আইএবি

দিনের ভোট রাতে করার স্বপ্ন আর না : সৈয়দ রেজাউল করীম

প্রকাশিত: ১০:৩২ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৩
সমাবেশে অভিনব পদ্ধতিতে ভোট কারচুপির প্রতিবাদ জানায় ইসলামী আন্দোলনের কর্মী সমর্থকরা

দিনের ভোট রাতে করে ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন আর বাস্তবায়ন করতে দেওয়া হবে না বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের (আইএবি) আমীর ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ রেজাউল করীম।

শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ চত্বরে আয়োজিত এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেন, উন্নয়নের কথা বলে জনগণের নাগরিক অধিকারটুকুও কেড়ে নেওয়া হয়েছে। দেশে এখন জনগণ নিজের ভোট নিজে দিতে পারেন না। জনগণ তাঁদের ভোটের অধিকার, ভাতের অধিকার থেকে বঞ্চিত। দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব আজ সংকটাপন্ন। জনগণ তাঁদের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। দুর্নীতিবাজ, লুটেরা ও তাঁবেদার শক্তি দেশের মানুষকে জিম্মি করে রেখেছে।

তিনি বলেন, আগামী নির্বাচন জাতীয় সরকারের অধীনে করতে হবে। তার আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করতে হবে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনারের পদত্যাগ ও ব্যর্থ নির্বাচন কমিশন বাতিল, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ এবং জাতীয় সংসদ ভেঙে দিয়ে জাতীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে সমাবেশের আয়োজন করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলা শাখা। সমাবেশে অভিনব পদ্ধতিতে ভোট কারচুপির প্রতিবাদ জানায় ইসলামী আন্দোলনের কর্মী সমর্থকরা। নিজেদের শরীরকে মানব দেয়াল বানিয়ে ‘ভোটের অধিকার চাই’ শীর্ষক নানা ধরনের স্লোগান লিখে সমাবেশে অংশ নেয় ইসলামী আন্দোলন ও ছাত্র আন্দোলনের কর্মী সমর্থকরা।

বিগত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ দেশকে ‘নরকে’ পরিণত করেছে অভিযোগ করে আইএবি আমীর বলেন, কোথাও শান্তি নেই, নিরাপত্তা নেই। গুম-খুনের আতঙ্কে মানুষ উদ্বিগ্ন ও উৎকণ্ঠিত। সৈয়দ রেজাউল করীম বলেন, সরকারের পদত্যাগ করে জাতীয় সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবি আওয়ামী লীগ ছাড়া সব রাজনৈতিক দলের। শেখ হাসিনার পদত্যাগ এখন গণদাবিতে পরিণত হয়েছে।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি মুহাম্মাদ জান্নাতুল ইসলামের সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য আশরাফ আলী, মাহবুবুর রহমান, কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি দেলোয়ার হোসাইন প্রমুখ।

Comments