গভীর রাতে ফেইসবুকে ছাড়াচ্ছে অবাধ যৌনাচার

প্রকাশিত: ১০:১৯ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৬, ২০১৮

রাহাত খান: সোশ্যাল মিডিয়া ছাড়া চলা যেন কঠিন হয়ে পড়ছে অনেকের কাছেই। প্রতিদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় ডুবে থাকেন বেশির ভাগ তরুণ-তরুণীসহ সব বয়সের অনেকেই। এতে অনেকেই বেশ উপকৃত হয়ে থাকেন।

কিন্তু এই সোশ্যাল মিডিয়ায় উপকারের চেয়ে ক্ষতি হচ্ছে অনেক ক্ষেত্রে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন গ্রুপে চলছে বিকৃত যৌন চর্চা। অনেক সময় গ্রুপ পাবলিক রেখে বা ক্লোজড করে দিয়ে একটা সংঘবদ্ধ চক্র যৌনাচার করছেন।

এসব গ্রুপে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন মেয়ের নোংরা-নগ্ন ছবি পোস্ট করে নানারকম মন্তব্য করতে বলা হয়। অনেক সময় গোপনে ধারণ করা ছবিও পোস্ট করা হয়।

এরকম কয়েকটি গ্রুপ পর্যালোচনা করে দেখা যায়, রাতের গভীরতা বাড়লেই এসব গ্রুপের সদস্যরা সক্রিয় হয়ে ওঠেন।

অনেক সময় প্রকাশ্যেই বলা হয়, এখন কি কেউ জেগে আছেন? চ্যাট করতে চাই। অনেক সময় বিভিন্ন মেয়ের আইডি থেকে উত্তেজক ছবি পোস্ট করে ফোন নাম্বার দিয়ে দেওয়া হয়।

অনেকে আবার প্রতি ঘণ্টা বা রাতের হিসাব করে যৌন কাজের জন্য মূল্য নির্ধারণ করে দেন। গ্রুপগুলোতে এক ধরনের পোস্ট প্রায়ই দেখা যায়। যেমন- একটি স্বল্প বসনা নারীর ছবি দিয়ে বলা হয়, জামাটি খুব সুন্দর।

আবার বিভিন্ন রাস্তাঘাট, শপিংমলে ঘুরতে বের হওয়া অপ্রস্তুত অবস্থায় ধারণ করা মেয়েদের ছবি পোস্ট করে বলা হয় ‘কার কার লাগবে এমন জিনিস’। এভাবে ওই মেয়ে বা মহিলার অজান্তেই ছড়িয়ে পড়ছে ওই মেয়ের ছবি।

অনেকে আবার সেক্স চ্যাট করার জন্য প্রকাশ্যেই পার্টনার খুঁজছেন। বিভিন্ন পেইজ থেকে রাত হলেই লাইভে আসছেন নারীরা। অশালীন পোষাক পড়ে তারা লাইভ কলে অবাধ যৌনাচার করছেন।

গত সপ্তাহ দুয়েক আগে একটি পেইজে দেখা যায় যৌন মিলনের লাইভ ভিডিও শেয়ার করা হয় যা এক লক্ষেরও বেশি বার ভিউ হয়েছে।

শুধু এই পেইজই নয় এরকম অহরহ পেইজ ফেসবুকে দৃষ্টিগোচর হয়ে আসছে যা অবাধ যৌনাচার ও বিকৃত মানসিকতার পরিচয় দিচ্ছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন এ ধরণের ঘটনার জন্য বিকৃতমনা নারী-পুরুষ উভয়ই দায়ি। কেননা এসব আইন করে বন্ধের কোন জিনিস নয় বরং নিজেরা পরিচ্ছন্ন মনোভাব নিয়ে অনলাইনে  বিচরণ করলে এসব এড়ানো বা রোধ করা সম্ভব।

পারিবারিক ও সামাজিকভাকে সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে তরুণ-তরুণিদের এমন নোংরামি থেকে ফিরিয়ে আনা যেতে পারে বলেও অনেকে মত প্রকাশ করেন।

বিআইজে/

Comments