দুধে উপকার না ক্ষতি? নিউজ ডেস্ক নিউজ ডেস্ক প্রকাশিত: ৮:৪০ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ২১, ২০১৯ ফাহিম ফাইয়াজ: দুধ খেতে অনেকেই পছন্দ করেন আবার অনেকে করেন না। কেউ বা দুধ মুখে দেন না সমস্যার ভয়ে। হতে পারে দুধ খেলে তার কী ধরণের সমস্যা হয়ত এ ব্যাপারে সে অবিফহাল। আবার এমন মানুষের সংখ্যাও কম নয় যারা মনে করেন দুধ খাওয়া বাদ দিলে শরীরের ওজন কমতে শুরু করবে। কিন্তু দুধ না খেলে কি আসলেই শরীরের ওজন কমে? ন্যাশনাল ডাইজেস্টিভ অ্যান্ড কিডনি ডিজিজেস-এর একটি সমীক্ষার তথ্য আমাদের এমন চিন্তার অবসান ঘটাবে। গবেষকরা বলছেন, নিয়ন্ত্রিত মাত্রায় লো-ফ্যাট দুধ ও অন্যান্য দুগ্ধজাত সামগ্রী গ্রহণ করলে ওজন তো কমেই, শরীরও ভিতর থেকে সুস্থ হয়। ভিটামিন ডি, ক্যালশিয়ামের মতো প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণের জোগান দেয় তা, বিনিময়ে বাড়তি স্যাচুরেটেড ফ্যাট বা ক্যালোরির বোঝাও ঘাড়ে চাপে না। বিশেষজ্ঞ পুষ্টিবিদরা বলেন যে, দিনে তিনবার লো ফ্যাট দুধে তৈরি কোনো না কোনো খাবার খাওয়া উচিত সবার। দুধের প্রোটিন পেট ভরিয়ে রাখে, ফলে আপনার ঘন ঘন খিদে পাবে না, উল্টোপাল্টা কিছু খাবার ইচ্ছেও হবে না। ওজন কমবে ধীরে ধীরে। ব্যায়াম করার পর কোনো সিন্থেটিক হেলথ ড্রিঙ্কের দ্বারস্থ না হয়ে দুধ খাওয়ার অভ্যেস গড়ে তুলুন, তাতে মাসল ডেভেলপ হওয়ার পাশাপাশি শক্তিও বাড়ে। সেই সঙ্গে শরীরে জমা ফ্যাট তাড়াতাড়ি কমতে আরম্ভ করে। দুটি বিষয়ের দিকে খুব খেয়াল রাখতে হবে- ১. দুধে চিনি মিশানো যাবে না, তাতে ক্যালোরি ইনটেকের মাত্রা বাড়বে। এককাপ লো ফ্যাট দুধে থাকে প্রায় ৮৩ ক্যালোরি, ফুল ফ্যাট দুধের ক্ষেত্রে তার পরিমাণটা বেড়ে হয় ১৫০। আপনার দৈনিক ক্যালোরি ইনটেকের ধার্যমাত্রা হিসেব করে তবেই ঠিক করুন কোন দুধ কতটা পরিমাণে খেলে আপনি সুস্থ থাকবেন। ২. পানির কোনো বিকল্প নেই। পানির কাজটা অন্য কোনো তরল জিনিস দ্বারা সমাধা করবেন কখনো। তাহলে আপনার শরীরে নানান ধরণের কঠিন রোগ বাসা বাধতে পারে। এটা সম সময় মনে রাখতে হবে। এফএফ Comments SHARES স্বাস্থ্য বিষয়: