যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নামমাত্র মূল্যে আল্ট্রাসনো, খুশি রোগীরা

প্রকাশিত: ৫:৫৯ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৭, ২০১৯

বিল্লাল হোসেন,যশোর প্রতিনিধি: যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নামমাত্র মূল্যে কালার আল্ট্রাসনো করতে পেরে খুশি রোগীরা ।

তারা বলেছেন সরকারি এই হাসপাতালে কালার আল্ট্রাসনো মেশিন স্থাপন করায় তারা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ থেকে রক্ষা পাচ্ছেন। পুরো পেট (হোল অ্যাবডোমেন) ২শ ২০ টাকা আর পেটের অর্ধেক (লর অ্যাবডোমেন) আলট্রাসনো করতে নেয়া হচ্ছে ১শ ১০ টাকা। অথচ একই আল্ট্রাসনো বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে কয়েক গুন বেশি টাকা হাতানো হয়। অনেক সময় এতো টাকা ব্যয় করে অনেক সময় আল্ট্রাসনো করতে ব্যর্থ হতেন নিম্ন আয়ের মানুষ।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সরকারি এই হাসপাতালে কালার আল্ট্রাসনো মেশিনের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। কালার আল্ট্রাসনো মেশিন স্থানের মধ্য দিয়ে যশোরবাসীর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ হলো। কালার আল্ট্রাসনো ও ডিজিটাল এক্সরে করার জন্য রোগীদের বেসরকারি হাসপাতালে ছুটতে হবে না। স্বল্প মূল্যে তারা সরকারি হাসপাতাল থেকেই তারা এই সেবা পাচ্ছে।

অথচ বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রোগীর পুরো পেট আল্ট্রাসনো করতে ৯শ থেকে ১ হাজার টাকা ও পেটের অর্ধেক করতে নেয়া হয় ৬শ থেকে ৭শ টাকা।

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বারোবাজার এলাকর তুষার ইমরান জানান, গত সপ্তাহে তিনি তার স্ত্রীকে নিয়ে হাসপাতালে বর্হিঃবিভাগে এসেছিলেন গাইনী চিকিৎসক দেখানোর জন্য। দায়িত্বরত চিকিৎসক ব্যবস্থাপত্র দিয়ে রোগীতে কালার আল্ট্রাসনো করার পরামর্শ দেন। কিন্তু আর্থিক সংকটের কারণে স্ত্রীকে আল্ট্রাসনো না করেই ফিরে গিয়েছিলেন। কেননা তখন হাসপাতালে সাদাকালো আলট্রাসনো করা হতো।

বৃহস্পতিবার স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য তিনি আবারো হাসপাতালে আসেন। এদিন তিনি হাসপাতাল থেকে ২শ২০ টাকা দিয়ে কালার আলট্রাসনো করতে পেরে খুশি হয়েছেন বলে জানান। যশোর সদর উপজেরার হৈবতপুরের রমজান আলী, চুড়ামনকাটির সিরাজুল ইসলাম, নিশ্চিন্তপুরের আইনাল হকও সরকারি হাসপাতালে নামমাত্র মূল্যে আল্ট্রাসনো করতে পেরে খুশি হয়েছেন।

তারা বলেন এখানে কালার আল্ট্রাসনো মেশিন স্থাপন করায় তাদের মতো অনেক রোগী আর্থিক ক্ষতিগ্রস্থের কবল থেকে রক্ষা পাবেন। কালার আল্ট্রাসনো করার জন্য রোগীদের আর বাইরে ছুটতে হবেনা।

হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবুল কালাম আজাদ লিটু জানান, নামমাত্র মূল্যে রোগীদের কালার আল্ট্রাসনোর ব্যবস্থা করতে পেরে তিনি নিজেই আনন্দিত। তিনি এই হাসপাতালে দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রাণপন চেষ্টা করেছেন আধুনিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার মেশিন স্থাপনের জন্য। দুই সপ্তাহ আগে কালার আল্ট্রাসনো, ডিজিটাল এক্সরেসহ আধুনিক ৮ প্রকারের মেশিন হাসপাতালে সরকারিভাবে পৌঁছায়।

বর্তমানে কালার আলট্রাসনো মেশিন স্থাপন করা হয়েছে। অতি সত্তর ডিজিটাল এক্সরেসহ অন্যান্য মেশিনগুলো চালু করা হবে। এখন একটি সিটিস্ক্যান মেশিন বরাদ্দের জন্য স্বাস্থ্য অধিদফতরে নিয়মিত যোগযোগ করা হচ্ছে।

বিআইজে/

Comments