তিন সিটি দেখে জাতীয় নির্বাচনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেবে বিএনপি: মওদুদ

প্রকাশিত: ৯:৫৮ অপরাহ্ণ, জুন ২৯, ২০১৮

স্টাফ রিপোর্টার: দলীয় সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনে যাবে কি না আসন্ন সিলেট, বরিশাল ও রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচন দেখে সিদ্ধান্ত নেবে বিএনপি এমনটাই জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ।

তিনি বলেছেন, সিলেট, বরিশাল ও রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচন যদি খুলনা ও গাজীপুরের মতো হয়, তাহলে বিএনপি মানুষের কাছে প্রমাণ করতে পারবে দলীয় সরকারের অধীনে কোনো দিন নির্বাচন সুষ্ঠু হয় না। সে ক্ষেত্রে বিএনপিকে নতুন করে চিন্তা করতে হবে সাধারণ নির্বাচনে কোনো দলীয় সরকারের অধীনে দলটি নির্বাচন করবে, নাকি করবে না।

আজ শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে জিয়া সাংস্কৃতিক সংগঠন-জিসাসের সংহতি সমাবেশে ব্যারিস্টার মওদুদ এ কথা বলেন।

মওদুদ বলেন, নির্বাচনে যাওয়া না- যাওয়া নিয়ে দলকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচন সেই পথ দেখিয়ে দেবে। তিনি বলেন, ‘আজ এ জিনিসটা স্পষ্ট করা দরকার। সে জন্য আমি চেষ্টা করলাম যতটুকু সম্ভব স্পষ্ট করা। কেননা তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচনই জাতীয় নির্বাচনের আগে শেষ নির্বাচন হবে।’

তিনি বলেন, ‘দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হতে পারে না- এটা আমরা খুলনা ও গাজীপুর সিটি নির্বাচনের মাধ্যমে প্রমাণ করতে পেরেছি। এখন প্রশ্ন হলো, আমরা তিন সিটি নির্বাচনে কেন অংশগ্রহণ করেছি? এর উত্তর একটাই। উত্তর হলো আমরা বারবার প্রমাণ করতে চাই।’

নির্বাচন কমিশন প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, কমিশন সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে। এটা একটা তল্পিবাহক, আজ্ঞাবহ প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠানকে সংবিধানে যে অধিকার দেওয়া হয়েছে, যে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, সেই ক্ষমতা প্রয়োগ করার মতো শক্তি, ক্ষমতা বা সাহস এ নির্বাচন কমিশনের নেই। এই কমিশন রাখা না- রাখা, থাকা না- থাকা একই ব্যাপার।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, উন্নয়ন ফ্লাইওভারের মাধ্যমে নয়, রাস্তাঘাটের মাধ্যমে হয় না। মূল্যবোধের মাধ্যমে, চর্চার মাধ্যমে, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ও সংস্কৃতির মাধ্যমে জাতি সত্যিকার অর্থে সাফল্য লাভ করে। অথচ সবকিছুই এখন হারিয়ে গেছে।

মওদুদ বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া জেলে। সরকার চেষ্টা করছে তাঁর মুক্তি বিলম্বিত করতে। দেরি হলেও খালেদা জিয়া জনগণের মধ্যে ফিরে আসবেন। তাঁর মুক্তির পথ কেউ বন্ধ করতে পারবে না। যেদিন তিনি ফিরে আসবেন, সেদিন থেকে বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ধারা সূচিত হবে, গণতন্ত্রের নতুন জোয়ার তৈরি হবে। সেই জোয়ার বন্ধ করার ক্ষমতা এ সরকারের থাকবে না।

/এমএম

Comments