ডাকসু নির্বাচনে পশুত্বের অপমৃত্যু ঘটুক, জয় হোক মনুষ্যত্বের

প্রকাশিত: ৮:৪৫ অপরাহ্ণ, মার্চ ১০, ২০১৯

ইন্জিনিয়ার কামরুল হাছান, ইতালি থেকে: বাংলাদেশের গঠন ও বিবর্তনে ছাত্র আন্দোলনের ইতিহাস অনেক গৌরব উজ্জ্বল । এই ইতিহাস রচনায় এবং ছাত্র নেতৃত্ব তৈরিতে ডাকসু নির্বাচন অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করেছে । ৫২,৬৯,৭১ সহ ৯০ এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন এবং সম্প্রতি নিরাপদ সড়ক আন্দোলন ছাত্রদের দ্বারাই হয়েছে।

কিন্তু গত ২৮ বৎসর কেন দেশের দ্বিতীয় পার্লামেন্ট খ্যাত এই ডাকসুর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি ? যে নির্বাচন পাকিস্তানি ও এদেশীয় সামরিক ও স্বৈরাচার সরকারসমূহ উপেক্ষা করেনি তা তথাকথিত গণতন্ত্রের ধ্বজাধারী সরকারসমূহ করেছিল । কিন্তু কেন ?

আপনাদের মনে অবশ্যই প্রশ্ন জাগ্রত হয়েছিল। অনেকের উত্তর মিলেছে অনেকের মিলেনি । আমরা আপানাদের সকলের উদ্দেশ্যে আমাদের বক্তব্য উপস্থিত করছি । যদি আমদের বক্তব্য আপনাদের চিন্তার সাথে মিলে যায়, কিংবা যৌক্তিক মনে হয় এবং সাথে সাথে আমদেরকে প্রতিশ্রুতি রক্ষাকারী যোগ্য মনে হয় আপনারা আমাদেরকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করবেন ।

ক্ষমতার মসনদ টিকিয়ে রাখতে বিগত ও বর্তমান সরকার সমূহ ছাত্র সংগঠন সমুহকে কলুষিত করে হীনস্বার্থে লাঠিয়াল ,হেলমেট, রড়-হাতুটি বাহিনী তৈরি করে অর্থাৎ পেশীশক্তি ব্যাবহার করে আপনাদের উপর দাম্ভিকতা ও নির্যাতন করেছে।

হাফিজুরের চোখ উপড়ে ফেলা , এহসানের উপর পাশবিক নির্যাতন এবং আবু বকরের খুনের সাক্ষী আপনারাই। টিএসসিতে বস্ত্রহরণ, কিংবা ধর্ষণের সেঞ্চুরি উদযাপনের মত অনৈতিক কাজ এই ক্যাম্পাসগুলোতেই হয়েছে ।

অবশ্যই আমরা প্রত্যাশাকরি আপনারা এইসব নির্যাতনকারী, খুনি ও অনাচারীদের পক্ষ নিবেন না । তারা জানে সত্যিকারের ছাত্ররা অন্যায়ের কাছে মাথা নত করে না। সত্যিকার ছাত্র নেতৃত্ব অন্যায়ের বিরুদ্ধে আগুন, যা জ্বলে উঠলে পুড়িয়ে ছাই করে দিবে সকল অন্যায় ও অসত্য ।

আপনি যদি মনে করেন , বিভক্তি, বৈষম্য, ধ্বংস ও অনাচারের রাজনীতির অবসান হওয়া দরকার, তাহলে আমরা আপনাদের বন্ধু হিসেবে পাশে দাঁড়াতে চাই আপনাদের সুন্দর স্বপ্নগুলোর সাথি হতে।

জন্মভুমি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি ভালবাসা ও কিছু করার প্রবণতা থেকে আমরা আপনাদের সামনে দাঁড়িয়েছি।  আমরা কথা দিচ্ছি আমাদের ইশতিহারের মাধ্যমে আমরা ক্যাম্পাসে একটি ডাইনামিক পরিবর্তন নিয়ে আসবো। যাতে করে একটি বিশ্বমানের ক্যাম্পাসে হাতে হাত রেখে আমরা জ্ঞান বিজ্ঞান ও উন্নয়নে আবিষ্কারে প্রিয় মাতৃভূমি সমৃদ্ধ করনে নিজেদের সর্বৌচ্ছ ঢেলে দিতে পারি ।

এতদিন অধিকার আদায় ও কথা বলার অধিকার থেকে বঞ্ছিত করে রেখেছিল ক্ষমতাসীনরা হাইকোর্টের ঐতিহাসিক রিটের মাধ্যমে আমাদের সামনে সে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে । আশাকরি আসছে ১১ ই মার্চ ইশা ছাত্র আন্দোলন সমর্থিত আতায়ে -রাব্বি-মাহমুদ-শরিয়ত প্যানেলকে জয়যুক্ত করে ছাত্রদের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে আমাদের পাশে থেকে বেগবান করবেন। আমরা কথা দিচ্ছি আমাদেরকে প্রতিশ্রুতি রক্ষাকারী পাবেন।

লেখক-সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইশা ছাত্র আন্দোলন ফেনী জেলা

বিআইজে/

Comments