রাজপথে আন্দোলন ছাড়া খালেদার মুক্তি মিলবে না : মওদুদ নিউজ ডেস্ক নিউজ ডেস্ক প্রকাশিত: ৩:৫৯ অপরাহ্ণ, মার্চ ২২, ২০১৮ একুশনিউজ : রাজপথের আন্দোলন ছাড়া শুধু আইনি লড়াই চালিয়ে কারাবন্দি বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে কারামুক্ত করা সম্ভব নয় মন্তব্য করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ । এজন্য রাজপথের আন্দোলন চাইছেন তিনি। আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন ব্যারিস্টার মওদুদ। জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল এ সভার আয়োজন করে। দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত দলীয় চেয়ারপারসনের জামিনের মুক্তির সম্ভাবনা পিছিয়ে গেলেও বিএনপি এখনও শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের কর্মসূচিতেই রয়েছে। খালেদা জিয়ার অন্যতম আইনজীবী মওদুদ জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় রায়ের আগে থেকেই বলে আসছিলেন, সাজা হলেও উচ্চ আদালত থেকে জামিনে তার নেত্রীকে বের করে আনা হবে। বিএনপি প্রধানের ভোট করতেও সমস্যা হবে না। গত ৮ ফেব্রুয়ারি এই মামলায় রায়ের পর খালেদা জিয়া বন্দি হলেও একই আশা দেখিয়ে আসছিলেন মওদুদ। কিন্তু রায়ের সত্যায়িত অনুলিপি পেতে দেরির জন্য খালেদার আপিল করা পিছিয়ে যায়; আপিল করার পর হাই কোর্ট জামিন দিলেও আপিল বিভাগে তা আটকে যায়। আগামী ৮ মে আপিল বিভাগে শুনানির তারিখ নির্ধারিত আছে, তার আগে বিএনপি চেয়ারপারসনের মুক্তি কোনো সম্ভাবনাই নেই। তাই এব্যাপারে মওদুদ আহমদ বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের বা হাইকোর্টের দেওয়া এই জামিন এটাকে অকার্যকর করে দিয়েছে সরকার। নিম্ন আদালত তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকার কারণে। আমরা আইনি লড়াই করব। আমাদের রাজপথেও থাকতে হবে। শুধু আইনি লড়াই দিয়ে এ যুদ্ধে জয়লাভ করা সম্ভবপর হবে বলে আমি মনে করি না।’ এই অবস্থায় বিএনপি ব্রিটিশ আইনজীবী লর্ড কারলাইলকে আইনজীবী নিয়োগের দুই দিনের মধ্যে বৃহস্পতিবার ঢাকায় এক আলোচনা অনুষ্ঠানে আইনি লড়াই নিয়ে হতাশার কথা বললেন মওদুদ। সাবেক এই আইনমন্ত্রী বলেন, “নিম্ন আদালত, নিম্ন আদালতের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা, বেঞ্চ ক্লার্করা, কেরানিরা, স্টাফরা- এরা তো সব সরকারের কর্মচারী। “সুতরাং আমরা আইনি লড়াই করব, আমাদের আবার রাজপথেও থাকতে হবে। শুধু আইনি লড়াই দিয়ে এই যুদ্ধে জয়লাভ করার সম্ভব হবে বলে আমি মনে করি না।” নিম্ন আদালতের বিচারকদের শৃঙ্খলা বিধির গেজেট হয়ে যাওয়ার পরে বিচার বিভাগ পৃথকীকরণে সুপ্রিম কোর্টের রায় কার্য্কারিতা হারিয়েছে বলেও মন্তব্য করেন ব্যারিস্টার মওদুদ। বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য একইসঙ্গে বলেন, “আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ইনশাল্লাহ আমাদের মধ্যে ফিরে আসবেন। যতই কলা-কৌশল করা হোক না কেন।” আওয়ামী লীগের শাসনামলকে ‘ভয়ংকর’ বর্ণনা করে বিএনপির এ নেতা বলেন, “এক বিরাট সঙ্কটকাল চলছে। আমার জীবনে এমন সঙ্কট দেখি নাই। অনেক আন্দোলন দেখেছি, অনেক বড় বড় সঙ্কট দেখেছি, মুক্তিযুদ্ধের আগে ও পরে সঙ্কটময় দেখেছি কিন্তু এরকম অবস্থা বর্ণনা করা যায় না।” সরকারি সুবিধা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘একদলীয় নির্বাচনী প্রচারণা’ এবং সরকারের ‘লুটপাট-দুর্নীতি’র সমালোচনা করেন সাবেক মন্ত্রী মওদুদ। আবদুল হালিমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ফজলুর রহমান, স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক জয়নাল আবেদীন, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খান, কেন্দ্রীয় নেতা শাহ আবু জাফর, মিজানুর রহমান মিজান বক্তব্য রাখেন। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া, তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় মামলা করে দুদক। /এসআর Comments SHARES রাজনীতি বিষয়: ৮ ফেব্রুয়ারিআবদুল হালিমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ফজলুর রহমানকারাবন্দি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকেন্দ্রীয় নেতা শাহ আবু জাফরজাতীয় প্রেসক্লাবজাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলজিয়া অরফানেজ ট্রাস্টজিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলাতারেক রহমানবিএনপিবিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদবেগম খালেদা জিয়াব্যারিস্টার মওদুদব্রিটিশ আইনজীবী লর্ড কারলাইলমিজানুর রহমান মিজানমুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খানমুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক জয়নাল আবেদীনরাজপথে আন্দোলন ছাড়া খালেদার মুক্তি মিলবে না : মওদুদরাজপথের আন্দোলনলর্ড কারলাইলসুপ্রিম কোর্টস্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা