নিজস্ব প্রতিনিধি: ভারতের তামিলনাড়ু প্রদেশের নাগাপিত্তানাম জেলায় গরুর মাংসের স্যুপ খাওয়ার ঘটনা ফেসবুকে পোস্ট করার জন্য এক ব্যক্তির উপর হামলা হয়েছে। হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার চারজনই একটি হিন্দুত্ববাদী দলের সদস্য বলে জানা গেছে।

নাগাপিত্তানাম জেরার কিল ভেলুর অঞ্চলের ২৪ বছর বয়সী মোহাম্মদ ফাইসান বৃহস্পতিবার দুপুর ৩টার দিকে নিজের ফেসবুক প্রোফাইল থেকে দুটি ছবি পোস্ট করেন। যেখানে তিনি গরুর মাংসের স্যুপ খাচ্ছিলেন বলে দেখা যায়।

ছবিগুলোর সাথে স্যুপের স্বাদের প্রশংসা করে একটি পোস্টও করেন তিনি। ওইদিন সন্ধ্যায় একই এলাকার চারজন তরুণ ফাইসানকে আক্রমণ করে বলে অভিযোগ ওঠে। হামলায় ঘাড়ে এবং পিঠে চোট পাওয়া ফাইসানকে নাগাপিত্তানামের সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

যোগাযোগ করা হলে ফাইসান বলেন, ‘আমার পোস্ট করা ছবির নীচে তারা (হামলাকারীরা) খুবই আপত্তিজনক কমেন্ট পোস্ট করে। কিন্তু কিছুক্ষণ পর তারা সেসব কমেন্ট সরিয়ে নেয়। পরে আমি যখন প্রোভাচেরি মারিয়াম্মান মন্দিরের সামনে বসে ছিলাম তখন তারা দলবেঁধে আসে এবং আমার উপর হামলা চালায়।’

কিল ভেলুর পুলিশ স্টেশন জানিয়েছে যে, তারা চারজনকে গ্রেফতার করেছে যারা হিন্দুত্ববাদী দল ‘হিন্দু মাক্কাল কাটচির’ সদস্য। হিন্দু মাক্কাল কাটচির নেতা অর্জুন সাম্পাথের অন্য যুক্তি দেখান।

তিনি বলেন, ‘মোহাম্মদ ইউনুস নামের এক ব্যক্তি তার খাওয়ার দোকানের প্রচারণায় বলেছেন ‘‘যদি গরু আপনার ইশ্বর হয় তাহলে আমরা তাকে খাবো।’’ এ বিষয়ে পুলিশে একটি অভিযোগ দায়ের করেছি আমরা। কিন্তু পুলিশে অভিযোগ করা হলেও কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।’

হামলার শিকার মোহাম্মদ ফাইসান এই প্রচারণাকে সমর্থন করে হিন্দুত্ববাদী দলের এক নেতার সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়েন বলেই তার ওপর হামলা চালানো হয়েছে বলে মন্তব্য করেন অর্জুন সাম্পাথ।

তিনি বলেন, ‘হামলার শিকার ব্যক্তি তার গাড়িতে এ দোকানের প্রচারণার সঙ্গে মিলিয়ে একটি স্লোগান লিখে রাখে এবং আমাদের এক সদস্যের সাথে বিবাদে জড়িয়ে পড়ে। পুলিশ যদি আগেই আমাদের অভিযোগের ভিত্তিতে পদক্ষেপ নিতো তাহলে এই হামলা হতো না।’

এই ঘটনায় কিল ভেলরের পুলিশ সুপারের বক্তব্যের জন্য যোগাযোগ করা হলেও কোনো মন্তব্য করেননি তিনি।

সূত্র: বিবিসি

Comments