ইসিতে স্মারকলিপি; নির্বাচনের নামে জাতির সঙ্গে তামাশা হয়েছে: ফখরুল

প্রকাশিত: ৫:৩৭ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৩, ২০১৯

একুশ সংবাদ: অবিলম্বে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি জানিয়ে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) স্মারকলিপি দিয়েছ জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে সাত সদস্যর একটি প্রতিনিধি দল ইসিতে স্মারকলিপি জমা দেয়।

পরে মির্জা ফখরুল সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচনের নামে জাতির সঙ্গে তামাশা করা হয়েছে। দেশকে অন্ধকারের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ঐক্যফ্রন্টের জয়ীরা শপথ নেবেন কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছি। শপথ নেওয়ার প্রশ্ন আসবে কেন?’

যেখানে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন সেখানে কারচুপি হয়েছে কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, সেগুলোতেও ডাকাতি হয়েছে, তবে তারা কুলিয়ে উঠতে পারেনি।

পরে সাংবাদিকদের স্মারকলিপি পড়ে শোনান মির্জা ফখরুল। স্মারকলিপিতে তারা অভিযোগ করেছে, নির্বাচনের আগের রাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের সহায়তার আওয়ামী লীগের কর্মী ও সন্ত্রাসী বাহিনী ৩০ থেকে ৬০ শতাংশ ভোট কেটে ব্যালট বাক্স ভর্তি করে।

এর আগে দুপুরে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির মহাসচিব সাংবাদিকদের বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদে যোগ দিচ্ছে না বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তখন তিনি বলেন, শপথ তো পার হয়ে গেছে, শপথ নেব কোথায়? প্রত্যাখ্যান করলে আবার শপথ থাকে নাকি? আমরা শপথ নিচ্ছি না।

তিনি অভিযোগ করেন, নির্বাচনের নামে নিষ্ঠুর প্রতারণা ও প্রহসন করা হয়েছে। এ কারণে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যান করে পুনর্নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছে।

গত ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হয়। নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয় পায় আওয়ামী লীগ। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট ২৮৮টি আসনে জয়লাভ করে। আওয়ামী লীগ একাই জিতেছে ২৫৭ টি আসনে। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ায় দলটি টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠন করতে যাচ্ছে।

এই নির্বাচনে বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোট পেয়েছে ৭টি আসন। বিএনপি এককভাবে পেয়েছে ৫টি। নির্বাচনে এককভাবে ২২টি আসন পেয়ে দ্বিতীয় বৃহত্তম দল হয়েছে জাতীয় পার্টি।

আজ সকালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠানে শুরুতে শপথ নেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।

অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যসহ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত ছিলেন। পরে সংসদ সদস্যদের শপথবাক্য পাঠ করান স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। শপথ নেওয়ার সময় আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ছিলেন আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতারা। এঁদের মধ্যে সাজেদা চৌধুরী, মতিয়া চৌধুরী, আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ প্রমুখ ছিলেন। পরে সাংসদেরা শপথের কাগজে সই করেন।

আওয়ামী লীগের সদস্যরা শপথ নেওয়ার পর জাসদ, ওয়ার্কার্স পার্টি, তরিকত ফেডারেশন, জাতীয় পার্টি-জেপির সদস্যরা শপথ নেন। এরপর জাতীয় পার্টির সদস্যরা শপথ নেন।

/সিএইচ

Comments