ্দিক সাজু এবং রাজশাহী-৫ আসনে নাদিম মোস্তফাকে। শরীয়তপুর-১ সরদার এ কে এম নাসির উদ্দিন, রংপুর-৫ মো. গোলাম রব্বানী, নীলফামারী-২ আসনে জেলা নায়েবে আমীর মনিরুজ্জামান মন্টু, সাতক্ষীরা-৩ শহিদুল আলম, কুমিল্লা-১১ সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের।

ঐক্যফ্রন্টের যারা মনোনয়ন পেয়েছে:

জেএসডি ৪টি: লক্ষ্মীপুর-৪ আ স ম আবদুর রব, কুমিল্লা-৪ আবদুল মালেক রতন, ঢাকা-১৮ শহিদউদ্দিন মাহমুদ স্বপন, কিশোরগঞ্জ-৩ সাইফুল ইসলাম।

কৃষক-শ্রমিক-জনতা লীগ ৪টি: টাঙ্গাইল-৮ কাদের সিদ্দিকীর মেয়ে কুঁড়ি সিদ্দিকী, টাঙ্গাইল-৪ রফিকুল ইসলাম, গাজীপুর-৩ ইকবাল সিদ্দিকী, নাটোর-১ মনজুরুল ইসলাম।

গণফোরাম ৭টি: ঢাকা-৬ সুব্রত চৌধুরী, ঢাকা-৭ মোস্তফা মহসিন মন্টু, ময়মনসিংহ-৮ এএইচএম খালেকুজ্জামান, হবিগঞ্জ-১ রেজা কিবরিয়া, মৌলভীবাজার-২ সুলতান মো. মনুসর আহমেদ, পাবনা-১ অধ্যাপক আবু সাঈয়িদ, কুড়িগ্রাম-২ আমসা আমিন।

নাগরিক ঐক্য ৪টি: বগুড়া-২ মাহমুদুর রহমান মান্না, নারায়ণগঞ্জ-৫ এস এম আকরাম, রংপুর-১ শাহ রহমত উল্লাহ, বরিশাল-৪ নুরুর রহমান জাহাঙ্গীর।

২০ দলীয় জোটের যারা মনোনয়ন পেয়েছে:

এলডিপি ৫টি: চট্টগ্রাম- ১৪ আসনে এলডিপির অলি আহমেদ, চট্টগ্রাম-৭ আসনে মো. নুরুল আলম, কুমিল্লা-৭ আসনে রেদোয়ান আহমেদ, লক্ষ্মীপুর-১ আসনে সাহাদাত হোসেন সেলিম, ময়মনসিংহ-১০ আসনে সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ।

জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ৪টি: সুনামগঞ্জ-৩ আসনে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামীর শাহিনুর পাশা, সিলেট-৫ মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে মুফতি মুনির হোসেন, যশোর-৫ আসনে মুফতি মোহাম্মদ ওয়াক্কাস।

জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) ২টি: গাইবান্ধা-৩ আসনে টিআই ফজলে রাব্বী, কুষ্টিয়া-২ আসনে আহসান হাবিব লিংকন।

খেলাফত মজলিশ ২টি: হবিগঞ্জ-৪ আসনে আহমেদ আবদুল কাদের, হবিগঞ্জ-২ আসনে আবদুল বাসিদ আজাদ।

বিজেপি ১টি: ঢাকা-১৭ আসনে আন্দালিব রহমান পার্থ।

এনপিপি ১টি: নড়াইল-২ আসনে ফরিদুজ্জামান ফরহাদ।

পিপিবি ১টি: রংপুর-৩ আসনে রিটা রহমান।

কল্যাণ পার্টি ১: চট্টগ্রাম- ৫ আসনে কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম।

লেবার পার্টি ১টি: পিরোজপুর-২ আসনে মুস্তাফিজুর রহমান ইরান।

জামায়াতের যারা মনোনয়ন পেয়েছে:

ঢাকা-১৫ আসনে ডা. শফিকুর রহমান, সিরাজগঞ্জ-৪ আসনে রফিকুল ইসলাম খান, খুলনা-৫ আসনে মিয়া গোলাম পারোয়ার, খুলনা-৬ আসনে আবুল কালাম আজাদ, কুমিল্লা-১১ আসনে সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।

চট্টগ্রাম-১৫ আসনে আ ন ম শামসুল ইসলাম, কক্সবাজার-২ আসনে হামিদুর রহমান আযাদ (স্বতন্ত্র), ঠাকুরগাঁও-২ আসনে আবদুল হাকিম, দিনাজপুর-১ আসনে আবু হানিফ, দিনাজপুর-৬ আসনে আনোয়ারুল ইসলাম।

নীলফামারী-৩ আসনে আজিজুল ইসলাম, গাইবান্ধা-১ আসনে মাজেদুর রহমান, সাতক্ষীরা-২ আসনে মুহাদ্দিস আবদুল খালেক, সাতক্ষীরা-৪ আসনে গাজী নজরুল ইসলাম, পিরোজপুর-১ আসনে শামীম সাঈদী।

বাগেরহাট-৩ আসনে আবদুল ওয়াদুদ, বাগেরহাট-৪ আসনে আবদুল আলীম, যশোর-২ আসনে আবু সাঈদ মো. সাহাদাত হোসেইন, ঝিনাইদহ-৩ আসনে মতিউর রহমান, পাবনা-৫ আসনে ইকবাল হোসেইন, রংপুর-৫ আসনে গোলাম রাব্বানী।

বিএনপির শুক্রবার ঘোষিত ২০৬ জনের তালিকা দেখতে ক্লিক করুন।

উল্লেখ্য নির্বাচন কমিশনে দেওয়া বিএনপির প্রার্থী তালিকায়, নীলফামারী-২ আসনে জেলা নায়েবে আমীর মনিরুজ্জামান মন্টুকে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে দেখানো হয়। সেজন্য হিসেবে একজন গড়মিল হবে।

সেক্ষেত্রে জামায়াতের প্রার্থী ২২ জন ধরলে বিএনপির ২৪১ অন্যদিকে বিএনপির ২৪২ ধরলে জামায়াতের ২১ জন।

/আরএ

Comments