ইফতারের সময়ও বিএনপি রাজনৈতিক বিদ্বেষ ছড়ায় : ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত: ১০:২৩ অপরাহ্ণ, মে ২১, ২০১৮

স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপি ইফতারের সময়ও রাজনৈতিক বিদ্বেষ ছড়ায় বলে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইফতারের সময় রাজনৈতিক বক্তব্য রাখেন না, এমন কি আমিও রাখি না। কিন্তু ফখরুল ইসলামরা ইফতার নিয়েও রাজনীতি করে। ইফতারের সময় রাজনৈতিক বিদ্বেষ ছড়ায়।’

সোমবার (২১ মে) সন্ধ্যায় রাজধানীর কাকরাইলের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে ঢাকাস্থ কোম্পানিগঞ্জ উপজেলার ইফতার পার্টি থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন তিনি।

কাদের বলেন, ‘ইফতারের সময় বিএনপি প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করে। তারা দেশের মানুষের কাছে তো নালিশ করেই ইফতার সামনে রেখে বিদেশিদের কাছেও নালিশ করে।’

ইফতার সামনে রেখে রাজনৈতিক বক্তব্য বিএনপির জন্য রাজনৈতিক দেওলিয়াপনা বলেও উল্লেখ করেন ওবায়দুল কাদের।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘রাজনীতিতে তারা এত নিচে নেমে গেছে যে, ইফতার পার্টিতে এসে রাজনীতি করছে এবং বিদেশিদের কাছে অশ্রাব্য ভাষায় নালিশ করছে। এবং যেটা রাজনৈতিক ভাষা নয় সেটাও বলছে। আমরা সেটা করি না, করবো না।’

রবিবার (২০ মে) বিএনপির কূটনীতিকদের সম্মাননে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছিলেন, ‘আমি নিশ্চিত যে, আজকে বেগম খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতি আপনারা উপলব্ধি করছেন। আজ বেগম জিয়া পরিত্যক্ত জেলখানার চার দেওয়ালে মধ্যে কঠিন সময় অতিক্রান্ত করছেন। তাকে একটি মিথ্যা মামলায় বিনা অপরাধে কারাবন্দি করা হয়েছে, তিনি সুবিচার থেকে প্রতিনিয়ত বঞ্চিত হচ্ছেন।’

এই বক্তব্যের জাবাবে কাদের বলেন, ‘তিনি ওখানে যে কথা বলেছেন, আমরাও জেলখানায় ছিলাম। বেগম জিয়া যেই জায়গাটায় আছেন, সেটা আমরা দেখেছি। সেখানে যেভাবে রুমটাকে সাজানো হয়েছে। একদম ফাস্ট ক্লাস জায়গায় আছেন, যেখানে আমরাও ছিলাম না।’

‘এখন তারা বিরোধী দলে আছেন, বিএনপির নেতারা এ নিয়ে বলবেনই। জেল কোর্ট অনুযায়ী বেগম জিয়া যা যা প্রাপ্য সব কিছু করা হচ্ছে এবং যদি আরো কিছু করার দরকার হয় সেটাও করা হবে। চিকিৎসার জন্য আরো কিছু করার দরকার হলে সরকার করবে, তার থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা সরকার করেছে।’

সড়ক পরিবহন মন্ত্রী আরও বলেন, ‘দেখুন কারাগারে ব্যক্তিগত গৃহ পরিচারিকা রাখার কোন সুযোগ নেই। সেটাও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তার জন্য ব্যক্তিগত চিকিৎসক রাখার কোন নিয়ম নেই, এই নিয়মও বেগম জিয়ার জন্য ভাঙা হয়েছে, কারণ তিনি একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ওনাকে আমরা অপমান করতে চাই না। জেলে দিয়েছে আদালত, মুক্তিও দিতে পারে আদালত। কিন্তু মানুষ হিসেবে মানবিকতা দিক দিয়ে তারও বয়স হয়েছে তাকে যথাযত চিকিৎসা দেওয়া তার সঙ্গে মানবিক আচরণ করা সরকারের কোন গাফলতি নেই।’

‘সরকারের অধীনে নির্বাচন করা বিএনপির জন্য আত্মঘাতী হবে তাই বিএনপি এই সরকারে অধীনে নির্বাচনে যাবে না’ বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্য উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদেরের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘খুব ভালো কথা, তারা গতবার নির্বাচনে যায়নি, নির্বাচনের বৈধতার কোন সংকট হয়নি। এবারও হবে না। আর আত্মঘাতীর বিষয়টা তাদের মূল্যায়নের ব্যাপার, তাদের জন্য আত্মঘাতী কি না। তবে তাদের জন্য নির্বাচন আটকে থাকবে না। নির্বাচন নির্বাচনের পথে চলবে, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে সংবিধান অব্যহত থাকবে।’

#একুশ নিউজ/এএইচ

Comments