৫ বুদ্ধিতে শিশু ঘুমাবে নিশ্চিন্তে

প্রকাশিত: ১২:২৭ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৯

বাচ্চাকে ঘুম পাড়ানো যে কত কঠিন, তা শুধু বাবা-মায়েরাই জানেন! শুনলে অবাক হবেন, শিশুরা কিন্তু ঘুমাতে জানে না। হাঁটা কিংবা কথা বলা শেখানোর মত ঘুমানোও শেখাতে হয় তাদের।

জোরাজুরি নয়
শিশুকে ঘুমানোর জন্য জোর করা উচিৎ নয়। শিশুর জন্য ঘুমের পরিবেশ তৈরি করুন, পাশে থেকে তার বুকে আলতো করে চাপড় দিতে থাকুন, সে এমনিতেই ঘুমিয়ে পড়বে।

দোল দোল দুলুনি
শিশুকে দোলনায় দোল দিয়ে ঘুম পাড়ানোর ঐতিহ্য আমাদের দেশে বেশ পুরোনো। আজকাল স্বয়ংক্রিয় দোলনাও পাওয়া যায় যা নিজে থেকেই ছন্দবদ্ধভাবে শিশুকে দোল দিতে থাকে। তবে নিজের বাহুতে দোল দিয়েও শিশুকে ঘুম পাড়ানোর বুদ্ধি কাজে লাগতে পারে।

আদর আদর
আধুনিক বাবা-মায়েদের অনেকেই শিশুকে জন্মের পর থেকে আলাদা স্থানে ঘুম পাড়ান। যদি আপনার শিশু তার নিজের বিছানায় ঘুমাতে না চায়, তাহলে ঘুমিয়ে যাওয়া পর্যন্ত ওকে নিজের কাছে রাখুন। আপনার আদুরে সাহচর্যে সে নিরাপদ বোধ করবে এবং হয়তো সহজে ঘুমিয়ে পড়বে।

আঁধারে আসবে ঘুম

একজন মা দাবী করেছেন, তার শিশুর চেহারা স্পর্শ না করে তার চোখ ঢেকে দিলে এবং বুকে আলতো করে চাপড় দিতে থাকলে সে দ্রুত ঘুমিয়ে পড়ে। এই পন্থা আপনিও অবলম্বন করে দেখতে পারেন।

ফিরিয়ে নিয়ে যান গর্ভে

একটি শিশু তার মায়ের গর্ভে সবচেয়ে আরামে থাকে। গর্ভ থেকে বেরিয়ে পৃথিবীর সঙ্গে মানিয়ে নিতে অনেকটাই সময় লাগে তার। গর্ভে শিশু মায়ের শ্বাস-প্রশ্বাস, হৃৎপিণ্ড, রক্ত প্রবাহের শব্দসহ নানা শব্দ শুনতে পায় ক্রমাগত। সেই সঙ্গে মায়ের কথা বলার শব্দও ভেসে আসে তার কাছে। পৃথিবীতে আসার পর যখন একজন পূর্ণাঙ্গ মানুষের মতো সব শব্দ বন্ধ করে আমরা তাকে ঘুম পাড়ানোর চেষ্টা করি স্বাভাবিকভাবেই এ পরিস্থিতি তার কাছে অচেনা মনে হয়। তাকে আবার তার সেই চেনা পরিস্থিতিতে ফিরিয়ে নিয়ে যান। ইন্টারনেট থেকে ডাউনলোড করে শিশুকে শোনাতে পারেন ‘ওম্ব নয়েজেস’ অর্থাৎ গর্ভের ভেতরের শব্দ, যা তাকে সেই নিরাপদ অনুভূতি দেবে। ফলে সে ঘুমিয়ে পড়তে পারে।

শেয়ার করে সব মায়েদের জানিয়ে দিন এই পাঁচটি সহজ উপায়।

Comments