‘আওয়ামীলীগ অপকর্মগুলো আড়াল করতে চাই’

প্রকাশিত: ১০:০৯ অপরাহ্ণ, জুলাই ৮, ২০১৮

স্টাফ রিপোর্টার : ক্ষমতাসীনরা নিজেদের অপকর্ম ঢাকতে ভোট ভোট খেলা শুরু করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

রবিবার (৮ জুলাই) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে স্বেচ্ছাসেবক ফোরাম আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘এখন ভোট ভোট খেলা চলছে। ভোট ভোট খেলে তাদের (সরকার) অপকর্মগুলো আঁড়াল করতে চায়। মনে হয় বাংলাদেশ একজনের। তাঁর নাম শেখ হাসিনা। একটা পার্টির- আওয়ামী লীগের। এটা যদি দেশের মানুষ ভাবতে শুরু করে, আর সেই ভাবনা থেকে যদি মানুষ ভারতের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে, সেই দায়টা কার?’

‘কার পদ আছে, কার পদ নাই। এসব নিয়ে ভাবনা করার দরকার নাই’- দলের ভাইস-চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু’র এ বক্তব্যের সঙ্গে একমত পোষণ করে গয়েশ্বর বলেন, ‘কথাটা সত্য। কিন্তু আমরা কী এটার ঊর্ধ্বে? আমরা কি বলতে পারবো- আমরা এসব চাওয়া পাওয়ার ঊর্ধ্বে?’

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে গয়েশ্বর বলেন, ‘আজকে আমাদের ‘মা’ জেলখানায় এবং ছেলে বাইরে। এরপরও অনেকে (বিএনপির নেতারা) বলেন, ভাইকে একটু বলেন- আমাকে একটু নিচু দিলো, ছোট দিলো! এই যে বিষয়গুলো…!’

আজকে নির্বাচনের একটা বাতাস তোলা হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘একটা পত্রিকায় দেখলাম, বিএনপির ৩০০ আসনের প্রার্থীর নাম বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের টেবিলে। তারেক রহমানের টেবিলে ৩০০ নাম কেনো? কমপক্ষে ৯০০ নাম আছে। আবার ওই প্রতিবেদনে ৫ থেকে ৬ জনের মৃত মানুষের নামও রয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘যেদিন নিউজটি হয়, ওই দিন বিকেলে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সঙ্গে আমার টেলিফোনে কথা হয়। উনার কাছে আমি জানতে চাইলাম- আপনি কি নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে ফেললেন? উনি শুনে, হাসলেন। বললেন, আমি শুনেছি, ৩০০ আসনে…। শোনার পড়ে আমি আলমারি ও টেবিল তন্নতন্ন করে খোঁজলাম। কিন্তু কোন নামের তালিকা খুঁজে পেলাম না! উনারা কোথা থেকে পেলেন? উনারা যদি আমাকে একটু দিতেন তাহলে উপকৃত হতে পারতাম। সাংবাদিক বন্ধুদের সঙ্গে আপনি যদি কথা বলেন তাহলে আমার এই আহ্বানটি জানাবেন।’

কোটা প্রসঙ্গে বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, ‘নৃ-তাত্ত্বিক জাতিগোষ্ঠি ও মুক্তিযুদ্ধের নামে কোটা পদ্ধতি অপব্যবহার হচ্ছে। একারণে দেখা যাচ্ছে, সচিবও ভুয়া মুক্তিযুদ্ধের সনদপত্র নিয়ে তার চাকরির মেয়াদ অতিক্রম করছেন।’

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘বাসার মধ্য না থেকে স্বৈরাচার সরকারকে হটাতে মাঠে-ঘাটে নামতে হবে। কারণ আন্দোলনের বিকল্প নাই। জনগণ সুযোগ পেলে জবাব দিতে প্রস্তুত রয়েছে। এই সু্যোগটা সৃষ্টি করতে হবে জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করে। তখন জনগণ যথাযথভাবে সরকারকে উত্তর দিতে সক্ষম হবে।’

‘বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা ও অবিলম্বে মুক্তির দাবি’ শীর্ষক এ সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি মো. সোহেল রানা। এতে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ও নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুন রায় চৌধুরী প্রমুখ।

#এএইচ

Comments