প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় ডিম, হতে পারে মৃত্যুর কারণ!

প্রকাশিত: ১২:৫২ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৯, ২০১৯

ফাহিম ফাইয়াজ: আমরা সবাই জানি ডিম উপকারী। এ জন্য প্রায় প্রতিদিন সকালে ছেলেমেয়েদের ডিম খাইয়ে থাকে অনেক মা বাবা। সন্তানের সাস্থ ভাল হবে সেই ধারণা থেকে হয়ত তাদের ডিম খাওয়ান অভিভাবকরা।  তবে ডিম শুধু উপকারী নয় হতে পারে মৃত্যুর কারণ। ডিম নিয়ে নানান গবেষণা চলানো পর এমন একটি তথ্য উঠেছে এসেছে।

হৃদযন্ত্রের জন্য ডিম উপকারী না অপকারী এ নিয়ে কিছু দিন আগে  জেএএমএ জার্নালে প্রকাশিত একটি নতুন সমীক্ষায় ফলাফল নিয়ে তৈরি হয়েছে সংশয়।

জেএএমএ জার্নালে প্রকাশিত ওই সমীক্ষায় বলা হয়েছে, প্রত্যেকদিন একটির বেশি এমন কি অর্ধেক ডিম খেলেও কার্ডিওভাসকুলার রোগের আশঙ্কা রয়েছে। এমনকি মৃত্যুর সম্ভাবনাও বেশ খানিকটা বেড়ে যায়।

ৃপ্রায় ৩০ হাজার প্রাপ্তবয়স্কের উপরে সমীক্ষা চালিয়ে এই ফলাফল পাওয়া গেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় সাড়ে সতেরো বছর ধরে এই পরীক্ষাটি চলেছে। পরীক্ষায় দেখা গেছে, প্রত্যেকদিন অতিরিক্ত ৩০০ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরলও কিন্তু কার্ডিওভাসকুলার রোগের আশঙ্কা বাড়িয়ে দেয়। পাশাপাশি আয়ুও বেশ খানিকটা কমিয়ে দিতে পারে।

গবেষণায় বলা হয়েছে, মানুষের প্রতিদিনের ডায়েটে এবং ডিমের মধ্যে দিয়ে শরীরে খাদ্যজ কোলেস্টেরল প্রবেশ করে। তবে খাদ্যজ কোলেস্টেরল ও ডিম কার্ডিওভাসকুলার রোগ বা আয়ুকে কতটা প্রভাবিত করে সেটা নিয়ে কিন্তু এখনো বিতর্ক চলছে।

১৯৮৫ সালের ২৫ মার্চ থেকে শুরু করে ২০১৬ সালের ৩১ আগস্ট পর্যন্ত তথ্যগুলো গবেষণায় ব্যবহৃত হয়েছে। এই তথ্য বিভিন্ন ব্যক্তির খাদ্যাভাসের উপরে ভিত্তি করে সংগ্রহ করা।

গবেষকরা বলেছেন, এই সময়কালের মধ্যে প্রায় ৫৪০০টি কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঘটনা তাদের চোখে পড়েছে। যার মধ্যে ২০৮৮টি কম থেকে অতিরিক্ত বিপজ্জনক।

১৩০২টি অতি বা কম বিপজ্জনক স্ট্রোকের ঘটনা দেখা গেছে। ৬১৩২টি মৃত্যুর ঘটনা তাদের গবেষণায় উঠে এসেছে।

বিশ্বের বেশিরভাগ মানুষই নিয়মিত ডিম খান। আর এখান থেকেই বিতর্কের জন্ম! প্রত্যেক দিন ডিম খাওয়া বা সপ্তাহে ক’টা ডিম খাওয়া শরীরের পক্ষে আদৌ উপকারী সেই প্রশ্ন উঠেছে।

রয়টার্সেকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে গবেষণার এক সদস্য নুরিনা অ্যালেন বলেন, মানুষের উচিত এখনই ডিম খাওয়া বন্ধ করে দেওয়া। অতিরিক্ত খাদ্যজ কোলেস্টেরল গ্রহণের ফলে কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঘটনা এবং মৃত্যুর ঘটনা বেড়ে যাচ্ছে।

এফএফ

Comments