সারাদেশে হাতপাখার কর্মীদের উপর হামলার দায় সরকার ও ইসিকে নিতে হবে

প্রকাশিত: ১১:৩৬ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১২, ২০১৮

একুশ ডেস্ক: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মহাসচিব  হাফেজ অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুস আহমাদ বলেছেন, সারাদেশে ইসলামী আন্দোলনের হাতপাখা প্রতিকের নেতা কর্মীদের উপর হামলার দায়ভার সরকার ও ইসিকে নিতে হবে।

তিনি বলেন, নির্বাচনী প্রচারণার শুরুতেই হাতপাখার গণজোয়ার দেখে সরকার দলীয় নেতাকর্মীরা বিভিন্ন স্থানে হাতপাখার কর্মীদের উপর হামলা করছে।

বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এব বিবৃতিতে এসব কথা বলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশে-এর মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুস আহমাদ।

অধ্যক্ষ ইউনুস জানান, গতকাল মঙ্গলবার নোয়াখালীতে নির্বাচনী অফিস ভাংচুর করে তালা ঝুলিয়ে দেয়া হয়, পটুয়াখালীতে অফিস ভাংচুর করে কর্মীদের উপর হামলা, নরসিংদীতে নির্বাচনী গণসংযোগকালে হামলা করে গাড়ি ভাংচুর, সিরাজগঞ্জ-১ আসনে হাতপাখার প্রার্থী মুফতি আল আমীনকে সরকারদলীয় কর্মীরা উঠিয়ে নিয়ে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছে।

এছাড়াও আজ বুধবার খুলনা-৩ আসনের হাতপাখার প্রার্থী মোজাম্মেল হক খালিশপুরে গণসংযোগকালে ছাত্রলীগ হামলা করে প্রার্থীসহ অনেককেই আহত করে।

অধ্যক্ষ ইউনুস আহমাদ আরো বলেন, বিভিন্ন স্থানে পোস্টারিং করতে বাধা প্রদান এবং পোস্টার ছিড়ে ফেলাসহ সারাদেশে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতাকর্মীদের উপর সরকার দলীয় বাহিনী যে হামলা শুরু করেছে তার পরিনতি কারো জন্যই ভালো হবে না।

এ সময় তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কর্মীরা সারাদেশে নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনা করতে গিয়ে সরকারদলীয় নেতাকর্মীদের বিভিন্ন হামলার শিকার হচ্ছে। প্রশাসন ও ইসিকে এ ব্যাপারে অবহিত করা হলেও তারা কোন ধরনের কার্যকরি পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না।

অন্যদিকে কোটালী পাড়া বি-বাড়িয়া ও দেশের বিভিন্ন স্থানে মন্ত্রী-এমপিরা সরকারী পতাকাবাহী গাড়ি দিয়ে পুলিশ প্রটৌকলে নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘন করে নির্বাচনী প্রচারনা চালাচ্ছে। প্রশাসন তা দেখেও না দেখার ভান করছে।

আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে প্রশাসন ও ইসি অসহায় নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। নির্বাচনে লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির দাবী জানালেও ইসি প্রচারণার শুরুতেই তা করতে ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে। প্রশাসন ও ইসির এ নির্বিকার ভূমিকাই প্রমাণ করে তাদের দ্বারা গ্রহনযোগ্য নির্বাচন পরিচালনা করা দূরহ ব্যাপার।

নির্বাচন কমিশন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন না করে সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। নির্বাচন কমিশন একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে তাদের যে ভূমিকা রাখার দরকার ছিলো তারা তা পালন করছে না।

২০১৪ সালের মত নির্বাচন হলে জনগণ সরকার ও ইসিকে সমুচিত জবাব দিবে বলেও তিনি হুশিয়ারি উচ্চাণ করেন।

এ সময় তিনি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কর্তৃক মনোনীত হাতপাখায় প্রার্থীদের বিজয়ী করতে জনগণের প্রতি আহবান জানান।

/আরএ

Comments