ইসলামপন্থী রাজনৈতিকদের হাল-হাকীকত ও ডিগবাজী

প্রকাশিত: ১১:৪২ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৯

শাইখ মাহমূদ হাসান
তরুণ আলেম ও লেখক

বাংলাদেশের রাজনীতিতে নিবন্ধিত ইসলামী দলের সংখ্যা প্রায় ৮ টি। আলেমদের নেতৃত্বে নিবন্ধন ছাড়া রাজনৈতিক দলের সংখ্যা কম থাকলেও অরাজনৈতিক সংগঠন বহুত আছে বিধায় এদেশের শীর্ষস্থানীয় হযরত উলামায়ে কেরাম বিভিন্ন দল- উপদলে বিভক্ত হয়ে নিজ দলের প্রচার-প্রসার করে যাচ্ছেন। আর প্রত্যেক আকাবিরই পৃথকভাবে দল গঠন করার কারণে নিজেকেই নিজ দলের আমীর ঘোষণা করেছেন। বাংলাদেশি আলেমগণ বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে এক ও অভিন্ন মাকসাদ ইসলামী হুকুমত ও মানবিক শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য দিবারাত চেষ্টা ও মেহনত করলেও ক্ষুদ্র গবেষণায় বুঝা যায় যে, বর্তমানে আমাদের দেশের উলামায়ে কেরাম চার দলে বিভক্ত। বিশেষত কওমী আলেমগণ প্রচলিত রাজনীতির সাথে নিজেদের সম্পৃক্ত করায় সচেতন রাজনীতিজ্ঞদের কাছে তারা মৌলিকভাবে চার শ্রেণীতে বিভক্ত। তাই সকল রাজনীতিবিদদের জ্ঞাতার্থে নিম্নে তাদের সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হল।

(১) বিএনপিপন্থী

(২) আওমী লীগপন্থী

(৩) চরমোনাই সমর্থক

(৪) অরাজনৈতিক উলামাগণ।

রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রথম তিন দলের অবস্থান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ থাকলেও তাদের পরস্পর আদর্শ ও চিন্তাগত মত পার্থক্যের কারণে আজও তাঁরা প্রচলিত রাজনীতে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারেনি। পারেনি তারা স্যেকুলার রাজনীতিবিদগণের কাছে আজও ইসলামী হুকুমতের সৌন্দর্য ও সুফল তুলে ধরতে।

তাই সচেতন মানুষের কাছে তাদের সফলতা ও ব্যর্থতার চিত্র আজ সূর্যের আলোর মতো স্বচ্ছ ও পরিস্কার। রাজনীতি বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিদের কাছে তাদের অবস্থান ও লক্ষ্য দিবারাত্রির মত ক্লিয়ার। তথাকথিত সুশীল সমাজের চোখে তাদের মূল্য কতটুক- তা তো টকশোগুলোতে নজর দিলেই বুঝা যায়। তাদের গুটিকয়েক সম্পর্কে মাঝেমধ্যে মিডিয়ায় আলোচনা হলেও অন্যরা থাকে উপেক্ষিত।

নিজ আদর্শ ও লক্ষ্য ভুলে অন্যের করুণায় বাঁচতে গিয়ে প্রথম দ্বিতীয় ও শ্রেণীর আলেমগণ আজ সবখানেই অবহেলিত ও অপমানিত। তাই দুই ও তিন নং দলসমর্থিত আলেমদের সম্পর্কে নতুন বেশি কিছু বলার না থাকলেও পাঠকদের উদ্দেশ্যে শুধু এতটুকু বলবো যে, নিকটতম অতীতে আওমী লীগপন্থী উলামাদের চেয়ে বিএনপিপন্থী উলামাদের মাধ্যমে এদেশে ইসলাম ও মুসলমানদের ক্ষতি বেশি হয়েছে এবং হচ্ছে।

বিশেষত বিএনপিপন্থী আলেমদের রাজনৈতিক দেউলিয়াত্ব ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডে এদেশে ইসলামী রাজনীতি আজ কুলষিত হয়েছে। নিজেদের আদর্শ ও স্বকীয়তা ভুলে বিএনপিপন্থী আলেমগণ ইসলাম বিদ্বেষীদের সাথে জোটবদ্ধ থাকায় তাদের সম্পর্কে সচেতন মহলে নানা গুঞ্জন প্রচারিত আছে।

বিএনপিপন্থী আলেমগণ তথাকথিত ইসলামী মূল্যবোধের সরকারের বিজয়ের জন্য সব করতে পারলেও তাদের নেতারা তাদের জন্য নির্বাচনের আগে কিছুই করতে রাজি হয় না। এমনকি বিএনপির নেতারা এদেশের শীর্ষস্থানীয় আলেমগণকে ছাড় দিয়ে কথা বলে না।

বরং কখনো কখনো নাস্তিকদের সুরে তাল মিলিয়ে ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে তারা জাতীর সামনে বক্তব্য প্রদান করে। যার জলন্ত প্রমাণ হলো, কয়েকদিন আগে নারী শিক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে সর্বজন শ্রদ্ধেয় মুরুব্বী আল্লামা শাহ আহমাদ শফীর শাস্তি দাবি করে ঐক্যফ্রন্ট ও বিএনপির নেতাদের বক্তব্য।

আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমর্থক আলেমদের কারণে আজ জনমনে ইসলামী রাজনীতি নিয়ে কাজ করা দিনদিন মুশকিল হয়ে যাচ্ছে। জাতীয়ভাবে উভয়ের মাত্রাতিরিক্ত ইসলামী বিধান সীমালঙ্ঘনের কারণে ইসলামী রাজনীতি আজ দাবার ঘুটি হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে।

এমনকি মানুষকে যখন পর্দার ফরজিয়াতসহ ধর্মীয় অন্যান্য বিষয়ে নসীহত করার ইন্তেজাম করা হয় তখন তাদের নানা প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়। যখনি কাউকে ইসলামী হুকুমত কায়েমের জন্য কাজ করার দাওয়াত দেওয়া হয় তখনি তাকে বলতে শুনা যায় যে, তোমাদের সাথে কাজ করে লাভ নেই। তোমরা তো সুবিধাবাদী। যখন যেদিকে মন চায় তখন সেদিক চলে যাও। তোমরা আজ ইসলামী রাজনীতির নামে পেটের ধান্ধায় ব্যস্ত। ইসলামকে বিজয় করতে তোমরা এখন আর রাজনীতি করো না।

এই দুই শ্রেণির শ্রদ্ধাভাজন ওলামাদের কাছে জাতীর অনেক প্রশ্ন। জাতি জানতে চায়, যাদের কারণে হেফাজতের মতো অরাজনৈতিক সংগঠন আজ সারাদেশে কুলষিত ও এক আতংকের নাম তাদেরকে এখনো কেনো তোমরা চিহ্নিত করে জাতির সামনে শাস্তি দিতে পারনি? কেনো আলেমগণ আজ খালেদা জিয়াকে আমীর মেনে নিজেদের ধন্ধে ফয়সাল মনে করে? আসলেই ক্ষমতার মোহে তোমরা আজ অন্ধ হয়ে গিয়েছ। নিজের সুখের জন্য ইসলাম নিয়ে হৈচৈ করছ। নতুবা তোমাদের থেকে এমন আচরণন কোনদিন প্রকাশ পেতো না। কোনোদিন তোমরা বাতিলের সামনে এতো সহজে মাথা নত করতে না।

যদি এদেশের আলেমগণ বাস্তবিকপক্ষেই রাষ্ট্রীয়ভাবে ইসলামকে ক্ষমতায় দেখতে চায়ত তবে তারা নিজেদের মধ্যে এতো ইখতেলাফ করতো না। যদি ইসলামপন্থীরা বাংলার বুকে কালিমার পতাকার বিজয় চায় তবে অনেক আগেই সকল ইসলামী রাজনৈতিক দলের ঐক্য আমরা দেখতে পারতাম। কেনো পর্দার ফরজ ভুলে তোমরা নেত্রীর সাক্ষাতের অপেক্ষা করো? কেনো নির্বাচনের আগে ডিগবাজী দিয়ে একটি সিট না পেয়েও চা চক্রে অংশগ্রহণ করো? কেনো তোমাদের কতিপয় আলেম নিজের আখের ঘুচাতে ইসলামকে ডাল হিসাবে ব্যবহার করছে? কেনো তোমাদের জোটবদ্ধতার কারণে ইসলামের ভোট আজ ইসলাম বিরোধীদের বাক্সে।

  • তৃতীয়ত চরমোনাই সমর্থক তথা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। রাজনৈতিক প্লাটফর্ম ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ হলেও সারা বিশ্বে আধ্মাত্মিক কেন্দ্র চরমোনাই নামেই বেশি প্রসিদ্ধ। বর্তমান সময়ে চরমোনাই দলটা একশ্রেণীর কাছে খুবই গ্রহণযোগ্যতা লাভ করেছে। যারা এদেশে ইসলামী হুকুমতের বাস্তব চিত্র দেখতে চায় তাদের কাছে চরমোনাই এখন চেতনার বাতিঘর। যারা রাজনীতি বিশ্লেষণ করেন তাদের কাছে বর্তমান প্রেক্ষাপটে চরমোনাই নামটা রাজনীতির ময়দানে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

রাষ্ট্রের সার্বিক বিষয়ে যারা খোঁজ-খবর রাখেন, গবেষণা করেন তাদের অনেকেই আগামী দিনে চরমোনাইকে তৃতীয় শক্তির সম্ভাবনাময় রাজনৈতিক দল মনে করেন। তাদের অনেকের ধারনা যে, চরমোনাইর নেতৃবৃন্দ বর্তমানে যে নীতি ও আদর্শ লালন করে রাজনীতি করছে সে আদর্শ ও নীতিতে যদি তারা আগামী দিনেও অটুট রাখতে পারে তবে তাদের মাধ্যমেই বাংলাদেশের মানুষ নতুন বিপ্লবের মুখ দেখবে।

একাদশ সংসদ জাতীয় নির্বাচনের পূর্বাপর চরমোনাইর নেতৃবৃন্দ তাদের সমর্থক বাড়ানোর জন্য যেভাবে রাজনীতির মাঠে কাজ করছে তারা যদি কর্মের এই ধারা ভবিষ্যতেও অব্যাহত রাখতে পারে তবে তারা সফলতার মুখ দেখতে পারে বলে সচেতন মহল মনে করেস। ধর্মীয় রাজনীতির বিশ্লেষকদের ধারনা যে, রাজনীতির ময়দানে চরমোনাই যেমন বড় একটা প্লাটফর্ম তৈরি করেছে ঠিক তেমন মানুষের ধর্মীয় বিষয়েও তারা বিশাল একটা জায়গা দখল করে আছে।

তবে এই দলটির ক্রমবর্ধমান প্রচার-প্রসার ও সফলতার পেছনে রাজনৈতিক সফলতার চেয়ে ধর্মীয় সফলতা কাজ করছে বেশি। এর পেছনে হলো চরমোনাই দরবারকে কেন্দ্র করে দলের নেতৃস্থানীয়দের পীর- মুরিদী ও তাদের মুজাহিদ কমিটির দীনী কার্যক্রম। আধ্মাত্মিক পীর-মুরিদীর আধ্মাত্মিক কর্মতৎপরতায় দেশে লক্ষ লক্ষ মানুষ নামাযী হয়েছে। অনেক সুদখোর সুদ ছেড়ে দিয়েছে। অনেক মদখোর, জুয়াখোর, ও গুন্ডা চরমোনাই তরীকার সোহবতে সঠিক পথের দিশা পাওয়ার কারণে তাদের মিশন আজ সর্বমহলে প্রশংসনীয় ও অনুসরণীয়।

এমনকি বর্তমানে যারা চরমোনাই কাফেলার কান্ডারী তারা নিজস্ব গতিতে ছুটে চলায় বর্তমান যুব সমাজ তাদেরকে নিজেদের আদর্শ মনে করে। দলটির শীর্ষ নেতৃবৃন্দ নিজেদের সতন্ত্রতা ও স্বকীয়তা বজায় রেখে এদেশে বিশুদ্ধ ইসলামী রাজনীতি চর্চার পাশাপাশি ধর্মীয় কাজে সারাদেশ চষে বেড়ান সারা বছর। জোট মহাজোটের বাইরে স্বতন্ত্রধারায় আবিরাম গতিতে ছুটে চলায় নুতন প্রজন্ম এবং সমাজের নিরপেক্ষ নাগরিকদের কাছে দিন দিন দলটি জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।

সম্প্রতি দলটির এক শীর্ষ নেতা একটি আলোচনা সভায় বলেছেন, আমরা চুরি একটি-দুটি এমপি পদ পাওয়ার জন রাজনীতি করি না। আমরা আদর্শের রাজনীতি করি। আমরা বিপ্লবের স্বপ্ন দেখি। দলটির নীতি নির্ধারকদের এমন বক্তব্য এবং বাস্তবে এই নীতিতে পথ চলায় সব বড় দুই দলের অপশাসনে অতিষ্ট নাগরিকরা এই দলকে ঘিরে তৃতীয় শক্তি হিসেবে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে।

  • চতুর্থ প্রকারে যেসব হযরতগণ আছেন তারা অনেকেই রাজনীতির বাতাস থেকে সবসময় অনেক দূরে অবস্থান করেন। তারা রাজনীতির বাহিরে থাকার কারণেই আজ মুসাল্লাম ও বিতর্কের উর্ধ্বে। তারা কওমী মাদরাসায় দীনী তালীম ও তারবিয়াতের পাশাপাশি এসলাহে উম্মতের কাজে বেশি মনোযোগী বিধায় সকল শ্রেণী- পেশার মানুষ তাদেরকে মুহাব্বত করেন। এবং তাদের ধর্মীয় কার্যক্রম পছন্দ করেন।

তবে তাদের মধ্যে যারা পরোক্ষভাবে দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণীর রাজনৈতিক দলের পক্ষাবলম্বন করেন তাদের ক্ষেত্রে সকল মুতাদিল আলেমদের মনে প্রশ্নোদয় হয়। সকল নবীন- প্রবীন মুতাদিল আলেমগণ তাদের নিয়ে মাঝেমধ্যে হতাশা ও সংশয় প্রকাশ করেন। এমনকি বিভিন্ন তারবিয়াতে নবীন আলেমদের বলতে শোনা যায় যে, চুপিসারে আওমী লীগ ও বিএনপিপন্থী আলেমদের সাথে থাকার চেয়ে প্রকাশ্যে যে কাউকে সাপোর্ট দেওয়াই ভালো।

গোপনে ইসলাম বিদ্বেষীদের সাথে আতাত করার চেয়ে সরাসরি জনসম্মুখে তাদের সাথে বৈঠক করা উত্তম। যাতে উম্মতের জন্য মানুষ চিনতে সহজ হয়। এবং যাতে সাধারণ তুলাবা ও আলেমদের সহজেই তাদের বিভ্রান্তী থেকে বাঁচতে পারে। জনতার সার্বিক কল্যাণার্থে জাতির কান্ডারী আলেমদের জন্য সবসময় সচেতন থাকা জরুরি বিধায় নবীন রাজনীতিবিদদের উদাসীনতার মনোভাব বর্জন করতে হবে। কারো ধোকায় প্রতারিত হওয়া যাবে না। মিথ্যা তথ্যে সত্য থেকে পিছটান দেওয়া যাবে না। সত্যকে সত্য আর মিথ্যাকে মিথ্যা জেনে সঠিক ইসলামী রাজনৈতিক দল সাপোর্ট করতে হবে।

আর মনে রাখতে হবে যে, জাতীয়ভাবে আলেমদের চার দল হলেও হাকীকতে আলেমগণ দুই দলে বিভক্ত। একটি গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার সহযোগী আর অপরটি ইসলামী শাসনতন্ত্রের নুসরতকারী। একশেণীর আলেম মুনাফিকের সাহচর্য গ্রহণ করে এদেশে ইসলামী হুকুমত কায়েমের চেষ্টা করছেন। আর অপরশ্রেণী নিজেদের নীতি, আদর্শ ও ইসলামের সতন্ত্রতা বজায় রেখে খেলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওয়্যাহ কায়েমের সাধনা করছেন বিধায় আলেমদের নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের মধ্য থেকে যারা বর্তমানে সবচেয়ে বেশি অগ্রগামী তাদেরকেই অনুসরণ করা উচিত।

ইসলামী যে দলের আদর্শ নবীর আদর্শ ও সাহবাদের জীবনীর সাথে মিল আছে তাদের দলের সমর্থক হওয়া সচেতন রাজনীতিবিদগণের ঈমানী দায়িত্ব। যারা আজও এদেশে নিঃশ্বার্থভাবে সঠিক পন্থায় ইসলামী রাজনীতির চর্চা করছেন তাদের সফলতায় ধর্মপ্রাণ সকল মানুষের জন্য মকবুল মুনাজাতে খোদার দরবারে প্রার্থনা করা উচিত। এবং যারা ইসলামের প্রকৃত আদর্শ বুকে লালন করে এদেশে আল্লাহর বিধান কায়েম করতে চায় তাদের কামিয়াবির জন্য আমরা সবাই যদি ঐক্যবদ্ধ হতে পারি তবেই এদেশের আকাশে কোন একদিন কালিমার পতাকা উড়বে। ইসলামী রাজনীতির সুফল মানুষের বিবেকে নাড়া দিবে।

জীবনের পরন্তু বিকেলে হলেও আল্লাহ যেন আমাদের সবাইকে এদেশে ইসলামী হুকুমত কায়েম করার তাওফিক দানে ধন্য ও গর্বিত করেন। প্রত্যাশায় আজও আমি বিপ্লবের গান গাই।

লেখক: মুফতি ও নাযেমে দারুল ইকামা, জামিয়া আরাবিয়া শামসুল উলূম খিলগাঁও ঢাকা

/আরএ

Comments