টাঙ্গাইল-২ আসনে নৌকার প্রার্থী ছোট মনিরের বিরুদ্ধে পরিচয়পত্র জালিয়াতির অভিযোগ

প্রকাশিত: ১২:৪৬ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৫, ২০১৮

একুশ ডেস্ক: টাঙ্গাইল-২ আসনে নৌকার প্রার্থী ছোট মনিরের বিরুদ্ধে ন্যাশনাল আইডি কার্ড জালিয়াতির অভিযোগ ওঠেছে।

জাতীয় পরিচয়পত্র ‘জালিয়াতির’ পাশাপাশি হলফনামায় শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে ভুয়া তথ্য দেওয়ার অভিযোগ তুলে ছোট মনিরের প্রার্থিতা বাতিলের দাবিও করেছেন স্থানীয় এক ব্যক্তি।

এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে এই অভিযোগও পাঠিয়েছেন অভিযোগকারী  খন্দকার খাবিরুজ্জামান নামে টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার ওই বাসিন্দা।

বিডি নিউজের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, ছোট মনিরের নামে ইস্যু করা পাসপোর্টে ভিন্ন আরেকটি জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর উল্লেখের প্রমাণ পাওয়া গেছে।

অভিযোগের বিষয়ে কথা বলতে মঙ্গলবার ছোট মনির ও তার ভাই গোলাম কিবরিয়া বড় মনিকে অনেকবার ফোন করা হলেও তারা ফোন ধরেননি।

তবে টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ছোট মনিরের পক্ষ থেকে বরাবরই এসব অভিযোগ অস্বীকার করা হচ্ছে।

খাবিরুজ্জামানের লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, টাঙ্গাইল-২ আসনের প্রার্থী তানভীর হাসান ছোট মনিরের আগের ভোটার নম্বর ছিল ……..০০১০৯৬। এতে ঠিকানা দেখানো হয়েছিলো বাজিতপুর রোড, পূর্ব আদালত পাড়া, টাঙ্গাইল সদর, টাঙ্গাইল। কিন্তু ওই একই ভোটার নম্বর ও ঠিকানায় আরেকজনের নামে জাতীয় পরিচয়পত্র রয়েছে।

পরবর্তীতে ছোট মনিরের নামে ইস্যুকৃত জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ….০০০০১৫, আর ভোটার নম্বর ০০০২২৬।

এই অভিযোগের সত্যতা খুঁজতে গিয়ে ছোট মনিরের ভিন্ন আরেকটি এনআইডি নম্বর ব্যবহারের সন্ধান পাওয়া যায়।

টাঙ্গাইলের ওই ব্যক্তির অভিযোগ অনুযায়ী, ছোট মনিরের বর্তমান এনআইডি নম্বরের শেষ ছয় সংখ্যা হলো ০০০০১৫।

অনুসন্ধানে দেখা যায়, ছোট মনিরের ২০১৭ সালের পাসপোর্টে যে এনআইডি নম্বর উল্লেখ করা হয়েছে, তা ভিন্ন। সেই এনআইডি নম্বরের শেষ ছয়টি সংখ্যা হল ০১০৪৩৪।

এক ব্যক্তির একাধিক এনআইডি নম্বর থাকার কোনো সুযোগ নেই। তবে লেমিনেটেড এনআইডি (১৩ ও ১৭ ডিজিটের) ও স্মার্ট এনআইডির নম্বর ভিন্ন হতে পারে।

১৩ ডিজিটের এনআইডি নম্বরে জন্মসাল থাকে না, কিন্তু ১৭ ডিজিটের এনআইডিতে জন্ম সাল থাকে।

পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, অভিযোগদাতার দেওয়া ও পাসপোর্টে পাওয়া ছোট মনিরের নামে দুটি এনআইডি নম্বরই ১৭ ডিজিট বা সংখ্যার। জন্ম তারিখসহ প্রথম সাতটি ডিজিট অভিন্ন হলেও পরের ১০ সংখ্যায় কোনো মিল নেই।

উল্লেখ্য, ছোট মনির এর আগে হত্যা ও অস্ত্র চোরাকারবারসহ সাতটি ফৌজদারি মামলার আসামি হয়েছিলেন। তার বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনাসহ নানা অভিযোগ রয়েছে এলাকাবাসীর।

২০১৬ সালে জার্মান থেকে খেলনা পিস্তলের নামে অস্ত্র চোরাচালানের সময় শাহজালাল বিমানবন্দরে দুই জার্মান নাগরিক প্রেপ্তার হন।

পরে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে ওই দুই জার্মান অস্ত্র, মদ, বৈদেশিক মুদ্রা চোরাচালানে ছোট মনিরের নাম বলেছিলেন বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়।

/আরএ

Comments