কোটিপতি শাজাহান খান মন্ত্রী হওয়ার আগে ছিলেন জিরোপতি নিউজ ডেস্ক নিউজ ডেস্ক প্রকাশিত: ৫:০৩ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৫, ২০১৮ একুশ ডেস্ক: আওয়ামী লীগ সরকারের প্রভাবশালী মন্ত্রী শাজাহান খান। একই সাথে মন্ত্রী আবার শ্রমিক নেতা। মন্ত্রী হওয়ার পর রাতারাতি জিরোপতি থেকে কোটিপতি বনে যান শাজাহান খান। ২০০৮ সালের নবম সংসদ নির্বাচনের হলফনামা অনুযায়ী নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান ছিলেন দেনাদার।দেনা ছিলেন ৪২ লাখ টাকারও বেশি। অর্থাৎ কোটি মন্ত্রী তখন জিরোপতিরও নিচে ছিলেন। দশ বছর পরে একাদশ সংসদ নির্বাচনের হলফনামা অনুযায়ী তিনি দেনা শোধ করে এখন কোটি টাকার মালিক। ১০ বছর আগে যখন শাজাহান খান মনোনয়নপত্র জমা দেন তখন বার্ষিক আয় ছিলো ৬ লাখ ৮৫ হাজার ৩৬ টাকা। এই হিসাবে মাসিক আয় ছিলো ৫৭ হাজার ৮৬ টাকা। তার স্ত্রীর শিক্ষকতা থেকে মাসে আয় হতো পাঁচ হাজার দুইশ টাকা। তখন তাদের স্বামী-স্ত্রীর হাতে নগদ কোনো টাকা ছিল না। ১০ বছরের ব্যবধানে শাজাহান খানের বার্ষিক আয় দাঁড়িয়েছে তিন কোটি ৩৩ লাখ ৬০ হাজার ৪৫৯ টাকা। এই হিসাবে এখন প্রতি মাসে তার আয় ২৭ লাখ ৮০ হাজার ৩৮ টাকা। ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় মোতাবেক নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খানের তিনটি ব্যাংক একাউন্টে জমা ছিলো ৩ লক্ষ ৩৪ হাজার ৬০৪ টাকা এবং স্ত্রীর ২টি ব্যাংক একাউন্টে জমা ছিলো বারো হাজার ৪৭০ টাকা। বর্তমানে এই সংখ্যাটা ১ কোটি ২৩ লক্ষ ৫২ হাজার ৩১১ টাকা। এছাড়াও নগদ রয়েছে ২৫ লক্ষ ৪২ হাজার ৪১৩ টাকা। পাশাপাশি স্ত্রীর নামেও ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা রয়েছে ২০ লক্ষ ৯১ হাজার ৪৩৬ টাকা এবং নগদ রয়েছে ২৩ লক্ষ ৪৮হাজার ৫৬৪ টাকা। নবম সংসদ নির্বাচনের হলফনামা মোতাবেক তার স্থাবর সম্পত্তি ছিল দশ লক্ষ ৩৪ হাজার ৯৫৩ টাকার। একাদশ সংসদ নির্বাচনের হলফনামা অনুযায়ী তার সম্পদের পরিমান ৩ কোটি ৯৭ লক্ষ ৭৬ হাজার ৯৩৩ টাকা। এছাড়াও যৌথ মালিকানায় তার নিজের সম্পদ রয়েছে ২ কোটি ৭৫ লক্ষ ২১ হাজার ৫৩২টাকার এবং স্ত্রীর নামে রয়েছে ২ কোটি ৮৭ লক্ষ ৮৬ হাজার ৯০৯ টাকার। হলফনামা অনুযায়ী বর্তমানে তার সম্পাদের পরিমান প্রায় ১০ কোটি টাকার। ২০০৮ সালে শাজাহান খানের নিজ নামে স্থাবর সম্পদ ছিল তিন স্থানে। এছাড়াও গ্রামের বাড়িতে যৌথ মালিকানায় স্থাবর সম্পদ ছিলো। বর্তমানে নৌমন্ত্রীর নিজ নামে স্থাবর সম্পত্তি রয়েছে ১৫ স্থানে এবং যৌথ মালিকানায় রয়েছে আরো ছয় স্থানে। ১০ বছর আগে নৌমন্ত্রীর স্ত্রীর নামে ছিল দুই স্থানে স্থাবর সম্পদ। বর্তমানে তার স্ত্রীর নামে স্থাবর সম্পদ রয়েছে ১৩ স্থানে। এরমধ্যে একাধিক স্থানে জমি পেয়েছেন দানপত্র এবং হেবা দলিলমূলে। তবে সে জমির পরিমাণ উল্লেখ করা হলেও দাম উল্লেখ করা হয়নি। নবম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌমন্ত্রী শাজাহান খানের জমা দেওয়া হলফনামা থেকে এসব চিত্র পাওয়া গেছে। একাদশ জাতীয় নির্বাচনেও আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পাওয়া এই সাংসদ মাদারীপুর-২ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। হলফনামা থেকে আরো জানা যায় গোপালগঞ্জ সদর থানার একটি অস্ত্র মামলায় তার বিরুদ্ধে ৫ বছরের এবং ১৯৭০ সালে মাদারীপুর সদর একটি মামলায় তার ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ হয়েছিল। ২০০৮ সালে শাজাহান খানের বার্ষিক আয় ছিল ছয় লাখ ৮৫ হাজার ৩৬ টাকা। এই হিসাবে প্রতি মাসে আসত ৫৭ হাজার ৮৬ টাকা। ১০ বছরের ব্যবধানে শাজাহান খানের বার্ষিক আয় তিন কোটি ৩৩ লাখ ৬০ হাজার ৪৫৯ টাকা। এই হিসাবে এখন প্রতি মাসে আসে তার ২৭ লাখ ৮০ হাজার ৩৮ টাকা। নৌমন্ত্রীর ২০১৮ সালের বাড়ি-অ্যাপার্টমেন্ট-দোকান বা অন্যান্য ভাড়া থেকে বছরে আসে দুই লাখ ৩৯ হাজার ৪৩৯ টাকা। ১০ বছর আগে আসত ১৫ হাজার ৩৬ টাকা। ব্যবসা থেকে আসত এক লাখ ৭০ হাজার টাকা। বর্তমানে আসে তিন কোটি তিন লাখ ৬২ হাজার ২৫০ টাকা। বর্তমানে ব্যাংক আমানত থেকে লাভ আসে দুই লাখ ৯১ হাজার ২০০ টাকা। মন্ত্রী এবং সাংসদ হিসেবে পারিতোষিক ও ভাতা আসে ২৪ লাখ ৬৭ হাজার ৫৮০ টাকা। আগে অন্যান্য খাত থেকে আসত পাঁচ লাখ টাকা। /আরএ Comments SHARES রাজনীতি বিষয়: