নড়াইলের প্রতিটি পাড়া মহল্লায় ২১শে ফেব্রুয়ারি শিশু কিশোরদের ব্যতিক্রম উদ্যোগ!

প্রকাশিত: ১:১৪ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৯

উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি: নড়াইলের প্রতিটি পাড়া মহল্লায় শিশু কিশোররা ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা আয়োজন শহরের, কুড়িগ্রাম, ভাদুলীডাঙ্গা, মহিষখোলা, আলাদাতপুর, ভওয়াখালী, মাছিমদিয়া, বরাশুলা, বাহিরডাঙ্গা, শহর সংলগ্ন কমলাপুর, শিখালী, সিমাখালী, মুলিয়া, বাঁশভিটা, সীতারামপুর, তুলারামপুর, মালিয়াট, গুয়াখোলা, গোবরা, কলোড়া, চালিতাতলা, কুুড়ুলিয়া, নলদী মিঠাপুরসহ জেলার তিনটি উপজেলার অধিকাংশ গ্রামে একাধিক অস্থায়ী শহীদ মিনার তৈরি হয়েছে। সব মিলিয়ে অন্তত তিন হাজারের অধিক এসব শহীদ মিনার তৈরি হয়েছে।

১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে নড়াইলের পাড়া মহল্লায় নির্মাণ করা হয়েছে অস্থায়ী শহীদ মিনার। শিশু কিশোররা ইট ও কলাগাছ দিয়ে এসব শহীদ মিনার নির্মাণ করেছে।

২১শে ফেব্রুয়ারি রাত ১২টা ১ মিনিটে পাড়া-মহল্লাবাসী ও শিশু-কিশোরা এসব শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাবেন। অনেকে আবার সকালেও শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। মহল্লায় কোনো শহীদ মিনার না থাকায় ইট দিয়ে শহীদ মিনার তৈরি করেছে। রাত ১২টা ১ মিনিটের সময় শিশুসহ বিভিন্ন বয়সীদের নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করবে। পাশাপাশি বাড়ি বাড়ি গিয়ে চাল, ডাল, ডিম সংগ্রহ করেছে। তা দিয়ে রাতে খিচুরি রান্না করে খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা করেছে।

শহরের, কুড়িগ্রাম, পৌরসভার এলাকার স্কুল ছাত্র তাথৈ,প্রহর, ইশান আতিক,দিপু, অপু, অরপন,অন্যতা, সাহিন, তনুপ, বলেন, তারা ইট দিয়ে একটি শহীদ মিনার তৈরি করেছে। গত ৬/৭ বছর ধরে ইট দিয়ে তৈরি শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানান। সাউন্ডবক্স ভাড়া করে এনে দেশাত্মবোধক গান শোনার পাশাপাশি পিকনিকের আয়োজন করা হয়। এ ধারা অব্যাহত রাখতে চায় তারা, একাধিক শহীদ মিনার তৈরি হয়েছে। শিশু কিশোরদের আয়োজনে ব্যতিক্রম এই উদ্যোগ প্রশংসার দাবিদার।

নড়াইলের নলদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলেন, ভাষা শহীদদের স্মরণে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নানা আয়োজন থাকলেও গ্রামের শিশুরা তাদের আবেগ মিশিয়ে শহীদ মিনার তৈরি করেছে।

আজকের শিশুরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। এমন আয়োজনের মাধ্যমে ভবিষ্যতে তাদের মধ্যে ভাষা দিবস ও শহীদদের শ্রদ্ধা ও দেশপ্রেম অটুট থাকবে। নড়াইল জেলা অনলাইন মিডিয়া ক্লাবের সভাপতি ও গণমাধ্যম উজ্জ্বল রায়, বলেন, বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে ধারণা করা যায় জেলায় অন্তত তিন হাজার অস্থায়ী শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদনের মধ্য দিয়ে শহীদদের স্মরণ করা হবে।

এছাড়া বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সামাজিক প্রতিষ্ঠানসহ সর্বস্তরের মানুষ শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে ভাষা শহীদদের স্মরণ করবেন। প্রতিটি পাড়া মহল্লায ভাষা শহীদদের স্মরণের মধ্য দিয়ে সাধারণ মানুষসহ পরবর্তী প্রজন্মের মাঝে ভাষা দিবসের তাৎপর্য ছড়িয়ে পড়ুক এমনটাই প্রত্যাশা সকলের।

Comments