একাদশ জাতীয় সংসদ শপথ নিচ্ছেন না মির্জা ফখরুল; ফের নির্বাচনের ইঙ্গিত স্পিকারের নিউজ ডেস্ক নিউজ ডেস্ক প্রকাশিত: ৯:১২ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৩০, ২০১৯ একুশ ডেস্ক: একাদশ জাতীয় সংসদে শেষ মুহুর্তের নাটকীয়তায় বিএনপির থেকে নির্বাচিত ৫ এমপি শপথ নিলেও শপথ নেওয়া থেকে বিরত থাকলেন দলীয় মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। দলীয় সিদ্ধান্তেই মির্জা ফখরুল শপথ নিচ্ছেন না বলে জানিয়ে তিনি বলেছেন, এটা আমাদের ‘কৌশলেরই অংশ’। একাদশ সংসদ নির্বাচনে ‘ভোট ডাকাতি’র অভিযোগ তুলে সংসদে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো বিএনপি। জোটভুক্ত দল গণফোরামের দুজন শপথ নেওয়ার পর তাদের বিরুদ্ধে বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগ করেছিলো দলটি। এরপর ঠাকুরগাঁও-৩ আসন থেকে নির্বাচিত বিএনপির এমপি জাহিদুর রহমান জাহিদ দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে শপথ নেওয়ায় দল থেকে তাকে বহিষ্কারও করা হয়। সর্বশেষ গতকাল ২৯ এপ্রিল সোমবার দলের নির্বাচিত ৪ এমপি শপথ নেওয়ায় দলীয় সিদ্ধান্তে হোচট লাগে। শপথ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে এক বাধ্য দলের শীর্ষ হাইকমান্ড। গুঞ্জন শুরু হয় মির্জা ফখরুল সময় চেয়ে স্পিকার বরাবর সময় চেয়ে আবেদন করেছেন। কিন্তু গুঞ্জন উড়িয়ে দিয়ে আজ মঙ্গলবার মির্জা ফখরুল জানিয়েছেন তিনি শপথ নিচ্ছেন না। মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে মানবাধিকার সংগঠন ‘আওয়াজ’ এর এক আলোচনা সভায় এসে নিজের এবং দলের সিদ্ধান্তের বিষয়ে বিস্তারিত বলেন মির্জা ফখরুল। এদিকে মির্জা ফখরুল শপথ না নেওয়ায় আসন শূন্য হওয়া সাপেক্ষে ফের নির্বাচনের ইঙ্গিত দিয়েছেন সংসদের স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী। স্পিকার শিরীন শারমিন মঙ্গলবার বিকালে জানান, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শপথ না নিলে সংবিধান অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সংবিধানের ৬৭ (১) এর ‘ক’ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী কোনো নির্বাচনের পর সংসদের প্রথম বৈঠকের তারিখ থেকে ৯০ দিনের মধ্যে শপথ নিতে না পারলে ওই সংসদ সদস্যের আসন শূন্য হবে। তবে এই ৯০ দিনের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে স্পিকার যথার্থ কারণে তা বাড়াতে পারবেন। একাদশ সংসদের কার্যক্রম গত ২৯ জানুয়ারি শুরু হওয়ায় ৯০ দিনের সেই সময়সীমা সোমবার পেরিয়ে গেছে। শেষ দিনে বিএনপির চারজন সংসদ সদস্য শপথ নেন, তার তিন দিন আগে নেন অন্যজন। শপথের সময় চলে যাওয়া সত্তেও মির্জা ফখরুল শপথ নেননি কিংবা সময় বৃদ্ধির আবেদনও করেননি। সেক্ষেত্রে সময় বাড়ানো না হয়ে নতুন নির্বাচন হওয়া সংবিধানের বাধা বাধ্যকতা রয়েছে। এ বিষয়ে মির্জা ফখরুল বলেছেন, তিনি কোনো আবেদন করেননি, বিষয়টি নিয়ে কয়েকটি গণমাধ্যমে ভুয়া খবর এসেছে। এদিকে স্পিকার শিরিন শারমিনও জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিবের কোনো আবেদন তিনি পাননি। তিনি বলেছেন, এখন পর্যন্ত আমার হাতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কোনো চিঠি পৌঁছেনি। যদি ২৯ এপ্রিলের মধ্যে চিঠি সংসদ সচিবালয়ে পৌঁছে থাকে, তবে তা গ্রহণ করা হবে। আর সময় চেয়ে মির্জা আলমগীর কোনো চিঠি না দিয়ে থাকলে সংবিধান অনুযায়ী ওই আসনের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। /আরএ Comments SHARES রাজনীতি বিষয়: