ফটিকছড়িতে হাতপাখা প্রতিকে মনোনয়ন নিলেন আতিক উল্লাহ বাবুনগরী

প্রকাশিত: ১০:০৪ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৯, ২০১৮

এম ওমর ফারুক আজাদ, ফটিকছড়ি, চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনে হাতপাখা প্রতীকে মনোনয়ন সংগ্রহ করলেন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মনোনীত এম.পি পদপ্রার্থী ও দলের চট্টগ্রাম উত্তরজেলা সভাপতি মাওলানা আতিক উল্লাহ বাবুনগরী।

তিনি আজ বিকেল ৪টায় ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুশফিকুর রহমান এর হাত থেকে এ মনোনয়ন ফরম বুঝে নেন।

এর আগে গত ১৮ নভেম্বর দলের কেন্দ্রিয় কার্যালয়ে উক্ত আসনে মাওলানা আতিক উল্লাহর প্রার্থীতার মনোনয়ন চুড়ান্ত করেন দলের আমীর সৈয়দ মুফতি রেজাউল করীম (পীর সাহেব চরমোনাই)।

মাওলানা আতিক উল্লাহ ১৯৬৫ সালে ফটিকছড়ি উপজেলার বাবুনগর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। জন্মস্থানের দিকে সম্বোধন করে তাকে বাবুনগরী নামেও ডাকেন দলের নেতাকর্মীরা।

প্রাথমিক শিক্ষার হাতেখড়ি গ্রামের মক্তব এর পাঠ চুকিয়ে উচ্চ শিক্ষার জন্য ভর্তি হন চট্টগ্রামের বিখ্যাত ইসলামী শিক্ষাকেন্দ্র জামিয়া ইসলামিয়া বাবুনগর মাদরাসায়।

সেখান থেকে ১৯৮৮সালে কৃতিত্বের সাথে দাওরায়ে হাদিস সম্পন্ন করে রুটি রুজির সন্ধানে পাড়ি জমান ওমানে।

সেখানে তিনি বারো বছর মসজিদের ইমামতির পাশাপাশি ১৯৮৮সালে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ (তৎকালীন ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন) এর ওমান কেন্দ্রিয় প্রতিষ্ঠা কমিটির সেক্রেটারি নির্বাচিত হন। তারপর সাহাম থানা শাখার দায়িত্ব পালন করেন দীর্ঘদিন।

এরপর ২০০০সালে আরব আমিরাতে পাড়ি জমালে সেখানেও দুবাই কেন্দ্রিয় জামে মসজিদের ইমামতির দায়িত্বের পাশাপাশি দীর্ঘদিন আমিরাত ইসলামী আন্দোলন কেন্দ্রিয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক এর দায়িত্ব পালন করেন।

অবশেষে ২০১৫সালে স্বদেশে ফিরে আসলে স্থানীয় রাজনীতির সাথে নিজেকে সম্পৃক্ত করেন ও দলের নায়েবে আমীরের নির্দেশে ২০১৭সালে তাকে চট্টগ্রাম উত্তরজেলা সভাপতি করা হয়।

রাজনৈতিক জীবনের পাশাপাশি সমাজসেবায়ও নিজেকে আত্মনিয়োগ করেন সমাজঘনিষ্ট এই আলেম ও রাজনিতীবিদ।

এলাকার রাস্তাঘাটের সংস্কার, গরীব ও দরিদ্র ছেলে-মেয়েদের বিয়েতে সামর্থ অনুযায়ী সাহায্য সহযোগিতা এবং এলাকার মানুষের চারিত্রিক এবং নৈতিক উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।

এছাড়াও তিনি উত্তর ফটিকছড়ির শান্তিরহাট খাদিজাতুল কুবরা মহিলা একাডেমী ও পূর্ব বাবুনগর আল মারকাজুল ইসলামী নামের দুইটি শিক্ষা প্রতিষ্টানের প্রিন্সিপাল এর দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

বড় দুই দলের জোটের রাজনৈতিক মেরুর বিপরীতে এককভাবে নির্বাচনে আসার কারণ সম্পর্কে মাওলানা আতিক উল্লাহ বলেন, জনগন প্রধান দুই দলের হিংসাত্মক রাজনীতিতে অতিষ্ট, তারা পরিবর্তন চায়।

আমরা রাজনীতি করি ইবাদাত হিসাবে তাই নির্বাচনকেও ইবাদাত হিসেবে নিয়েছি। কারণ কেউ যদি কোন দুর্নীতিবাজ ও অসত ব্যক্তিকে ভোট দেয় ওই প্রার্থীর সকল কর্মের ভার ভোটদাতাকে কিয়ামতের দিন নিতে হবে।

তাই আমি নির্বাচনে এসেছি ওইসব মানুষদের জন্য যারা পরকালে আল্লাহর কাছ থেকে দায়মুক্তি আশা করে অন্তত এটা বলতে পারে আমি ইসলামের পক্ষে রায় দিয়েছি।

তিনি আরো বলেন, আমরা প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার পর যত নামাজ পড়েছি কেউ বলতে পারবো না আমার এক ওয়াক্ত নামাজ কবুল হয়েছে। কবুল করার মালিক আল্লাহ। আমরা নামাজ পড়েছি কিনা আল্লাহ তাই দেখবেন, কবুল করা আর না করার মালিক আল্লাহ।

তাই প্রতিটি কেন্দ্রে একটি করে হাতপাখার ভোট বাক্স থাকবে। যদি কেউ একটা ভোটও না দেয় আমার বা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর কিছু যায় আসে না।

কারণ আমাদের জবাব আল্লাহকে আমরা দিয়ে দেবো, জনগনও তাদের প্রতিটি ভোটের হিসাব আল্লাহকে দেবেন।

মনোনয় ফরম সংগ্রহের সময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ইসলামী আন্দোলন এর সহ-সভাপতি হোসাইন আহমদ, সহ-অর্থ সম্পাদক মহিউদ্দীন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সৌদি আরব কেন্দ্রিয় কমিটির সদস্য মনছুরুল আলম, ইব্রাহিম খলিল, ইশা ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম উত্তরজেলা সাংগঠনিক সম্পাদক শাহাদাত হোসেন, ফটিকছড়ি উপজেলা ইশা ছাত্র আন্দোলন নেতা ফোরকান প্রমুখ।

/আরএ

Comments